মূলঃ Islamweb
অনুবাদঃ মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার
প্রশ্নঃ
আমি কুরআন ৬৭ : ৫ এবং অন্যান্য জায়গায় পেয়েছি যে, নক্ষত্রগুলো সর্বনিম্ন আসমানে আছে। আল্লাহ বলেছেন যে তিনি পৃথিবীকে আকাশ বা আসমানের পূর্বে সৃষ্টি করেছেন। এর অর্থ হচ্ছে নক্ষত্র সৃষ্টিরও আগে পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো নক্ষত্র তো পৃথিবীর চেয়েও বেশি বয়সী। এটি কি তবে (কুরআনের) ভুল?
উত্তরঃ
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর যিনি জগতসমূহের মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই। এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসুল।
আল্লাহর কিতাবে কোনো ভুল নেই।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنزَلَ عَلَىٰ عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَل لَّهُ عِوَجًا
অর্থঃ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই যিনি তাঁর দাসের প্রতি এই কিতাব (আল কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন এবং এতে তিনি অসঙ্গতি / বক্রতা রাখেননি।”
(আল কুরআন, কাহফ ১৮ : ১)
আস সা’দী(র.) এই আয়াতের তাফসিরে বলেছেন,
فنفي العوج يقتضي أنه ليس في أخباره كذب، ولا في أوامره ونواهيه ظلم ولا عبث،
অর্থঃ “বক্রতা থাকা নাকচ করার মানে হচ্ছে, এর (কুরআন) তথ্যসমূহ মিথ্যা থেকে মুক্ত। এবং এর আদেশ-নিষেধ সকল প্রকার অন্যায় ও অনাবশ্যকতা থেকে মুক্ত। ...”
প্রিয় ভাই, “আল্লাহর কিতাবে ভুল আছে কিনা” - এভাবে প্রশ্ন করা এক মারাত্মক ভুল কাজ। এর বদলে এভাবে প্রশ্ন করা যেতে পারে যে, আয়াতটির ব্যাপারে আপনার যে ত্রুটিপূর্ণ বুঝ রয়েছে, এর সমাধাণ কী হতে পারে।
এর সমাধাণ দুই দিক থেকে হতে পারে।
প্রথমতঃ “কোনো কোনো নক্ষত্র পৃথিবীর চেয়েও বেশি বয়সী” এই কথা একদম নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। আমরা আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি নিজ চোখে দেখিনি।
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
مَّا أَشْهَدتُّهُمْ خَلْقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَا خَلْقَ أَنفُسِهِمْ وَمَا كُنتُ مُتَّخِذَ الْمُضِلِّينَ عَضُدًا
অর্থঃ “আমি তাদেরকে আসমানসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টির সাক্ষী করিনি আর না তাদের নিজেদের সৃষ্টির। আর আমি পথভ্রষ্টকারীদেরকে সহায়তাকারী হিসেবে গ্রহণ করিনি।”
(আল কুরআন, কাহফ ১৮ : ৫১)
কুরতুবী(র.) এর তাফসিরে লিখেছেন,
وقيل : الكناية في قوله : " ما أشهدتهم " ترجع إلى المشركين , وإلى الناس بالجملة , فتتضمن الآية الرد على طوائف من المنجمين وأهل الطبائع والمتحكمين من الأطباء وسواهم من كل من ينخرط في هذه الأشياء .
অর্থঃ “এই আয়াতে “সাক্ষী করিনি” এ উপমা দ্বারা মুশরিক এবং অন্যান্য সকল মানুষকে সাধারণভাবে বোঝানো হয়েছে। এই আয়াত বিভিন্ন শ্রেণীর জ্যোতিষী, নৃবিজ্ঞানী, নিরাময়কারী এবং এমন কাজে যুক্ত অন্যদেরকেও প্রত্যুত্তর দেয়।”
জ্যোতির্বিদরা এ ব্যাপারে যা বলে তা কেবলমাত্র কিছু আনুমানিক হিসাব বা তত্ত্ব এবং ব্যক্তিগত বুঝ। তারা অনেক সময়েই গ্রহণযোগ্য মনে করে বিভিন্ন তথ্য পরিবেশন করেন, এবং পরবর্তীকালে আবিষ্কার করেন যে সেগুলো আসলে গ্রহণযোগ্য নয়!
