ইসলামবিরোধীরা দাবি করে নবী(ﷺ) নাকি কুষ্ঠ রোগ হবার জন্য তাঁর স্ত্রীদের তালাক দিতেন। তাদের অভিযোগ হল - যে মুহাম্মাদ(ﷺ) কুষ্ঠ রোগ থেকে বাঁচবার জন্য সাহাবীদেরকে দোয়া শেখাতেন, সেই তিনি কী করে কুষ্ঠ রোগের জন্য কোনো নারীকে তালাক দিতে পারেন? তিনি যদি সত্য নবী হন, তাহলে তিনি দোয়া করলেই তো আল্লাহর সেই রোগ ভালো করে দেবার কথা! এ ছাড়া রোগাক্রান্ত হবার জন্য কোনো নারীকে তালাক দেয়া কতটা নৈতিক এটা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
এখানে অভিযোগকারীদের অভিযোগের মাঝেই বিভ্রান্তি রয়েছে। আল্লাহর নবী(ﷺ) অবশ্যই দোয়া করতে পারতেন, কিন্তু তা কবুল হওয়া বা না হওয়া তাঁর এখতিয়ারে না বরং আল্লাহ তা’আলার এখতিয়ারে। অবশ্য এই অভিযোগের জবাব দেবার পূর্বে আমাদের দেখতে হবে তাদের দাবিকৃত এমন কোনো ঘটনা আসলেই নবী(ﷺ) থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত আছে কিনা।
এই সংক্রান্ত মোট ৪টি ঘটনা বর্ণিত আছে ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থে। এবং এই বর্ণনাগুলোই আরো বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ আছে। আমরা এখন সবগুলো বর্ণনা উল্লেখ করব এবং এদের বিশুদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করব।
১।
“ইয়াকূব ইব্ন সুফিয়ান (র) হাজ্জাজ ইব্ন আবূ মানী' (র)....আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা)-কে এ নারীর তথ্য সরবরাহ করেছিলেন যাহহাক ইব্ন সুফিয়ান আল কিলাবী (রা)। আমি তখন পর্দার অন্তরাল থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম। সে বলল, উম্মু শাবীব-এর বোনের প্রতি কি আগ্রহ বোধ করবেন? উম্মু শাবীব হল যাহহাক -এর স্ত্রী। এ সূত্রেই যুহরী(র.) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বনূ আমর ইবন কিলাব-এর এক নারীকে বিবাহ করেছিলেন। পরে তাঁকে এ মর্মে অবহিত করা হল যে তার গায়ে ধবল কুষ্ঠ রয়েছে। তখন তিনি তার সংগে নিভৃত বাস না করেই তাকে তালাক দিয়ে দেন।” [1]
আমরা আল বিদায়া ওয়ান নিহায়ার মূল আরবি গ্রন্থ থেকে বর্ণনাটির আরবি ইবারত দেখে নিইঃ
وَقَدْ رَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَبِي مَنِيعٍ عَنْ جَدِّهِ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ الضَّحَّاكَ بْنَ سُفْيَانَ الْكِلَابِيَّ هُوَ الَّذِي دَلَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ عَلَيْهَا وَأَنَا أَسْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ لَكَ فِي أُخْتِ أُمِّ شَبِيبٍ، وَأُمُّ شَبِيبٍ امْرَأَةُ الضَّحَّاكِ؟ وَبِهِ قَالَ الزُّهْرِيُّ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ امْرَأَةً مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ كِلَابٍ فَأُنْبِئَ أَنَّ بِهَا بَيَاضًا فَطَلَّقَهَا وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا. [2]
এখানে ধবল-কুষ্ঠ আক্রান্ত নারীকে তালাক দেয়া সংক্রান্ত বর্ণনার আগের বর্ণনাটির সনদঃ
يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ → حَجَّاجُ بْنُ أَبِي مَنِيعٍ → جَدِّهِ → الزُّهْرِيُّ → عُرْوَةُ → عَائِشَةُ
এখানে উল্লেখ আছে যে, যুহরী(র.) এই সূত্রেই ধবল-কুষ্ঠ আক্রান্ত নারীকে তালাক দেয়ার হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। অতএব আলোচ্য বর্ণনার সনদঃ
يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ → حَجَّاجُ بْنُ أَبِي مَنِيعٍ → جَدِّهِ → الزُّهْرِيُّ
এখানে যুহরী(র.) পর্যন্ত সনদের উল্লেখ আছে, অথচ এর আগে আর সনদের উল্লেখ নেই। এই বর্ণনার সনদে নবী(ﷺ) বা কোনো সাহাবী নেই। নবী(ﷺ) থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে এই ঘটনা বর্ণিত নয়। [3]
কাজেই আলোচ্য বর্ণনা নবী(ﷺ) থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।
২।
. قَالَ ابْنُ سَعْدٍ: وَأَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ حَدَّثَنِي الْعَرْزَمِيُّ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ فِي نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ سَبَأُ بِنْتُ سُفْيَانَ بْنِ عَوْفِ بْنِ كَعْبِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ كِلَابٍ. وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ بَعَثَ أَبَا أُسَيْدٍ يَخْطُبُ عَلَيْهِ امْرَأَةً مِنْ بَنِي عَامِرٍ يُقَالُ لَهَا عَمْرَةُ بِنْتُ يَزِيدَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ كِلَابٍ، فَتَزَوَّجَهَا فَبَلَغَهُ أَنَّ بِهَا بَيَاضًا فَطَلَّقَهَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ الْوَاقِدِيِّ حَدَّثَنِي أَبُو مَعْشَرٍ. قَالَ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ مَلِيكَةَ بِنْتَ كَعْبٍ وَكَانَتْ تُذْكَرُ بِجَمَالٍ بَارِعٍ، فَدَخَلَتْ عَلَيْهَا عَائِشَةُ فَقَالَتْ أَلَا تَسْتَحْيِينَ أَنْ تَنْكِحِي قَاتِلَ أَبِيكِ؟ فَاسْتَعَاذَتْ مِنْهُ فَطَلَّقَهَا، فَجَاءَ قَوْمُهَا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا صَغِيرَةٌ وَلَا رَأْيَ لَهَا، وَإِنَّهَا خُدِعَتْ فَارْتَجِعْهَا، فَأَبَى. [4]
অর্থঃ ইব্ন সা'দ (র) বলেন, হিশাম ইব্ন মুহাম্মদ ইবনুস সাইব আল কালবী (র)....ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বিবিগণের মধ্যে সাবা' বিনত সুফিয়ান ইব্ন আওফ ইব্ন কা'ব ইবন আবূ বকর ইব্ন কিলাবও ছিলেন। ইবন উমর (রা) আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আবূ আসীফ (রা)-কে পাঠালেন বনূ আমির-এর আমরা বিনত ইয়াযীদ (ইব্ন উবায়দা ইন কিলাব)-কে বিবাহের পয়গাম দেওয়ার জন্য। পরে তাকে বিয়ে করার পর তিনি অবগত হলেন যে, এ নারীর ‘ধবল' (কুষ্ঠ) রোগ রয়েছে। তখন তিনি তাকে তালাক দিলেন।
