অভিযোগঃ
ইসলামে যুদ্ধ বা জিহাদে অমুসলিমদের নিরাপরাধ নারী ও শিশুদেরকেও নির্বিচারে হত্যার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
জবাবঃ
অভিযোগকারীরা তাদের দাবির স্বপক্ষে নিম্নোক্ত হাদিস পেশ করে—
، عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ ـ رضى الله عنهم ـ قَالَ مَرَّ بِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالأَبْوَاءِ ـ أَوْ بِوَدَّانَ ـ وَسُئِلَ عَنْ أَهْلِ الدَّارِ يُبَيَّتُونَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فَيُصَابُ مِنْ نِسَائِهِمْ وَذَرَارِيِّهِمْ قَالَ " هُمْ مِنْهُمْ ". وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ " لاَ حِمَى إِلاَّ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم ".
অর্থঃ "সা’ব ইবনু জাসসামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ﷺ আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে আমার কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করেন। তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, যে সকল মুশরিকদের সঙ্গে যুদ্ধ হচ্ছে, যদি রাত্রিকালীন আক্রমনে তাদের মহিলা ও শিশুগণ নিহত হয়, তবে কি হবে? রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তারাও তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আর আমি তাকে আরও বলতে শুনেছি যে, সংরক্ষিত চারণভূমি আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূল ﷺ ব্যতীত আর কারো জন্য হতে পারে না।" [1]
এই হাদিসের আরো রেওয়ায়েত অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও রয়েছে।
আমরা এর জবাবে শুরুতেই বলবঃ বহু সংখ্যক হাদিসে নবী ﷺ স্পষ্টভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে নারী-শিশু এবং শ্রমিক তথা অযোদ্ধা নাগরিকদের (Civilians) হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন। যেমনঃ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ وُجِدَتِ امْرَأَةٌ مَقْتُولَةً فِي بَعْضِ مَغَازِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، فَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ.
অর্থঃ "ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কোন এক যুদ্ধে জনৈকা মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ মহিলা ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেন।" [2]
عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ امْرَأَةً مَقْتُولَةً فَأَنْكَرَ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ
অর্থঃ "ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন এক যুদ্ধে একজন স্ত্রীলোককে নিহত অবস্থায় পড়িয়া থাকিতে দেখিতে পাইয়া এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেন এবং যুদ্ধে নারী ও শিশুহত্যা নিষিদ্ধ করেন।" [3]
رَبَاحِ بْنِ رَبِيعٍ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ فَرَأَى النَّاسَ مُجْتَمِعِينَ عَلَى شَىْءٍ فَبَعَثَ رَجُلاً فَقَالَ " انْظُرْ عَلاَمَ اجْتَمَعَ هَؤُلاَءِ " فَجَاءَ فَقَالَ عَلَى امْرَأَةٍ قَتِيلٍ . فَقَالَ " مَا كَانَتْ هَذِهِ لِتُقَاتِلَ " . قَالَ وَعَلَى الْمُقَدِّمَةِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَبَعَثَ رَجُلاً فَقَالَ " قُلْ لِخَالِدٍ لاَ يَقْتُلَنَّ امْرَأَةً وَلاَ عَسِيفًا " .
