Pray for the world economy

বাইবেলের Satanic Verse এবং এর দরুণ ভণ্ড মাসিহ এর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া

 

[[ এই লেখার উদ্যেশ্য কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়কে কষ্ট দেয়া নয়। বরং ইসলামের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বিরোধিতা করা ও সত্যের প্রচার করা। এই লেখার প্রতিটি তথ্য বাইবেল ও খ্রিষ্ট ধর্মীয় বিভিন্ন উৎস থেকে গৃহিত। ]]

 

বাইবেলের পুরাতন নিয়ম (Old Testament) এর তাওরাত[1] অংশে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া আছে যে, ঈশ্বর যে বাণী প্রদান করেছেন তার সাথে কোনো কিছু যোগ করা যাবে না। আবার বাদও দেয়া যাবে না।

 

“ আমি তোমাদের যে আদেশ দিয়েছি তার সঙ্গে তোমরা কোন কিছু যোগ কোর না এবং তার থেকে কোনো কিছু বাদ দিও না তোমরা অবশ্যই তোমাদের প্রভু, ঈশ্বরের আদেশ মান্য করবে, যা আমি তোমাদের দিয়েছি   [BBS]

You shall not add to the word which I command you, nor take from it; that you may keep the commandments of the Lord your God which I command you.  [RSV]

[বাইবেল, ২য় বিবরণ  (Deuteronomy) ৪ : ২]

 

কাজেই কোন সত্য নবী কখনো ঈশ্বরের বাণী থেকে একটা শব্দও যোগ-বিয়োগ করতে পারে না। ঈশ্বরের বাণী হুবহু তুলে ধরাই একজন সত্য নবীর বৈশিষ্ট্য হবে।

 

বাইবেলে লুক লিখিত সুসমাচারে উল্লেখ আছে যে, যিশু খ্রিষ্ট একবার নাসরত শহরে সাবাথের দিন (শনিবার, বিশ্রামবার) ইহুদিদের উপাসনালয়ে গিয়ে তাদের কিতাব থেকে পাঠ করেন।

 

১৬  এরপর যিশু নাসরতে গেলেন, এখানেই তিনি প্রতিপালিত হয়েছিলেন৷ তাঁর রীতি অনুসারে বিশ্রামবারে তিনি সমাজ-গৃহে গিয়ে সেখানে শাস্ত্র পাঠ করার জন্য উঠে দাঁড়ালেন৷ 
১৭  তাঁর হাতে ভাববাদী যিশাইয়র লেখা পুস্তকটি দেওযা হল৷ তিনি পুস্তকটি খুলে সেই অংশটি পেলেন, যেখানে লেখা আছে: 
১৮  প্রভুর আত্মা আমার ওপর আছেন কারণ দীন দরিদ্রের কাছে সুসমাচার প্রচারের জন্য তিনিই আমায় নিযুক্ত করেছেন৷ তিনি আমাকে বন্দীদের কাছে স্বাধীনতার কথা ও অন্ধদের কাছে দৃষ্টি ফিরে পাবার কথা ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন; আর নির্যাতিতদের মুক্ত করতে বলেছেন৷ 
১৯ এ ছাড়া প্রভুর অনুগ্রহ দানের বৎসরের কথা ঘোষণা করতেও পাঠিয়েছেন৷ [যিশাইয় 61 : 1-2 ]
২০  এরপর তিনি পুস্তকটি গুটিয়ে সেখানকার সহায়কদের হাতে দিয়ে বসলেন৷ সমাজ-গৃহে যাঁরা সে সময় ছিল, তাদের সকলের দৃষ্টি তাঁর ওপর গিয়ে পড়ল৷ 
২১  তখন তিনি তাদের বললেন, ‘শাস্ত্রের এই কথা যা তোমরা শুনলে তা আজ পূর্ণ হল৷’  

[বাইবেল, লুক ৪ : ১৬-২১]

 

যিশু এখানে লুক এর ১৮ ও ১৯ নং পদ  পুরাতন নিয়মের যিশাইয় (Isaiah) পুস্তকের ৬১ : ১-২ অংশ থেকে উদ্ধৃত করেছেন বলে খ্রিষ্টানরা দাবি করে। বাইবেলের বিভিন্ন ভার্সনে ঐ অংশে ব্রাকেট দিয়ে এটাই উল্লেখ করা থাকে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি (BBS) এর অনুবাদ (বাংলা) এবং Holman Christian Standard Bible (HCSB) ভার্সন (ইংরেজি)

 

কিন্তু যিশু কি আসলেই পুরাতন নিয়ম থেকে অবিকৃতভাবে পদগুলো উদ্ধৃত করেছেন?