মুহাম্মদ ইব্ন সা'দ (র) ওয়াকিদী (র) সূত্রে আবূ মা'শার থেকেও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) মুলায়কা বিনত কা'ব (রা)-কেও বিবাহ করেছিলেন। মুলায়কা-র অতুলনীয় রূপ সৌন্দর্যের খ্যাতি ছিল। তখন আইশা (রা) তার কাছে গিয়ে বললেন, তোমার পিতৃহন্তাকে তোমার বিয়ে করতে লজ্জাবোধ হচ্ছে না ? তখন সে নবী করীম (সা) থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করলে নবী করীম (সা) তাকে তালাক দিয়ে দিলেন। তখন তার গোত্রের লোকেরা এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার বয়স কম এবং এখনো তার সুবুদ্ধি হয়নি। তা'ছাড়া ভুল তথ্যের স্বীকার হয়েছে, সুতরাং তাকে ফিরিয়ে নিন।কিন্তু তিনি [রাসূলুল্লাহ ﷺ] তা অস্বীকার করেন। [5]
এখানে মোট ২টি বর্ণনা আছে। এই বর্ণনাগুলো তারিখুত তাবারী {তারিখুর রুসুল ওয়াল মুলুক} সহ আরো বিভিন্ন গ্রন্থে আছে। [6]
আমরা আলোচ্য ১ম বর্ণনার [যেখানে উল্লেখ আছে নবী ﷺ কুষ্ঠ রোগের কারণে একজন নারীকে তালাক দিয়েছেন] মূল আরবিতে দেখতে পাচ্ছি বর্ণনাকারীদের একজন হচ্ছেন আরযামি (الْعَرْزَمِيُّ)। যার পুরো নাম মুহাম্মাদ বিন উবাইদুল্লাহ আল আরযামি।
এই বর্ণনাকারীর ব্যাপারে ইমাম নাসাঈ(র.) বলেছেন,
مُحَمَّد بن عبيد الله الْعَرْزَمِي مَتْرُوك الحَدِيث
অর্থাৎ, “মুহাম্মাদ বিন উবাইদুল্লাহ আল আরযামি “মাতরুকুল হাদিস” অর্থাৎ তার বর্ণিত হাদিস পরিত্যাক্ত।” [7]
ইমাম আবুল হুসাইন আল ‘ইজলি(র.) এর মতে,
مُحَمَّد بن عبيد الله الْعَرْزَمِي ضَعِيف الحَدِيث
অর্থাৎ, “মুহাম্মাদ বিন উবাইদুল্লাহ আল আরযামি দুর্বল হাদিস বর্ণনাকারী।” [8]
ইমাম ইবন আবি হাতিম উল্লেখ করেছেন,
نَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ نَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ شُعَيْبٍ نَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: كَانَ يَحْيَى وَعَبْدُ الرَّحْمٰنِ لَا يُحَدِّثَانِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَرْزَمِيِّ.
نَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ [بْنِ مُحَمَّدٍ - ١] بْنِ حَنْبَلٍ فِيمَا كَتَبَ إِلَيَّ قَالَ قَالَ أَبِي: مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَرْزَمِيُّ تَرَكَ النَّاسُ حَدِيثَهُ.
نَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ قَالَ قُرِئَ عَلَى العَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدٍ الدُّورِيِّ قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ يَقُولُ: مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَرْزَمِيُّ لَا يُكْتَبُ حَدِيثُهُ.
نَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ نَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الصَّيْرَفِيُّ بِأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَرْزَمِيَّ مَتْرُوكُ الحَدِيثِ.
نَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ قَالَ سَأَلْتُ أَبِي عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَرْزَمِيِّ فَقَالَ: ضَعِيفٌ جِدًّا فِي الحَدِيثِ.
نَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَرْزَمِيِّ فَقَالَ:
لَا يُكْتَبُ حَدِيثُهُ وَتُرِكَ قِرَاءَةُ حَدِيثِهِ عَلَيْنَا.
