Pray for the world economy

ইহুদি ও মুসলিমদের যুদ্ধ, গাছ ও পাথরের কথা বলা সংক্রান্ত হাদিস - ইসলামে কি ইহুদিদের উপর নির্বিচার গণহত্যার আদেশ আছে?

 

অভিযোগঃ

সহীহ বুখারীসহীহ মুসলিমে কিছু হাদিস আছে যা দেখিয়ে দাবি করা হয় ইসলামে ‘নিরীহ’ ও ‘নির্দোষ’ ইহুদিদের উপর নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড চালানোর কথা বলা হয়েছে। এই দাবি করে মূলত জায়নবাদী রাষ্ট্র ইস্রায়েল কর্তৃক গণহত্যার বিষয়টি আঁড়াল করার অপচেষ্টা চালানো হয়, ইসলাম ও মুসলিমদের দিকে একটা পাল্টা আক্রমণ ছুঁড়ে দেয়া হয়।

 

أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " تُقَاتِلُكُمُ الْيَهُودُ فَتُسَلَّطُونَ عَلَيْهِمْ ثُمَّ يَقُولُ الْحَجَرُ يَا مُسْلِمُ، هَذَا يَهُودِيٌّ وَرَائِي فَاقْتُلْهُ "‏‏.

অর্থঃ “আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ () কে বলতে শুনেছি, ইয়াহুদীরা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। তখন বিজয়ী হবে তোমরাই। (এমনকি পাথরের আড়ালে কোন ইয়াহুদী আত্মগোপন করে থাকলে) স্বয়ং পাথরই বলবে, হে মুসলিম, এই তো ইয়াহুদী; আমার পেছনে আত্মগোপন করেছে, একে হত্যা কর।[1]

 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُقَاتِلَ الْمُسْلِمُونَ الْيَهُودَ فَيَقْتُلُهُمُ الْمُسْلِمُونَ حَتَّى يَخْتَبِئَ الْيَهُودِيُّ مِنْ وَرَاءِ الْحَجَرِ وَالشَّجَرِ فَيَقُولُ الْحَجَرُ أَوِ الشَّجَرُ يَا مُسْلِمُ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا يَهُودِيٌّ خَلْفِي فَتَعَالَ فَاقْتُلْهُ . إِلاَّ الْغَرْقَدَ فَإِنَّهُ مِنْ شَجَرِ الْيَهُودِ " .

অর্থঃ “আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ() বলেছেনঃ কিয়ামত সংগঠিত হবে না যতক্ষন পর্যন্ত মুসলিমগন ইয়াহুদী সম্প্রদায়ের সাথে লড়াই না করবে। মুসলিমগণ তাদেরকে হত্যা করবে। ফলে তারা পাথর বা বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করবে। তখন পাথর বা গাছ বলবে, হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা! এই তো ইয়াহুদী আমার পশ্চাতে। এসো, তাকে হত্যা কর। কিন্তু ’গারকাদ গাছ এ কথা বলবে না। কারণ এ হচ্ছে ইয়াহুদীদের গাছ।[2]

 

জবাবঃ

 

প্রথমতঃ

হাদিসগুলোর সরল অনুবাদ দেখেই বোঝা যাচ্ছে এগুলো কোনো সাধারণ নির্দেশবোধক হাদিস নয় বরং এগুলো ভবিষ্যতবাণীমূলক হাদিস যেখানে ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে এমন একটি সুনির্দিষ্ট ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে এমন কোনো কথা বলা হয়নি যে ইহুদিদেরকে পেলেই তাদেরকে হত্যা করতে হবে বা দমন করতে হবে। 

 

দ্বিতীয়তঃ

এখন প্রশ্ন আসতে পারে এখানে তাহলে কোন সুনির্দিষ্ট ঘটনার কথা বলা হয়েছে? আলোচ্য হাদিস প্রসঙ্গে সহীহ বুখারীর সব থেকে প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারী’তে ইমাম ইবন হাজার আসকালানী(র.) উল্লেখ করেছেনঃ