 

আমরা যদি পুরাতন নিয়ম থেকে যিশাইয় পুস্তকের ৬১ নং অধ্যায়ের ১ম ও ২য় পদ দেখি, তাহলে লুক ৪ : ১৮-১৯ সাথে কিছু পার্থক্য দেখা যায়।

 

 প্রভুর দাস বলেন, “প্রভু, আমার সদাপ্রভু, তাঁর আত্মা আমার মধ্যে দিয়েছেনগরীবদের সঙ্গে কথা বলবার জন্য, তাদের ভগ্নহৃদয়ের ক্ষতে বন্ধনী জড়াবার জন্য এবং দুঃখীকে আরাম দেবার জন্য প্রভু আমাকে মনোনীত করেছেন ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন নির্যাতিতদের ও বন্দীদের জানাতে যে, তারা মুক্ত হচ্ছে 
 ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর উদারতা কখন দেখা যাবে সে সময়ের কথা ঘোষণা করার জন্য দুষ্ট লোকদের তাদের শাস্তির সময় ঘোষণা করবার জন্য প্রভু আমাকে পাঠিয়েছেনঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন দুঃখীদের স্বস্তি দিতে  

[বাইবেল, যিশাইয় (Isaiah) ৬১ : ১-২]

 

পার্থক্যগুলো কি চোখে পড়ছে?

দক্ষ পাঠক হয়তো ইতিমধ্যেই পার্থক্যগুলো ধরে ফেলেছেন। কিন্তু বাইবেলের বাংলা অনুবাদের নিম্নমানের জন্য অনেকেরই বুঝতে সমস্যা হতে পারে। আমি তাই সংশ্লিষ্ট অংশের অনুবাদ ইংরেজি বাইবেল থেকে দিচ্ছি। নিচের চার্ট থেকে দেখলে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। এখানে Isaiah 61 : 1-2 ও Luke 4 : 18-19 এর যেসব জায়গায় মিল আছে, সেখানে একই রং দ্বারা মার্ক করে দিয়েছি। আর যেসব জায়গায় মিল নেই, তার বামে ✘ দিয়েছি। আরো পার্থক্য বের করা যেতো, কিন্তু আমি এই ২ অধ্যায়ের লাইনগুলোতে মোটামুটি মিল থাকলেই সেটাকে আর পার্থক্য হিসাবে ধরিনি।

 

সূত্রঃ Bible, Isaiah 61 : 1-2 ও Luke 4 : 18-19 , Revised Standard Version [RSV]

 

আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে, বাইবেলের যিশু যিশাইয় (Isaiah) পুস্তক পাঠ করার সময় এই ৩টা কথা বাদ দিয়েছেন –-

 

১। he has sent me to bind up the brokenhearted, [বাংলা বাইবেলে -তাদের ভগ্নহৃদয়ের ক্ষতে বন্ধনী জড়াবার জন্য]

২। and the day of vengeance of our God; [দুষ্ট লোকদের তাদের শাস্তির সময় ঘোষণা করবার জন্য]

৩। to comfort all who mourn; [আমাকে পাঠিয়েছেন দুঃখীদের স্বস্তি দিতে]

 

আর “and recovering of sight to the blind,” [অন্ধদের কাছে দৃষ্টি ফিরে পাবার কথা ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন] এই কথাটা যোগ করেছেন, যা মূল যিশাইয় (Isaiah) ৬১ নং অধ্যায়ে নেই।

 

খ্রিষ্টানরা যদি ভিন্ন কোন উৎসমূলক পাণ্ডুলিপি (Source Manuscript) থেকে যিশুর কথার সাথে যিশাইয় (Isaiah) ৬১ এর কথাগুলো কোনোভাবে মিলিয়ে দেবার চেষ্টা করে, তাহলেও এটা প্রমাণ হবে যে বাইবেলের উৎসমূলক পাণ্ডুলিপিগুলোতে বিভিন্ন গড়মিল আছে। এ থেকে প্রমাণ হবে যে বাইবেলের উৎসেই গলদ আছে, বাইবেল মোটেই ঈশ্বরের অপরিবর্তনীয় কালাম নয়। আমি এখানে Revised Standard Version (RSV) বাইবেল ব্যবহার করেছি যেখানে বাইবেলের সব থেকে প্রাচীন পাণ্ডুলিপিগুলো থেকে অনুবাদ করা হয়েছে। [2]

 

একজন ঈশ্বরের নবী ও খ্রিষ্ট কী করে এভাবে ভুলভাবে পুরাতন কিতাব থেকে উদ্ধৃত করেন?