অর্থাৎ, “আবদুর রহমান বর্ণনা করেনঃ আমাদের কাছে মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম ইবন শুআইব বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমর ইবন আলী বলেছেনঃ "ইয়াহইয়া [ইবন মাঈন] ও আবদুর রহমান মুহাম্মাদ ইবন উবাইদুল্লাহ আল-আরযামি থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন না।"
আবদুর রহমান বর্ণনা করেনঃ আমাদের কাছে আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ ইবন হাম্বাল (যিনি আমার উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন) বর্ণনা করেছেন যে, তাঁর পিতা [ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল] বলেছেনঃ "মুহাম্মাদ ইবন উবাইদুল্লাহ আল-আরযামির হাদিস মানুষ [মুহাদ্দিসগণ] পরিত্যাগ করেছে।"
আবদুর রহমান বর্ণনা করেনঃ আব্বাস ইবন মুহাম্মাদ আদ-দুরির সামনে এটি পড়ে শোনানো হয়েছিল, তখন তিনি বললেনঃ "আমি ইয়াহইয়া ইবন মাঈনকে বলতে শুনেছিঃ ‘মুহাম্মাদ ইবন উবাইদুল্লাহ আল-আরযামির [বর্ণিত] হাদিস লেখা যাবে না।'"
আবদুর রহমান বর্ণনা করেনঃ আমাদের কাছে মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমর ইবন আলী আস-সাইরাফি বলেছেনঃ "মুহাম্মাদ ইবন উবাইদুল্লাহ আল-আরযামি পরিত্যক্ত (মাতরুক) হাদিস বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত।"
আবদুর রহমান বর্ণনা করেনঃ আমি আমার পিতাকে মুহাম্মাদ ইবন উবাইদুল্লাহ আল-আরযামি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেনঃ "সে অত্যন্ত দুর্বল (যঈফ) হাদিস বর্ণনাকারী।"
আবদুর রহমান বর্ণনা করেনঃ আমি আবু জুরআহকে মুহাম্মাদ ইবন উবাইদুল্লাহ আল-আরযামি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি বললেনঃ "তার হাদিস লেখা হয় না, এবং আমরা তার [বর্ণিত] হাদিস পড়া পরিত্যাগ করেছি।" [9]
অতএব মুহাদ্দিসদের সর্বসম্মতিক্রমে আলোচ্য হাদিসের বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ বিন উবাইদুল্লাহ আল আরযামি একজন দুর্বল রাবী। কাজেই তার বর্ণিত হাদিস বিশুদ্ধ নয়, আলোচ্য বর্ণনাটি বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।
আমরা আলোচ্য ২য় বর্ণনায় [যেখানে উল্লেখ আছে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) মুলায়কা বিনত কা'ব(রা)-কে বিবাহ করেন।
এবং আয়িশা (রা.) তার কাছে গিয়ে বললেন, “তোমার পিতৃহন্তাকে তোমার বিয়ে করতে লজ্জাবোধ হচ্ছে না?”] দেখতে পাচ্ছি বর্ণনাকারীদের একজন হচ্ছেন ওয়াকিদি (الْوَاقِدِيّ)। যার পুরো নাম মুহাম্মাদ বিন উমার আল ওয়াকিদি।
মুহাম্মাদ বিন উমার আল ওয়াকিদিকে ইমাম বুখারী(র.), ইমাম নাসাঈ(র.) প্রমুখ মুহাদ্দিস “মাতরুকুল হাদিস” গণ্য করেছেন, অর্থাৎ তার বর্ণিত হাদিস পরিত্যাক্ত। [10] এ ছাড়া ইমাম দারাকুতনী(র.)সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসরাও তাকে দুর্বল গণ্য করেছেন। [11]
অতএব ওয়াকিদি বর্ণিত আলোচ্য হাদিসটি বিশুদ্ধ নয়।
৩।
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْفَتْحِ يُوسُفُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْمَاهَانِيُّ، أَنْبَأَنَا شُجَاعُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ شُجَاعٍ، أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَنْدَةَ، أَنْبَأَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَكِيمٍ الْمَرْوَزِيُّ، ثَنَا أَبُو الْمُوَجِّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْمُوَجِّهِ الْفَزَارِيُّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَنْبَأَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ خَدِيجَةَ بِنْتَ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدٍ بِمَكَّةَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ عَتِيقِ بْنِ عَائِذٍ الْمَخْزُومِيِّ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بِمَكَّةَ عَائِشَةَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بِالْمَدِينَةِ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ خُنَيْسِ بْنِ حُذَافَةَ السَّهْمِيِّ، ثُمَّ تَزَوَّجَ سَوْدَةَ بِنْتَ زَمْعَةَ وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ السُّكْرَانِ بْنِ عَمْرٍو أَخِي بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ،
... ... ...
وَطَلَّقَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ الْعَالِيَةَ بِنْتَ ظَبْيَانَ، وَفَارَقَ أُخْتَ بَنِي عَمْرِو بْنِ كِلَابٍ، وَفَارَقَ أُخْتَ بَنِي الْجَوْنِ الْكِنْدِيَّةَ مِنْ أَجْلِ بَيَاضٍ كَانَ بِهَا، [12]
অর্থঃ “ইবন আসাকির (র) বলেন, আবুল ফাতাহ ইউসুফ ইব্ন আবদুল ওয়াহিদ আল মাহানী (র)....ইবন শিহাব যুহরী (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) খাদীজা বিনত খুওয়ায়লিদ ইব্ন আসাদ (রা)-এর পাণি গ্রহণ করেন মক্কায়। ইতোপূর্বে তিনি ছিলেন আতীক ইব্ন আইয মাখযুমীর স্ত্রী। তারপর নবী করীম (সা) মক্কায়ই আইশা বিনত আবূ বকর (রা)-কে বিয়ে করেন। এরপরে তিনি স্ত্রীরূপে গ্রহণ করেন হাফসা বিনত উমর (রা)-কে মদীনায়। এর আগে তার স্বামী ছিলেন খুনায়স ইব্ন হুযাফা আস সাহমী। তার পরবর্তী স্ত্রীরূপে আসেন সাওদা বিনত যাম'আ; যিনি ইতোপূর্বে ছিলেন বনূ আমির ইব্ন লু'আয়-এর সদস্য সাকরান ইব্ন আমর-এর স্ত্রী।
... ... ...
রাসূলুল্লাহ (সা) আলিয়া বিনত জাবয়ানকে তালাক দিয়ে দেন। আমর ইব্ন কিলাব গোত্রীয় স্ত্রীকে এবং কিনদী জাওন গোত্রের স্ত্রীকেও তার ধবল কুষ্ঠের কারণে বিচ্ছিন্ন করে দেন।” [13]
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে এই বর্ণনাটি উল্লেখ করেই ইবন কাসির(র.) মন্তব্য করেছেনঃ
سُقْنَاهُ بِالسَّنَدِ لِغَرَابَةِ مَا فِيهِ مِنْ ذِكْرِهِ تَزْوِيجَ سَوْدَةَ بِالْمَدِينَةِ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ كَانَ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ. [14]
অর্থঃ “হাদীসটি আমরা সনদযুক্ত রূপে বর্ণনা করলাম এ কারণে যে, এতে সাওদা (রা)-এর বিবাহ মদীনায় হওয়ার অসমর্থিত ও বিরল বর্ণনা রয়েছে। বিশুদ্ধ কথা হল, তার বিবাহ হিজরাতের পূর্বে মক্কায়ই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেমনটি আমরা পূর্বেই বলে এসেছি।” [15]
অর্থাৎ এই হাদিসের মাতানের মাঝে গারাবাত আছে। [16] মাতানগত সমস্যা আছে। মাজমাউয যাওয়াইদ গ্রন্থে এই সংক্রান্ত বর্ণনায় একই মাতানগত সমস্যা আছে, সেই সাথে সনদে আল কাসিম ইবন আব্দুল্লাহ আল-আখমিমি নামে একজন দুর্বল রাবী আছেন। [17]
কাজেই এই বর্ণনা বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।
৪।
وَقَالَ يُونُسُ ابْنُ بُكَيْرٍ عَنْ أَبِي يَحْيَى عَنْ جَمِيلِ بْنِ زَيْدٍ الطَّائِيِّ عَنْ سَهْلِ بْنِ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ امْرَأَةً مِنْ بَنِي غِفَارٍ، فَدَخَلَ بِهَا فَأَمَرَهَا فَنَزَعَتْ ثَوْبَهَا، فَرَأَى بِهَا بَيَاضًا مِنْ بَرَصٍ عِنْدَ ثَدْيَيْهَا، فَانْمَازَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ وَقَالَ: «خُذِي ثَوْبَكِ» وَأَصْبَحَ فَقَالَ لَهَا: «الْحَقِي بِأَهْلِكِ» فَأَكْمَلَ لَهَا صَدَاقَهَا. [18]
অর্থঃ “ইউনুস ইন বুকায়র (র) আরো বলেন, আবূ ইয়াহয়া (র)....সাহল ইব্ন যায়দ আনসারী (রা) থেকে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) গিফার গোত্রের এক নারীকে বিবাহ করেছিলেন। তার সংগে নিভৃত বাসের সময় তার বসন অনাবৃত করলে তার স্তনের কাছে শ্বেত কুষ্ঠ জনিত সাদা বর্ণ দেখতে পেলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ (সা) একটু সংকোচ বোধ করে সরে গেলেন এবং বললেন, «خذي ثوبك» “তোমার বসন গুছিয়ে নাও।” পরে সকাল হলে তাকে বললেন, «الحقي بأهلك» তোমার আপনজনদের কাছে চলে যাও। তখন তিনি তাকে পূর্ণ মোহরানা দিয়ে দিলেন।” [19]
