Pray for the world economy

উন্নত বিশ্বে ধর্ষণ

 

ধর্ষণের রিপোর্টিং কি উন্নত বিশ্বে বেশি?

প্রথমে আমরা কিছু পরিসংখ্যান দেখি। World Population Review-এর ২০২০ এর রিপোর্ট। ব্র্যাকেটের সংখ্যাটা ধর্ষণের হার (প্রতি লাখে)
 
 
উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ধর্ষণের হার বেশি। আমরা ‘স্থান সমস্যা’র ক্ষেত্রে নানা দেশের পরিসংখ্যান দেখেছি। বিশেষত যখন উন্নত বিশ্বে ধর্ষণ বেশি— বলা হয়, কথার কথা যদি বলি সুইডেনে ধর্ষণের হার বেশি কেন? তখন পশ্চিমা আধুনিকতার ভক্তরা বলেন, উন্নত দেশে আইনশৃঙ্খলা ভালো, সামাজিক কুসংস্কার নেই, মানুষ ঘটনা লুকোয় না। তাহলে ধর্ষণ বেশি কেন, একই জবাব কি সুইডেন বাদে বাকি দেশগুলোর জন্যও? না, নিচের চার্টে সুইডেন এবং টপটেনের বাকি দেশগুলোর বাস্তবতা আসলেই ভিন্ন।
 
ধর্ষণের টপ-টেন (প্রতি লাখ জনসংখ্যায়)

South Africa (132.40)
Botswana (92.90)
Lesotho (82.70)
Swaziland (77.50)
Bermuda (67.30)
Sweden (63.50)
Suriname (45.20)
Costa Rica (36.70)
Nicaragua (31.60)
Grenada (30.60)
 
১ম চার্টে ডানপাশের দেশ, মানে প্রাচ্যের রক্ষণশীল সমাজের দেশগুলোতে ধর্ষণ কম। এর ব্যাখ্যা তাদের কাছে হল: এখানে সমাজের ভয়ে ভিকটিম জানায় না, আইনশৃঙ্খলার প্রতি আস্থা কম থাকায় জানায় না। রিপোর্টিং কম হয়। তাহলে আমরা বুঝলাম ইউরোপ আমেরিকা ছাড়া বাকি দেশগুলোতে ধর্ষণ বেশি হলেও আইনশৃঙ্খলা খারাপ, কমে গেলেও আইনশৃঙ্খলা খারাপ। আর ইউরোপে বেশি পেলেও আইন-জীবনমান ভালো বলে বেশি এসেছে। আবার কমে গেলেও আইন-জীবনমান ভালো বলে কমে গেছে। সত্যি সেলুকাস! স্ট্যান্ডার্ড কি দুটোই, না আরও আছে?

একটা দেশে ধর্ষণ সংখ্যা বেশি, এর দু’টো অর্থ হতে পারে—

১। আসলেই ধর্ষণ বেড়েছে।

২। আসলে বাড়েনি। সে দেশের মানুষ সচেতন হয়েছে, সামাজিক বাধা কম, তাই তারা আরও ফ্রী-ভাবে ধর্ষণের ঘটনা রিপোর্ট করছে। এজন্য ঘটনা বেশি দেখাচ্ছে।

 
দুটো অর্থ mutually exclusive, একটা আরেকটাকে বাতিল করে। যেমন ধরেন, সুইডেনে ধর্ষণের হার লক্ষে ৬৩.৫ জন (টপ-ফাইভ)। আরব আমিরাতে লক্ষে ১.৫ জন। সর্বোচ্চ দক্ষিণ আফ্রিকায় লক্ষে ১৩২ জন। এখন হয় আপনাকে বলতে হবে—

 

১। আসলেই সুইডেনে ধর্ষণ বেশি, আমিরাতে কম হচ্ছে। আসলেই সুইডেনের তুলনায় আমিরাতে আইন-সমাজব্যবস্থা-পরিবার ব্যবস্থা-অবাধ মেলামেশায় বাধা, এগুলো কাজে দিচ্ছে।

২। নয়তো বলতে হবে, সুইডেনে মানুষ বেশি সচেতন, রিপোর্টিং বেশি। আমিরাতে সামাজিক কুসংস্কারের দরুন রিপোর্টিং কম। এখন আপনি ঠিক করুন, আপনি কোনটা বলবেন? এবার সামনে আগান।

 

রিপোর্টিং

আচ্ছা, ধরে নিলাম, আপনার মত ২ নম্বরটা। আধুনিক হিসেবে নিজেকে জাহির করতে আপনাকে অবশ্যই ২ নম্বর মত পোষণ করতে হবে, নইলে আপনি একজন পটেনশিয়াল রেপিস্ট। আপনি এই মতে অটল যে, উন্নত বিশ্বে রিপোর্টিং বেশি। কনজারভেটিভ দেশে (মুসলিম) রিপোর্টিং কম হচ্ছে।
 
 

বামপাশের কলামে যোগ করে নিন:

বৃটেন: ২০১২ সালে প্রতি ১০ জনে ১ জন বৃটিশ নারী ধর্ষিতা হয়েছে। ১৬০০ জনের ইন্টারভিউ নেয়া হয়েছে এক স্টাডিতে। ৮০%-ই পুলিশকে জানায়নি। ২৯% কাউকেই জানায়নি। [a]