দ্বিতীয়তঃ তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে - কোনো কোনো নক্ষত্র পৃথিবীর আগে সৃষ্টি হয়েছে, তাহলেও এর মানে দাঁড়াবে যে এগুলো পৃথিবীকে বিস্তৃত করার আগে সৃষ্টি করা হয়েছে। পৃথিবী সৃষ্টির আগে এদেরকে সৃষ্টি করা হয়নি। আল কুরআনে বলা হয়েছে যে, আকাশের পূর্বে পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং পৃথিবীকে বিস্তৃত করা হয়েছে আকাশ সৃষ্টির পরে।
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ اسْتَوَىٰ إِلَى السَّمَاءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ ۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
অর্থঃ “পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর তিনি আকাশের প্রতি মনঃসংযোগ করেন, অতঃপর সপ্ত আকাশ সুবিন্যস্ত করেন এবং তিনি সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী।”
(আল কুরআন, বাকারাহ ২ : ২৯)
এই আয়াত প্রমাণ করে যে পৃথিবীর সৃষ্টি আকাশ সৃষ্টির আগে হয়েছে। আল্লাহ তা’আলার বক্তব্যের দ্বারাই এটি প্রমাণিত। এখানে আয়াতে ثُمَّ (অতঃপর) শব্দটি বলা হয়েছে যা দ্বারা ক্রম এবং (সময়ের) পার্থক্য বোঝায়।
সুরা ফুসসিলাতও (হা-মিম সিজদাহ) প্রমাণ করে যে, পৃথিবীকে আসমান (আকাশ) এর পূর্বে সৃষ্টি করা হয়েছে। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
قُلْ أَئِنَّكُمْ لَتَكْفُرُونَ بِالَّذِي خَلَقَ الْأَرْضَ فِي يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُونَ لَهُ أَندَادًا ۚ ذَٰلِكَ رَبُّ الْعَالَمِينَ
وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ مِن فَوْقِهَا وَبَارَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَا أَقْوَاتَهَا فِي أَرْبَعَةِ أَيَّامٍ سَوَاءً لِّلسَّائِلِينَ
ثُمَّ اسْتَوَىٰ إِلَى السَّمَاءِ وَهِيَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ ائْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَا أَتَيْنَا طَائِعِينَ
অর্থঃ “বলো - তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবে যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে আর তোমরা তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করাতে চাও? তিনি তো জগতসমূহের প্রভু। তিনি ভূপৃষ্ঠে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন এবং তাতে রেখেছেন কল্যাণ এবং চার দিনে ব্যবস্থা করেছেন খাদ্যের - যাঞ্চাকারীদের জন্য সমভাবে। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধূম্রপুঞ্জ বিশেষ। অতঃপর তিনি ওটাকে এবং পৃথিবীকে বললেনঃ তোমরা উভয়ে এসো স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বললঃ আমরা এলাম অনুগত হয়ে।”
(আল কুরআন, ফুসসিলাত (হা-মিম সিজদাহ) ৪১ : ৯-১১)
সুরা নাযিআতের আয়াতসমূহ প্রমাণ করে যে, পৃথিবীকে বিস্তৃত করা হয়েছে আকাশ সৃষ্টির পরে। আল্লাহ বলেন,
أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاءُ ۚ بَنَاهَا