এই হাদিসটির বিভিন্ন রেওয়ায়েত মুসনাদ আহমাদ, সুনানুল কুবরা, মুসতাদরাক হাকিম, বুলুগুল মারাম সহ বিভিন্ন গ্রন্থে এসেছে। সকল রেওয়ায়েতে জামিল বিন যায়দ (جَمِيلِ بْنِ زَيْدٍ) নামক বর্ণনাকারী আছেন।
ইমাম বায়হাকী(র.) এর সুনানুল কুবরা গ্রন্থে আলোচ্য হাদিসটি বর্ণনা করার পরে উল্লেখ করা হয়েছে—
قَالَ أَبُو أَحْمَدَ: وَجَمِيلُ بْنُ زَيْدٍ تَفَرَّدَ بِهَذَا الْحَدِيثِ، ... ... قَالَ الْبُخَارِيُّ: لَمْ يَصِحَّ حَدِيثُهُ
অর্থঃ “আবু আহমাদ বলেছেনঃ "জামিল বিন যায়দ এই হাদিসটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন... … বুখারী(র.) বলেছেনঃ "তার বর্ণিত হাদিস সহীহ নয়।"” [20]
মুসনাদ আহমাদ গ্রন্থে এই হাদিসের তাহকিক অংশ শুআইব আরনাউত(র.) উল্লেখ করেছেন—
إِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ، لِضَعْفِ جَمِيلِ بْنِ زَيْدٍ - وَهُوَ الطَّائِيُّ - قَالَ ابْنُ مَعِينٍ: لَيْسَ بِثِقَةٍ، وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ: وَاهِيُ الحَدِيثِ، وَقَالَ البَغَوِيُّ: ضَعِيفٌ جِدًّا، وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: ضَعِيفٌ، وَقَالَ البُخَارِيُّ: لَمْ يَصِحَّ حَدِيثُهُ. ثُمَّ إِنَّ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِهِ هَذَا اضْطِرَابًا.
অর্থঃ "জামিল বিন যায়দের দুর্বল [রাবী] হবার জন্য এর সনদটি দুর্বল। যিনি আত-তাঈ [নামেও পরিচিত]। ইবন মাঈন(র.) বলেছেনঃ "তিনি [জামিল বিন যায়দ] বিশ্বস্ত নন।" ইবন হিব্বান(র.) বলেছেনঃ "তার [বর্ণিত] হাদিস খুবই দুর্বল।" বাগাওয়ি(র.) বলেছেনঃ "তিনি অত্যন্ত দুর্বল।" আবু হাতিম(র.) বলেছেনঃ "তিনি দুর্বল।" বুখারী(র.) বলেছেনঃ "তার [বর্ণিত] হাদিস সহিহ নয়।" তদুপরি, এই হাদিসের সনদে ইদ্বতিরাব (অসঙ্গতি) রয়েছে।" [21]
বুলুগুল মারাম গ্রন্থেও এই বর্ণনা উল্লেখ করে এর তাহকিকে একে যঈফ বা দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। [22]
কাজেই এই বর্ণনা বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।
অতএব, ধবল-কুষ্ঠ রোগের জন্য নবী(ﷺ) তাঁর কোনো স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন – এই মর্মে কোনো বর্ণনা বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।
তথ্যসূত্রঃ
[1] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ) – ইবন কাসির, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৮৫- ৪৮৬
[2] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (আরবি) – ইবন কাসির, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৯৬
https://shamela.ws/book/23708/1709
অথবা https://archive.is/wip/mkCvO (আর্কাইভকৃত)