অর্থঃ "রিবাহ ইবন রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা কোন এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি কিছু লোককে এক স্থানে একত্রিত হতে দেখেন। তখন তিনি এক ব্যক্তিকে পাঠান এবং বলেনঃ দেখ তো এরা কি জন্য সেখানে একত্রিত হয়েছে? তখন সে ব্যক্তি এসে বললঃ তারা জনৈক নিহত মহিলার নিকট একত্রিত হয়েছে। তখন তিনি (নবী ﷺ) বলেনঃ এ মহিলা তো কারো সাথে যুদ্ধ করতে আসেনি (একে মারা হলো কেন?) তখন এক ব্যক্তি বললঃ অগ্রবর্তী সেনাদলের নেতা হলেন খালিদ ইবন ওয়ালীদ। তখন তিনি এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে বলেনঃ খালিদকে বল, মহিলা ও মজদুর (খাদিম) যেন হত্যা না করে।" [4]
কাজেই এটি স্পষ্ট বিষয় যে ইসলামের যুদ্ধের ময়দানে নারী-শিশু বা অযোদ্ধাদের হত্যা বৈধ নয়। অভিযোগকারীরা যে হাদিস পেশ করে, এর সরল অনুবাদ পড়লেই এটি বোঝা যায় যে, সেখানে ইচ্ছাকৃত হত্যার কথা বলা হয়নি বরং রাত্রিকালীন যুদ্ধে অনিচ্ছাকৃতভাবে নারী-শিশুদের প্রাণহানীর (Collateral Damage) ব্যাপারে বলা হয়েছে। এমন ক্ষেত্রের বৈধতা আলোচ্য হাদিসে দেয়া হয়েছে। আলোচ্য হাদিসের একটি বর্ণনায় এই ইঙ্গিত রয়েছে যে, এই বিধানটিও রহিত হয়ে গেছে। এই ঘটনার পরে নবী ﷺ এমনটি করতেও নিষেধ করে দিয়েছেন।
عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدَّارِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يُبَيَّتُونَ فَيُصَابُ مِنْ ذَرَارِيِّهِمْ وَنِسَائِهِمْ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هُمْ مِنْهُمْ " . وَكَانَ عَمْرٌو - يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ - يَقُولُ هُمْ مِنْ آبَائِهِمْ . قَالَ الزُّهْرِيُّ ثُمَّ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ .
অর্থঃ সা’ব ইবন জাস্সামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ ﷺকে জিজ্ঞাসা করেন যে, যখন মুশরিকরা তাদের বিবি-বাচ্চাসহ তাদের ঘরে রাত্রিবাস করবে, এমতাবস্থায় রাত্রিকালীন আক্রমনে তাদের হত্যার ব্যাপারে হুকুম কি? তখন নবী করীম ﷺ বলেনঃ তারা তাদেরই দলভূক্ত।
’আমর অর্থাৎ ইবন দীনার বলেনঃ তারা তো তাদের বাপ-দাদার সাথে সম্পর্কযুক্ত। যুহরী বলেনঃ এ ঘটনার পর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ মহিলা ও বাচ্চাদের হত্যা করতে নিষেধ করেন। [5]
এই সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবন হাজার আসকালানী (র.) তাঁর সুবিখ্যাত ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন—
قَوْلُهُ: (هُمْ مِنْهُمْ) أَيْ: فِي الْحُكْمِ تِلْكَ الْحَالَةَ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ إِبَاحَةَ قَتْلِهِمْ بِطَرِيقِ الْقَصْدِ إِلَيْهِمْ، بَلِ الْمُرَادُ: إِذَا لَمْ يُمْكِنِ الْوُصُولُ إِلَى الْآبَاءِ إِلَّا بِوَطْءِ الذُّرِّيَّةِ، فَإِذَا أُصِيبُوا لِاخْتِلَاطِهِمْ بِهِمْ، جَازَ قَتْلُهُمْ.
... ... ...
وَكَانَ الزُّهْرِيُّ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ: وَأَخْبَرَنِي ابْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عَمِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ لَمَّا بَعَثَ إِلَى ابْنِ أَبِي الْحَقِيقِ نَهَى عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ انْتَهَى، وَهَذَا الْحَدِيثُ أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ بِمَعْنَاهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَكَأَنَّ الزُّهْرِيَّ أَشَارَ بِذَلِكَ إِلَى نَسْخِ حَدِيثِ الصَّعْبِ، وَقَالَ مَالِكٌ، وَالْأَوْزَاعِيُّ: لَا يَجُوزُ قَتْلُ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ بِحَالٍ حَتَّى لَوْ تَتَرَّسَ أَهْلُ الْحَرْبِ بِالنِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ، أَوْ تَحَصَّنُوا بِحِصْنٍ أَوْ سَفِينَةٍ وَجَعَلُوا مَعَهُمُ النِّسَاءَ وَالصِّبْيَانَ، لَمْ يَجُزْ رَمْيُهُمْ وَلَا تَحْرِيقُهُمْ.