এর একাধিক ব্যাখ্যা হতে পারে। তবে ব্যাখ্যাগুলো উল্লেখের আগে একটা জিনিস বলে নেয়া জরুরী; এই ব্যাখ্যাগুলো উল্লেখের উদ্যেশ্য মোটেও যিশু খ্রিষ্টকে অসম্মান করা নয়। যিশু খ্রিষ্ট বা ঈসা(আ.) ইসলাম ধর্মেও একজন সম্মানিত নবী। আল্লাহ তাঁকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করেছেন। খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীদেরকে কষ্ট দেয়াও এখানে উদ্যেশ্য নয়। এখানে শুধুমাত্র বাইবেলের অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্যের কারণে সৃষ্ট ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করা হচ্ছে মাত্র। সত্যের প্রকাশের জন্যই এগুলো উল্লেখ করা হচ্ছে। ক্ষেত্রগুলো হলো --- 

 

১। বাইবেলের যিশু খ্রিষ্ট একজন ভণ্ড নবী। যার পুরাতন কিতাব সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই। তিনি বাইবেলের তাওরাতের [২য় বিবরণ  (Deuteronomy) ৪ : ২] আদেশ ভঙ্গকারী।

 

অথবা,

২।  বাইবেলের যিশু খ্রিষ্ট একজন ভণ্ড মাসিহ। লুক লিখিত সুসমাচারের ঐ অধ্যায়েরই শুরুর অংশে[3] বলা আছে যে, যিশুর কাছে শয়তান এসে ৪০ দিন ধরে  প্রলোভনে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছিল এবং আরো ভালো সুযোগের অপেক্ষা করে তাঁকে ছেড়ে গিয়েছিল! এর একটু পরেই যিশু উপাসনালয়ে গিয়ে নিজে থেকে কিতাবে যোগ-বিয়োগ  করলেন। এর মানে যিশু শয়তানের প্রলোভনে পড়েন এবং এর ফলেই পুরাতন কিতাব বিকৃত করে পাঠ করেন। শয়তানের প্ররোচনায় বিকৃতি বিধায় বাইবেলের এ অংশকে বলা যেতে পারে ‘Satanic Verse’

 

অথবা,

৩। বাইবেলের যিশু খ্রিষ্ট সঠিকভাবেই যিশাইয় (Isaiah) পুস্তক থেকে পাঠ করেছেন। কিন্তু বর্তমানকালের বাইবেলের যিশাইয় ৬১ নং অধ্যায়ে বিকৃতি আছে বলে এই পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

 

অথবা,

৪। যিশাইয় (Isaiah) পুস্তক অবিকৃতই আছে। কিন্তু নতুন নিয়মের লুক ৪ : ১৮-১৯ এ বিকৃতি আছে। ফলে এই পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

 

অথবা,

৫। যিশাইয় (Isaiah) এবং লুক লিখিত সুসমাচার উভয়ই বিকৃত। উভয় পুস্তকই মিথ্যা।

 

সাধারণ যুক্তি বলে, উপরের ক্ষেত্রগুলোর যে কোনো একটি অবশ্যই সত্য। আর এগুলোর যে কোনো একটি সত্য হবার অর্থ কী, তা চিন্তাশীলরা বুঝে নিক। খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারীদেরকে চিন্তার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। তাদের ধর্মপ্রচারকরা জাল হাদিস ব্যবহার করে লাগাতার ইসলামের বিরুদ্ধে Satanic Verse এর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আসছেন। কিন্তু বাস্তবিক অবস্থা কী দেখা যাচ্ছে।

 

আল কুরআনে উল্লেখিত ঈসা(আ.) এর ব্যাপারে এমন কোনো জটিলতা দেখা যায় না। আল কুরআনের ঈসা(আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত একজন নবী এবং মাসিহ। আল্লাহ তা’আলা তাঁকে শয়তান থেকে রক্ষা করেছেন। আল্লাহ তাঁকে কিতাব, হিকমাত, তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছেন। কাজেই তাঁর পক্ষে পুরাতন কিতাব বিকৃতভাবে পড়া সম্ভব নয়।

 

অতঃপর সে [ইমরানের স্ত্রী] যখন তা প্রসব করল, বলল, ‘হে আমার প্রভু, আমি তো কন্যা প্রসব করেছি আর আল্লাহই ভালো জানেন সে যা প্রসব করেছে তা সম্পর্কে। আর পুত্র সন্তান কন্যা সন্তানের মত নয় এবং আমি তার নাম রেখেছি মরিয়ম। আর নিশ্চয়ই আমি তাঁকে ও তাঁর সন্তানদেরকে বিতাড়িত শয়তান থেকে আপনার আশ্রয় দিচ্ছি