[3] এই ঘটনার মূল লেখক বা ‘মুসান্নিফ’ হচ্ছেন يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ [ইয়াকুব বিন সুফিয়ান] যার নাম এই বর্ণনার সনদে দেখা যাচ্ছে। তিনি তাঁর ‘মা’রিফাহ ওয়াত তারিখ’ গ্রন্থে এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন আর সেখান থেকেই ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থে এটি উদ্ধৃত করা হয়েছে। মূল গ্রন্থ ‘মা’রিফাহ ওয়াত তারিখ’ এ এভাবে “وَبِهِ” কথার দ্বারা সনদ উহ্য রেখে সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করার রীতি ব্যাপকভাবে দেখা যায় [দেখুনঃ খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬১১, ৬২৩ https://shamela.ws/book/12403/1330 , https://shamela.ws/book/12403/1342]। আলোচ্য বর্ণনার সনদ আয়িশা(রা.) কিংবা নবী(ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছায়নি বিধায় অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে একে সরাসরি যুহরী(র.) এর বক্তব্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, ইমাম বায়হাকী (র.) এর সুনানুল কুবরা গ্রন্থে বর্ণনাটি এভাবে আছেঃ
قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَتَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - امْرَأَةً مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ كِلَابٍ إِخْوَةِ أَبِي بَكْرِ بْنِ كِلَابٍ؛ رَهْطِ زُفَرَ بْنِ الْحَارِثِ، فَرَأَى بِهَا بَيَاضًا فَطَلَّقَهَا وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا۔
অর্থঃ “যুহরী(র.) বলেনঃ রাসুলুল্লাহ ﷺ জুফার ইবনুল হারিছের গোত্রভুক্ত এবং আবু বকর ইবন কিলাবের ভ্রাতৃবংশ বনু আমর ইবন কিলাব -এর এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি [নবী (ﷺ)] দেখলেন যে, তার শরীরে একটি সাদা দাগ (ধবল-কুষ্ঠ) রয়েছে, তখন তিনি তার সংগে নিভৃত বাস না করেই তাকে তালাক দিয়ে দেন।”
[সুনানুল কুবরা – আবু বকর আল বায়হাকী, খণ্ড ১৩, পৃষ্ঠা ৫৬৭] https://shamela.ws/book/148486/7719 ;অথবা https://archive.is/wip/dGIjc (আর্কাইভকৃত)
যদি এই বর্ণনার সনদ আয়িশা(রা.) কিংবা নবী(ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছাতো, তাহলে তাঁদের বক্তব্য হিসাবে এটা উল্লেখ করা হতো। ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ এর উর্দু অনুবাদেও বিষয়টি আরো স্পষ্ট করা হয়েছে, সনদ বা সূত্রের কথা উল্লেখ না করে সেখানে একে সরাসরি যুহরী(র.) এর বক্তব্য হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে। উর্দু অনুবাদে এই স্থানটিকে এভাবে লেখা হয়েছেঃ “اور یہ بات زہری نے کہی ہے۔” [অওর ইয়ে বাত যুহরী নে কাহি হ্যায় {আর যুহরী এই কথা বলেছেন…}]। দেখুনঃ তারিখ ইবন কাসির [আল বিদায়া ওয়ান নিহায়ার উর্দু অনুবাদ], খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩৯৯
আর এভাবে তাবিঈ থেকে কোনো বর্ণনা এলে তা বিশুদ্ধ গণ্য করা হয় না কেননা সেই তাবিঈ নবী(ﷺ)কে দেখেননি এবং তা নবী(ﷺ) থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে বর্ণিত নেই। যুহরী(র.) থেকে এরূপ আরো বক্তব্য রয়েছে যা অবিচ্ছিন্নভাবে নবী(ﷺ) বা কোনো সাহাবী পর্যন্ত পৌঁছায়নি বিধায় তা বিশুদ্ধ গণ্য করা হয়নি। যেমন, একটি হাদিসে উল্লেখ আছে ওহী নাজিলের প্রারম্ভিক সময়ে ওহী নাজিলে বিলম্ব হলে নবী(ﷺ) উঁচু পাহাড় থেকে লাফ দেবার জন্য যেতেন। এই বর্ণনাও নবী(ﷺ) বা কোনো সাহাবী থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে বর্ণিত হয়নি বরং যুহরী(র.) এর বক্তব্য হিসেবে এসেছে। এই কারণে মুহাদ্দিসগণ একেও বিশুদ্ধ গণ্য কররেননি। বিস্তারিত দেখুনঃ https://islamqa.info/en/152611/ ; অথবা https://archive.is/WBK6B (আর্কাইভকৃত)