وَقَدْ أَخْرَجَ ابْنُ حِبَّانَ فِي حَدِيثِ الصَّعْبِ زِيَادَةً فِي آخِرِهِ: ثُمَّ نَهَى عَنْهُمْ يَوْمَ حُنَيْنٍ، وَهِيَ مُدْرَجَةٌ فِي حَدِيثِ الصَّعْبِ، وَذَلِكَ بَيِّنٌ فِي سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ فَإِنَّهُ قَالَ فِي آخِرِهِ: قَالَ سُفْيَانُ قَالَ الزُّهْرِيُّ: ثُمَّ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ، وَيُؤَيِّدُ كَوْنَ النَّهْيِ فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ مَا سَيَأْتِي فِي حَدِيثِ رِيَاحِ بْنِ الرَّبِيعِ الْآتِي: فَقَالَ لِأَحَدِهِمْ: الْحَقْ خَالِدًا، فَقُلْ لَهُ: لَا تَقْتُلْ ذُرِّيَّةً وَلَا عَسِيفًا،
... ... ...
وَقَالَ ابْنُ حَبِيبٍ مِنَ الْمَالِكِيَّةِ: لَا يَجُوزُ الْقَصْدُ إِلَى قَتْلِهَا إِلَّا إِنْ بَاشَرَتِ الْقَتْلَ وَقَصَدَتْ إِلَيْهِ.
অর্থঃ “তাঁর বক্তব্যঃ "তারা তাদের অন্তর্ভুক্ত"; এর অর্থ হলোঃ সেই নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য বিধান। এখানে তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করার অনুমতি দেওয়া উদ্দেশ্য নয়। বরং উদ্দেশ্য হলোঃ যখন [শিশু] সন্তানদের ক্ষতি না করে তাদের পিতাদের [শত্রুদের] কাছে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, এবং যদি সন্তানরা যোদ্ধাদের সাথে মিশে থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তাদের [এই অনিচ্ছাকৃত] হত্যা জায়েয হবে।
... ... ...
যুহরী(র.) যখন এই হাদীস বর্ণনা করতেন, তিনি বলতেনঃ “কা'ব ইবনে মালিকের পুত্র আমাকে তাঁর চাচার সূত্রে জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইবনে আবিল হুকায়কের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করার সময় নারী ও শিশু হত্যা নিষেধ করেছিলেন।'" বক্তব্য সমাপ্ত। এই হাদীসটি আবু দাউদ অন্য একটি সূত্রে যুহরী থেকে একই অর্থে বর্ণনা করেছেন। যুহরী(র.) এখানে সা'ব(রা.) এর হাদিসটির রহিত হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
[একইভাবে] ইমাম মালিক(র.) ও আওযাঈ(র.) বলেছেনঃ "কোনো অবস্থাতেই নারী ও শিশু হত্যা করা জায়েয নয় - এমনকি যদি [শত্রুপক্ষের] যোদ্ধারা তাদেরকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, অথবা দুর্গ বা জাহাজে আশ্রয় নিয়ে তাদের সাথে নারী ও শিশু রাখে - তবুও তাদেরকে আক্রমণ করা বা আগুন দেওয়া জায়েয হবে না।"
ইবন হিব্বান(র.) সা'ব(রা.) এর হাদিসে একটি অতিরিক্ত অংশ বর্ণনা করেছেনঃ "এরপর তিনি(ﷺ) হুনাইনের যুদ্ধের দিন তাদের (নারী ও শিশু) হত্যা নিষেধ করেছেন।" [6] এটি সা'ব(রা.) এর হাদিসের অন্তর্ভুক্ত, যেমনটি সুনানে আবু দাউদে স্পষ্ট দেখা যায়, কেননা তিনি তার শেষে বলেনঃ সুফিয়ানের সূত্রে যুহরী বলেছেনঃ "এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নারী ও শিশু হত্যা নিষেধ করেছেন।" এ নিষেধাজ্ঞা হুনাইনের যুদ্ধের সময় হয়েছে— এ কথাকে সমর্থন করে পরবর্তী রিয়াহ ইবনু রাবী' এর হাদীস, যেখানে বলা হয়েছেঃ "তিনি [নবী ﷺ] একজনকে বললেনঃ “খালিদের কাছে যাও এবং তাকে বলোঃ [শিশু] সন্তান ও শ্রমিকদের হত্যা করো না।'"
... ... ...