অর্থঃ “তোমাদেরকে সৃষ্টি করা অধিক কঠিন, নাকি আকাশ সৃষ্টি? তিনিই [আল্লাহ] তা বানিয়েছেন।”
(আল কুরআন, নাযিআত ৭৯ : ২৭)
এরপরে আল্লাহ বলেছেন,
وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَٰلِكَ دَحَاهَا
অর্থঃ “এবং পৃথিবীকে এরপরে বিস্তৃত করেছেন।”
(আল কুরআন, নাযিআত ৭৯ : ৩০)
এই আয়াতগুলো প্রমাণ করে যে পৃথিবীর বিস্তৃতকরণ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়েছে আকাশমণ্ডলী সৃষ্টির পরে।
এ প্রসঙ্গে আশ শানকিতী(র.) {তাঁর তাফসিরে} লিখেছেন,
“ইবন আব্বাস(রা.)কে সুরা ফুসসিলাত এবং সুরা নাযিআতের আয়াতগুলো সমন্বয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তর দেন – আল্লাহ তা’আলা প্রথমে বিস্তৃত না করা অবস্থায় পৃথিবীকে সৃষ্টি করেন। এরপরে তিনি আকাশ সৃষ্টি করেন এবং ২ দিনে (বা পর্যায়কালে) একে ৭ আকাশে পরিনত করেন। এরপর তিনি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেন এবং এতে পাহাড়, নদী এবং অন্যান্য জিনিস সৃষ্টি করেন। অতএব পৃথিবীর সৃষ্টি আকাশের আগে, কিন্তু পাহাড়-পর্বত, গাছ এবং অন্যান্য বস্তুসহ একে বিস্তৃত করা হয়েছে আকাশ সৃষ্টির পরে। এর প্রমাণ আল্লাহ তা’আলার বক্তব্য – وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَٰلِكَ دَحَاهَا {“এবং পৃথিবীকে এরপরে বিস্তৃত করেছেন”} (নাযিআত ৭৯ : ৩০)। এখানে তিনি বলেননি “সৃষ্টি করেছেন” (বরং বলেছেন “বিস্তৃত করেছেন”)। এরপর আল্লাহ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি কিভাবে তিনি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন – أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءَهَا وَمَرْعَاهَا {“ তিনি এর (পৃথিবী) ভিতর থেকে বের করেছেন এর পানি ও এর তৃণ।”} (নাযিআত ৭৯ : ৩১) ইবন আব্বাস(রা.) কর্তৃক আয়াত ২টির এই সমন্বয়ে কোনো প্রকারের অস্পষ্টতা নেই বরং কুরআনের প্রকাশ্য অর্থ ও ইঙ্গিত থেকেই এই ব্যাপারটি বোঝা যাচ্ছে।”
[আদওয়াউল বায়ান]
মূল লেখার লিঙ্কঃ
http://library.islamweb.net/emainpage/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=342076
অনুবাদকের টিকাঃ
বর্তমান বাসযোগ্য অবস্থায় আসার আগের পর্যায়কে আমরা পৃথিবীর মূল উপাদান বা পৃথিবীর আদি অবস্থা বলতে পারি। সাহাবী ইবন আব্বাস(রা.) এর তাফসির থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, পৃথিবীকে “বিস্তৃত করা” হচ্ছে পৃথিবীর এর আদি উপাদান থেকে পাহাড়, নদী এসব সহ বর্তমান বাসযোগ্য অবস্থায় আসা। আল কুরআন থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির ব্যাপারে আমরা মোটামুটি এ রকম একটি ধারণা পাইঃ
প্রথমে আল্লাহ পৃথিবী (অর্থাৎ পৃথিবীর মূল উপাদান বা আদি অবস্থা) সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবী সৃষ্টির পরে আকাশমণ্ডলী সৃষ্টি প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়েছে। আকাশমণ্ডলী সৃষ্টি প্রক্রিয়া শেষ হবার পরে পৃথিবীকে বর্তমান বাসযোগ্য অবস্থায় আনা হয়েছে, পৃথিবীর সৃষ্টিপ্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে শেষ হয়েছে।