[আল কুরআন, আলি ইমরান ৩ : ৩৬]

 

যখন ফেরেশতারা বললোঃ হে মরিয়ম, আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বাণীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মাসিহ, মরিয়মের ছেলে ঈসা সে দুনিয়া ও আখিরাতে মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভূক্ত। আর সে মানুষের সাথে কথা বলবে দোলনায় ও পরিণত বয়সে এবং সে নেককারদের অন্তর্ভুক্ত। মরিয়ম বলল, ‘হে প্রভু, কীভাবে আমার সন্তান হবে? কোন পুরুষ তো আমাকে স্পর্শ করেনি’! [আল্লাহ] বললেন, ‘এভাবেই;  আল্লাহ যা চান সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাকে শুধু বলেন, ‘হওফলে তা হয়ে যায়।

আর তিনি তাঁকে শিক্ষা দেবেন কিতাব, হিকমাত, তাওরাত ও ইঞ্জিল

[আল কুরআন, আলি ইমরান ৩ : ৪৫-৪৮]

 

অতএব  আল কুরআনের ঈসা(আ.) একজন সত্য নবী এবং সত্য মাসিহ, যাঁকে স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা কিতাব শিক্ষা দিয়েছেন। বাইবেল ও এতে উল্লেখিত যিশুর ব্যাপারে আমরা মোটেও এটি বলতে পারছি না। কাজেই খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি মিথ্যাকে পরিত্যাগ করে সত্যকে গ্রহণ করার। 

 

 

পাদটিকা:

[1]  বাইবেলের ১ম ৫ টি বই ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের কাছে তাওরাত (Torah) বলে বিবেচিত। এগুলো Pentateuch নামেও পরিচিত।

[2]  "Preface to the Revised Standard Version of the Bible (1971)"
http://www.bible-researcher.com/rsvpreface.html

[3]  “সেখানে চল্লিশ দিন ধরে দিয়াবল[Devil / শয়তান] তাঁকে [যিশু] প্রলোভনে ফেলতে চাইল৷ সেই সময় তিনি কিছুই খাদ্য গ্রহণ করেন নি৷ ঐ সময় পার হয়ে গেলে যিশুর খিদে পেল৷ তখন দিয়াবল তাঁকে বলল, ‘তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এই পাথরটিকে রুটি হয়ে য়েতে বল৷’ এর উত্তরে যিশু তাকে বললেন, ‘শাস্ত্রে লেখা আছে: ‘মানুষ কেবল রুটিতেই বাঁচে না৷” এরপর দিয়াবল তাঁকে একটা উঁচু জায়গায় নিয়ে গেল আর মুহূর্তের মধ্যে জগতের সমস্ত রাজ্য দেখাল৷ দিয়াবল যিশুকে বলল, ‘এই সব রাজ্যের পরাক্রম ও মহিমা আমি তোমায় দেব, কারণ এই সমস্তই আমাকে দেওয়া হয়েছে, আর আমি যাকে চাই তাকেই এসব দিতে পারি৷ এখন তুমি যদি আমার উপাসনা কর তবে এসবই তোমার হবে৷’ এর উত্তরে যিশু তাকে বললেন, ‘শাস্ত্রে লেখা আছে:‘তুমি কেবল তোমার প্রভু ঈশ্বরকেই উপাসনা করবে, কেবল তাঁরই সেবা করবে!’ এরপর দিয়াবল তাঁকে জেরুশালেমে নিয়ে গিয়ে মন্দিরের চূড়ার ওপরে দাঁড় করিয়ে বলল, ‘তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এখান থেকে লাফ দিয়ে নীচে পড়৷ কারণ শাস্ত্রে লেখা আছে: ‘ঈশ্বর তাঁর স্বর্গদূতদের তোমার বিষয়ে আদেশ দেবেন যেন তারা তোমাকে রক্ষা করে৷’ আরো লেখা আছে: ‘তারা তোমাকে তাদের হাতে করে তুলে ধরবে যেন তোমার পায়ে পাথরের আঘাত না লাগে৷” (গীত 91 :11-12) এর উত্তরে যিশু তাকে বললেন, ‘শাস্ত্রে এ কথাও বলা হয়েছে: ‘তুমি তোমার প্রভু ঈশ্বরের পরীক্ষা করো না৷” এইভাবে দিয়াবল তাঁকে সমস্ত রকমের প্রলোভনে ফেলার চেষ্টা করে, আরো ভাল সুযোগের অপেক্ষায় যিশুকে ছেড়ে চলে গেল৷”

 [বাইবেল, লুক ৪ : ২-১৩]