মালিকিদের মধ্যকার ইবনে হাবীব(র.) বলেছেনঃ "তাকে [নারীদেরকে] ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা জায়েয নয়, তবে যদি সে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয় এবং [আমাদেরকে] হত্যার উদ্দেশ্য করে [তাহলে ভিন্ন কথা]।" [7]
সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘উমদাতুল ক্বারী’তে বদরুদ্দিন আল আইনী(র.)ও অনুরূপ তথ্য উল্লেখ করেছেন। [8]
আমরা দেখলাম আলোচ্য হাদিসে যুদ্ধের ময়দানে ইচ্ছাকৃতভাবে নারী-শিশু হত্যার কোনো ব্যাপারই নেই বরং এই হাদিসে অনিচ্ছাকৃত হত্যার প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রাচীনকালে রাতের বেলা যুদ্ধের মাঝে শত্রুদের মধ্য থেকে নারী-শিশুদের আলাদা করা সম্ভব ছিল না। এমন ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের হত্যায় মুসলিম যোদ্ধাগণ দোষী গণ্য হবেন না।
সালাফে সলিহীনদের কেউ কেউ বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে এটিও উল্লেখ করেছেন যে, এমনকি এই বিষয়টিও রহিত হয়ে গেছে; চূড়ান্ত বিধান হল যুদ্ধে কোনো অবস্থাতেই নারী-শিশুদের হত্যা করা বৈধ হবে না, অযোদ্ধা নারী-শিশুদের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে হামলাও করা যাবে না। তবে এটিও উল্লেখ আছে যে, যদি তাদের কেউ যোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তাহলে যুদ্ধের ময়দানে তাদেরকে আক্রমণ ও হত্যা করা যাবে।
তথ্যসূত্রঃ
[1] সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ২৮০৪
[2] সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ২৮০৬
[3] মুয়াত্তা মালিক, হাদিস নং : ৯৬২
[4] সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং : ২৬৬০ (হাসান)
[5] সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং : ২৬৬৩ (সহীহ)
[6] শায়খ আলবানী(র.) এর এর মতে এটি সহীহ হাদিস। দেখুনঃ মুসনাদুল মাউদ্বু’ইয়্যিল জামি’ই লিল কুতুবিল ‘আশারাহ – সুহাইব আব্দুল জাব্বার, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৪৩
https://shamela.ws/book/13285/1149
অথবা https://web.archive.org/web/20250427165202/https://shamela.ws/book/13285/1149 (আর্কাইভকৃত)
কেউ কেউ একে হাসান বলেছেন। দেখুনঃ আল ইহসানু ফি তাক্বরিবি সহিহিবনি হিব্বান - আল আমির ইবনু বুলবান আল ফারিসি, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৪৮
https://shamela.ws/book/1729/280
অথবা https://web.archive.org/web/20250427165432/https://shamela.ws/book/1729/280 (আর্কাইভকৃত)
[7] ফাতহুল বারী - ইবন হাজার আসকালানী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ১৪৭-১৪৮
https://shamela.ws/book/1673/3341
https://shamela.ws/book/1673/3342
অথবা (আর্কাইভকৃত)
https://web.archive.org/web/20250427174112/https://shamela.ws/book/1673/3341
https://web.archive.org/web/20250427174126/https://shamela.ws/book/1673/3342
[8] দেখুনঃ উমদাতুল ক্বারী - বদরুদ্দিন আল আইনী, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৬২
https://shamela.ws/book/5756/4280
অথবা https://web.archive.org/web/20250427173722/https://shamela.ws/book/5756/4280 (আর্কাইভকৃত)