 

قَوْلُهُ: (تُقَاتِلُكُمُ الْيَهُودُ فَتُسَلَّطُونَ عَلَيْهِمْ) فِي رِوَايَةِ أَحْمَدَ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ: يَنْزِلُ الدَّجَّالُ هَذِهِ السَّبْخَةَ - أَيْ خَارِجَ الْمَدِينَةِ - ثُمَّ يُسَلِّطُ اللَّهُ عَلَيْهِ الْمُسْلِمِينَ فَيَقْتُلُونَ شِيعَتَهُ، حَتَّى إِنَّ الْيَهُودِيَّ لَيَخْتَبِئُ تَحْتَ الشَّجَرَةِ وَالْحَجَرِ فَيَقُولُ الْحَجَرُ وَالشَّجَرَةُ لِلْمُسْلِمِ: هَذَا يَهُودِيٌّ فَاقْتُلْهُ. وَعَلَى هَذَا فَالْمُرَادُ بِقِتَالِ الْيَهُودِ وُقُوعُ ذَلِكَ إِذَا خَرَجَ الدَّجَّالُ وَنَزَلَ عِيسَى، وَكَمَا وَقَعَ صَرِيحًا فِي حَدِيثِ أَبِي أُمَامَةَ فِي قِصَّةِ خُرُوجِ الدَّجَّالِ وَنُزُولِ عِيسَى، وَفِيهِ: وَرَاءَ الدَّجَّالِ سَبْعُونَ أَلْفَ يَهُودِيٍّ كُلُّهُمْ ذُو سَيْفٍ مُحَلًّى. فَيُدْرِكُهُ عِيسَى عِنْدَ بَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ وَيَنْهَزِمُ الْيَهُودُ، فَلَا يَبْقَى شَيْءٌ مِمَّا يَتَوَارَى بِهِ يَهُودِيٌّ إِلَّا أَنْطَقَ اللَّهُ ذَلِكَ الشَّيْءَ فَقَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ - لِلْمُسْلِمِ - هَذَا يَهُودِيٌّ فَتَعَالَ فَاقْتُلْهُ، إِلَّا الْغَرْقَدَ فَإِنَّهَا مِنْ شَجَرِهِمْ. أَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ مُطَوَّلًا وَأَصْلُهُ عِنْدَ أَبِي دَاوُدَ، وَنَحْوُهُ فِي حَدِيثِ سَمُرَةَ عِنْدَ أَحْمَدَ بِإِسْنَادٍ حَسَنٍ،

অর্থঃ “তাঁর [নবী()] বক্তব্য {ইয়াহুদীরা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে, তখন বিজয়ী হবে তোমরাই}, ইমাম আহমাদ(র.) থেকে ভিন্ন সনদে আরেকটি বর্ণনা সালিম(র.) সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, দাজ্জাল এই উপত্যকায় অবতরণ করবে, অর্থাৎ মদিনার বহির্ভাগে। অতঃপর আল্লাহ মুসলিমদেরকে প্রবল করবেন এবং তারা দাজ্জালের অনুসারীদের সাথে যুদ্ধ করবে। ইহুদিরা গাছ ও পাথরের আঁড়ালে আশ্রয় নেবে এবং গাছ ও পাথর মুসলিমদেরকে বলবে, “এই তো ইহুদি, একে হত্যা কর।এর উপর ভিত্তি করে বলা যায়, [আলোচ্য হাদিসে] ইহুদিদের সঙ্গে যুদ্ধের দ্বারা বোঝানো হচ্ছে এটি তখন সংঘটিত হবে যখন দাজ্জাল বের হবে এবং ঈসা(আ.) অবতরণ করবেন।  আর এটি আবু উমামাহ(রা.) এর হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যেখানে দাজ্জালের বের হওয়া এবং ঈসা(আ.) এর অবতরণের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছেঃ দাজ্জালের পেছনে ৭০ হাজার ইহুদি থাকবে এবং তাদের প্রত্যেকের সাথে কারুকার্যখচিত তরবারী থাকবে। ঈসা(আ.) ‘লুদ’ [একটি স্থানের নাম] এর প্রবেশদ্বারে তার [দাজ্জাল] নাগাল পেয়ে যাবেন, তাকে হত্যা করবেন এবং ইহুদিরা পরাজিত হবে। তখন ইহুদিদের পালানোর কোনো জায়গা থাকবে না, বরং আল্লাহ সেগুলোকে [লুকানোর স্থানকে] বাকশক্তি দান করবেন এবং সেগুলো মুসলিমদেরকে বলবে, “হে আল্লাহর বান্দা, এই তো ইহুদি। অতএব এসো এবং একে হত্যা কর।” তবে গারকাদ এমনটি করবে না কেননা এটি তাদের [ইহুদিদের] গাছ। হাদিসটি পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণনা করেছেন ইবন মাজাহ(র.), দীর্ঘ হাদিসের অংশরূপে বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ(র.)। [মুসনাদ] আহমাদে সামুরাহ(রা.) এর হাদিসে অনুরূপ বিবরণ পাওয়া যায়, যার সনদ হাসান। [3]