কিভাবে আকাশ সৃষ্টি হল? তাবিঈ মুজাহিদ(র.) সুরা বাকারাহর وَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا [“পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন (বাকারাহ ২ : ২৯)] এই আয়াতের তাফসিরে বলেন, “আকাশ সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তা'আলা পৃথিবী সৃষ্টি করেন। এর থেকে ধুম্রের সৃষ্টি।” (ইবন কাসির দ্রষ্টব্য) আকাশ ও পৃথিবী (এদের মূল উপাদান বা আদি অবস্থা) একত্রে ছিল, আল্লাহ এদেরকে পৃথক করেছেন (সুরা আম্বিয়া ২১ : ৩০ দ্রষ্টব্য)। হয়তো বিস্ফোরণ বা অন্য কোনো উপায়ে আল্লাহ এদেরকে পৃথক করেছেন। এ ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান আল্লাহর নিকটে রয়েছে। আকাশ ও পৃথিবীকে পৃথক করা হয়েছে এবং ৭ আকাশ সৃষ্টি করা হয়েছে। আকাশকে সৃষ্টি করা হয়েছে ধুম্র বা গ্যাসীয় অবস্থা থেকে (সুরা ফুসসিলাত ৪১ : ১১ দ্রষ্টব্য)। জ্যোতিষ্কমণ্ডলীসহ আকাশ সৃষ্টির কাজ সম্পাদিত হবার পরে পৃথিবীকে বিস্তৃত করা হয়েছে, বাসযোগ্য অবস্থায় আনা হয়েছে। এভাবে বর্তমান পৃথিবী সৃষ্টির কাজ শেষ হয়েছে।
অর্থাৎ আল কুরআন অনুযায়ী যে ক্রমধারা আমরা পাই তা হলঃ
পৃথিবী (আদি অবস্থা) সৃষ্টি > আকাশ ও পৃথিবীর পৃথকীকরণ > ধুম্রকুঞ্জ থেকে ৭ আকাশ সৃষ্টি, জ্যোতিষ্কমণ্ডলীসহ আকাশ সৃষ্টি সম্পাদন > পৃথিবীকে বিস্তৃত করা, একে বাসযোগ্য অবস্থায় আনা
এই ক্রমধারা হয়তো বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, আবার পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণও নয়। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন, কুরআন ও সুন্নাহ মুসলিমদের নিকট সর্বাধিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। যেখানে বিজ্ঞান ও কুরআন-সুন্নাহর তথ্য একমত হয় না, সেখানে আমরা মুসলিমরা কুরআন-সুন্নাহর দিকেই ফিরে যাই। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিজ্ঞানের তথ্য নিয়ত পরিবর্তনশীল। মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের তত্ত্বগুলো বিভিন্ন হিসাব ও উপাত্তের মাধ্যমে পাওয়া গেলেও দিনশেষে এগুলো তত্ত্ব। বহুকাল আগে ঘটে যাওয়া এই প্রক্রিয়াগুলো কেউ চাক্ষুষ দেখে নি। বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্ব সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়। পক্ষান্তরে কুরআন ও সুন্নাহ হচ্ছে ওহী। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জ্ঞান। বহুকাল আগে বিজ্ঞানমনস্করা মনে করত যে সূর্য স্থির আছে, অথচ আল কুরআন বলেছে যে সূর্য গতিশীল। সূর্য স্থির থাকার ব্যাপারটিই ছিল সে সময়ের বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, যা কুরআনের তথ্যের সাথে একমত ছিল না। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়েছে যে সূর্য গতিশীল। এমন আরো অনেক ব্যাপারের উদাহরণ দেয়া যায়। সীমাবদ্ধ বিজ্ঞান হয়তো কোনো এক সময়ে পূর্ণভাবে কুরআন ও সুন্নাহর সাথে একমত হবে।
এবং আল্লাহই ভালো জানেন।