[4] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (আরবি) – ইবন কাসির, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৯৯
https://shamela.ws/book/23708/1712
অথবা https://archive.is/wip/VlT1p (আর্কাইভকৃত)
[5] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ) – ইবন কাসির, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৯০
[6] দেখুনঃ তারিখুত তাবারী, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা ৬১৩
https://shamela.ws/book/9783/6357
অথবা https://archive.is/wip/tkwwj (আর্কাইভকৃত)
[7] আদ্ব দ্বু’আফা’ ওয়াল মাতরুকুন - আবু আব্দুর রহমান আহমাদ ইবন শুআইব আন-নাসাঈ, পৃষ্ঠা ৯১
https://shamela.ws/book/10805/81
অথবা https://archive.is/wip/s1NrX (আর্কাইভকৃত)
[8] আছ ছিকাত – আবুল হুসাইন আল ‘ইজলি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৪৭
https://shamela.ws/book/5825/549
অথবা https://archive.is/wip/tLJoi (আর্কাইভকৃত)
[9] আজ জারহ ওয়াত তা’দ্বিল – ইবন আবি হাতিম, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ২
https://shamela.ws/book/2170/3249
অথবা https://archive.is/wip/6bXxe (আর্কাইভকৃত)
[10] দেখুনঃ https://hadithtransmitters.hawramani.com/?p=73055#4a82e9
অথবা https://archive.is/wip/AhC58 (আর্কাইভকৃত)
[11] দেখুনঃ https://hadithtransmitters.hawramani.com/?p=118191#bf8da2
অথবা https://archive.is/wip/AIPX7 (আর্কাইভকৃত)
[12] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (আরবি) – ইবন কাসির, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৯৯-৩০০
https://shamela.ws/book/23708/1712
https://shamela.ws/book/23708/1713
অথবা (আর্কাইভকৃত)
[13] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ) – ইবন কাসির, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৯১
[14] প্রাগুক্ত
[15] প্রাগুক্ত
[16] দেখুনঃ https://dorar.net/h/7glPqw5S
অথবা https://archive.is/wip/762hT (আর্কাইভকৃত)
[17] দেখুনঃ মাজমাউয যাওয়াইদ ৯/২৫৫
অথবা https://archive.is/wip/2AZ94 (আর্কাইভকৃত)
[18] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (আরবি) – ইবন কাসির, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩০০
https://shamela.ws/book/23708/1713
অথবা https://archive.is/wip/dbRxJ (আর্কাইভকৃত)
[19] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ) – ইবন কাসির, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৯২
[20] সুনানুল কুবরা – আবু বকর আল বায়হাকী, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩৪৮
https://shamela.ws/book/7861/16360
অথবা https://archive.is/wip/rVBu4 (আর্কাইভকৃত)
[21] মুসনাদ আহমাদ (তাহকিক শুআইব আরনাউত), খণ্ড ২৫, পৃষ্ঠা ৪১৭, ১৬০৩২ নং হাদিসের তাহকিক, পাদটীকা নং ৩
https://shamela.ws/book/25794/12468
অথবা https://archive.is/wip/iYRgO (আর্কাইভকৃত)
[22] বুলু্গুল মারাম, হাদিস নং ১০১২
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=70823
অথবা https://archive.is/wip/7WM1a (আর্কাইভকৃত)