 

এ প্রসঙ্গে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়া(র.) উল্লেখ করেছেনঃ

 

وَإِنَّمَا يَنْتَظِرُونَ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ مَسِيحَ الضَّلَالَةِ، فَإِنَّ الْيَهُودَ يَتَّبِعُونَهُ وَيَقْتُلُهُمُ الْمُسْلِمُونَ مَعَهُ ( «حَتَّى يَقُولَ الشَّجَرُ وَالْحَجَرُ: يَا مُسْلِمُ هَذَا يَهُودِيٌّ وَرَائِي تَعَالَ فَاقْتُلْهُ» )

অর্থঃ “তারা [ইহুদিরা] দাজ্জালের জন্য অপেক্ষা করছে যে হচ্ছে ভ্রষ্টতার মাসিহ। ইহুদিরা তার অনুসরণ করবে, মুসলিমরা তাঁর [ঈসা(আ.)] সঙ্গে মিলে তাদের [ইহুদিদের] বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। “যখন গাছ ও পাথর বলবেঃ হে মুসলিম, এই তো ইহুদি। আমার নিকট এসো এবং একে হত্যা কর[4]

 

তৃতীয়তঃ

আমরা দেখলাম এই সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় হাদিস বিশারদগণ উল্লেখ করেছেন ইহুদি ও মুসলিমদের এই যুদ্ধের ঘটনাটি ঘটবে কিয়ামতের পূর্বে, যখন দাজ্জাল আগমন করবে এবং ঈসা(আ.) অবতরণ করবেন। এই ব্যাখ্যা করা হয়েছে অন্যান্য দীর্ঘ হাদিসের সহায়তায়। আদম(আ.) সৃষ্টি থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির জন্য দাজ্জালের চেয়ে বড় ফিতনা আর নেই, পূর্বের নবীরাও(আ.) দাজ্জালের ব্যাপারে নিজ নিজ উম্মতকে সতর্ক করতেন। আমরা দাজ্জাল সংক্রান্ত বিভিন্ন হাদিস থেকে জানি যে সে পৃথিবীব্যপি কী ভয়াবহ সব কার্যকলাপ করবে এবং কীরূপ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে। [5] দাজ্জাল পৃথিবীতে চালাবে ভয়াবহ নৃশংসতা। [6] এই ভয়াবহ নৃশংস এবং মানবতার শত্রুর বিরুদ্ধে মুসলিমরা শেষ যুগে ঈসা মাসিহ(আ.) এর নেতৃত্বে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। এবং দাজ্জালের অনুসারী যেসব ইহুদি যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এখানে দাজ্জালের সৈনিক জালিম ইহুদিদের জুলুমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে। এবং এটা তাদের অপকর্মের জন্য। কোনো জাতি বা বর্ণের হবার জন্য না। খানে কষ্মিণকালেও কোনো নিরাপরাধ বা নিরীহ ইহুদির উপর হত্যাকাণ্ড চালানোর কথা বলা হয়নি। এই হাদিস থেকে তথাকথিত Antisemitism এর যে অভিযোগ আনা হয় তা ইসলামের বিরুদ্ধে অপবাদ এবং অপপ্রচার।  

 

চতুর্থতঃ

দাজ্জাল ও ঈসা(আ.) এর আগমন কিয়ামতের পূর্বের অন্যতম প্রধান কিছু নিদর্শন। এগুলো কোনো সাধারণ ঘটনা নয় বরং বিশেষ ঘটনা। এই ঘটনা বার বার ঘটবে না বরং একবারই ঘটবে। নির্দিষ্ট করে বললে এই ঘটনা ঘটবে দাজ্জাল আগমনের পরে; এর আগে নয়। মুসলিমদের নিকট এই হাদিসের অর্থ স্পষ্ট। কোনো মুসলিমের পক্ষে এই হাদিস থেকে কখনো এই হুকুম নেবার সুযোগ নেই যে ইহুদি পেলেই তাকে নির্বিচারে মেরে ফেলতে হবে বা জুলুম করতে হবে। বরং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, যুগে যুগে ইহুদিরা যখন ইউরোপীয় খ্রিষ্টানদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, তারা মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতেই নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছে। ইহুদিদের স্বর্ণযুগ মুসলিম ভুখণ্ডে মুসলিম শাসনাধীনেই অতিবাহিত হয়েছে। মুসলিমরা যদি আলোচ্য হাদিসগুলোর দ্বারা এটাই বুঝতো যে ইহুদিদের উপর নির্বিচার গণহত্যা চালাতে হবে তাহলে কখনোই এমনটি হতো না। ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী কিংবা মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমদেরকে বিনা কারণে হত্যা করা ইসলামে ভয়াবহ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

 

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ، وَإِنَّ رِيحَهَا تُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ عَامًا "‏‏.

অর্থঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী ()  বলেন, যে ব্যাক্তি কোন যিম্মিকে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না। আর জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দুরত্ব থেকে পাওয়া যাবে। [7]

 

বস্তুত ইসলামবিরোধীরা প্রসঙ্গ ছাড়াই একটা হাদিস উদ্ধৃত করে নানা রকম দাবি করে, বাস্তবতার সঙ্গে যার কোনো মিল থাকে না।

 

 

তথ্যসূত্রঃ


[1] সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩৬৮

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=3596

[2] সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৭৫

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=19398

[3] ফাতহুল বারী – ইবন হাজার আসকালানী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৬১০

https://shamela.ws/book/1673/3804

অথবা https://archive.is/wip/A2CKM (আর্কাইভকৃত)

[4] জাওয়াবুস সহীহ – শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৩৫৫

https://shamela.ws/book/170/1187

অথবা https://archive.is/wip/VR7fn  (আর্কাইভকৃত)

[5] দেখুনঃ 'আল ইরশাদ-সহীহ আকীদার দিশারী' -  শাইখ ড. ছলিহ ইবনে ফাওযান আল ফাওযান, "দাজ্জালের আগমন" অনুচ্ছেদ থেকে

https://www.hadithbd.com/books/link/?id=13265

অথবা https://archive.is/wip/zvWLr (আর্কাইভকৃত)

[6] দেখুনঃ “দাজ্জাল ও ইয়াজূজ-মাজূজের নৃশংসতা - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম” [মাসিক আত-তাহরীক]

https://at-tahreek.com/article_details/1527

অথবা https://archive.is/wip/mRwPu (আর্কাইভকৃত)

[7] সহীহ বুখারী, হাদিস নং ২৯৪২

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=3026