ফ্রান্স: ফ্রান্সের National Observatory on Crime and Criminal Justice Responses (ONDRP) জানাচ্ছে, ২০১৩-২০১৪ সালের প্যারিসে হওয়া মোট রেপের ১০টার ভিতর ৯টাই রিপোর্ট হয়নি (৯০%)। [b]

নেদারল্যান্ড: ২০১৯ সালের ১ম ৯ মাসে ৩৭% রেপ কেস রিপোর্ট হয়েছে। ৬৩% (প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ) রিপোর্ট হয়নি।

 

তাহলে আমরা দেখলাম যে, রিপোর্ট বেশি বেশি হবার যে দাবি উন্নত বিশ্বের ক্ষেত্রে করা হচ্ছে তা ভুল ও অন্ধবিশ্বাস-তাড়িত, তাদেরও ধর্ষণের উচ্চহার ‘Tip of the Iceberg’, ৮০-৯০% কেসই সেখানে রিপোর্ট হয় না। উন্নত বিশ্বে রেপ হতেই পারে না, তাদের আইনশৃঙ্খলা ভালো— এটা একটা বিশ্বাস। পরিসংখ্যান সে কথা বলে না। ৮০-৯০% কেস রিপোর্ট না হয়েই সুইডেনের মত দেশের রেপের হার উচ্চ, ৮০-৯০% রিপোর্ট না হয়েই প্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশের রেপের হার নিম্ন।
রক্ষণশীল দেশগুলোতে না হয় বুঝলাম— ধর্ষিতার প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, আইনশৃংখলার প্রতি অনাস্থা, নারীর প্রতি বৈষম্য, পুরুষতন্ত্র ইত্যাদির কারণে ৮০-৯০% কেস রিপোর্ট হল না। কিন্তু উন্নত বিশ্বে কী সমস্যা যে, একই হারে রিপোর্ট হচ্ছে না, তাদের তো সামাজিক উদারদৃষ্টি, নারীর প্রতি বৈষম্যহীন ফ্রীমিক্সিং, শক্ত আইনশৃঙ্খলা রয়েছে। তবে কেন? প্রতিটি দেশ তো আলাদাভাবে আনা এখানে সম্ভব না, আমরা আমেরিকার অবস্থা দিয়ে বুঝার চেষ্টা করি—
 
 
তাহলে ঘুরেফিরে ব্যাপারগুলো একই। এখন, যদি উন্নত ও রক্ষণশীল উভয় জায়গাতেই ৮০-৯০% রেপ রিপোর্ট না হয় (সেটা যে কারণেই হোক— স্বাভাবিকভাবে নেবার দরুনই হোক, আর সামাজিক চাপের কারণেই হোক), তাহলে উন্নত বিশ্বে রেপ এতো বেশি আসার কারণ কী? রিপোর্ট না হবার হার তো একই, বা কাছাকাছিই। রিপোর্টিং দায়ী না, দায়ী অন্য কিছু।

১। আসলেই সেখানে রেপ বেশি হচ্ছে, তাই বেশি বেশি আসছে।

২। এখন ২য় যে সম্ভাবনার কথা বলা যায় তা হল, কনজারভেটিভ দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা ন্যারো। স্বামী কর্তৃক ধর্ষণ অপরাধ হিসেবে গণ্য না, ফলে ধর্ষণের সংখ্যা কমে আসে। যেহেতু উন্নত বিশ্বে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ অপরাধ বলে স্বীকৃত, তাই এগুলো সহ বেশি আসছে।

 

সংজ্ঞা

আধুনিকতা টিকিয়ে রাখতে এখন আপনাকে বলতে হবে, ২ সত্য। দেখা যাক। এখানে যে সমস্যাটা হয়, অধিকাংশ রিসার্চ হয় সঙ্গী দ্বারা ধর্ষণ (intimate partner violence) নিয়ে। ম্যারাইটাল রেপের ভিতর তারা সাবেক স্বামী ও লিভ-টুগেদার পার্টনার দ্বারা ধর্ষণও নিয়ে আসে। রক্ষণশীল দেশে (বিশেষত মুসলিমদের মাঝে) এসবের জায়গা নেই। তারপরও প্রাক্তন স্বামী দ্বারা ধর্ষণসহ, আমেরিকার টোটাল যৌন নির্যাতনের ১০% স্বামী বা প্রাক্তন স্বামী দ্বারা [1]
 
২০০৭ সালের হিসেবটাতে ১৮% আমেরিকান নারী তাদের জীবনে ধর্ষণের শিকার ২ কোটি)। ঐবছর মোট রেপকেসের সংখ্যা ৯২,১৬০; এর ১০% স্বামী ও প্রাক্তন স্বামী করেছে ৯২১৬)। ধরেন এর পুরোটাই রিপোর্ট হয়নি, চেপে গেছে। দেন বাদ এটুকু, রইল ৮২৯৪৪ টি কেস।
৩০ কোটি ১২ লাখ মানুষের মধ্যে ৮২৯৪৪ টি ধর্ষণ। বৈবাহিক ধর্ষণ বাদে হার প্রতি লাখে ২৭.৫৩ জন। বৈবাহিক ধর্ষণ ধরে লাখে ৩০.৬ জন। সুতরাং বৈবাহিক ধর্ষণ বাদ দিলেই যে ধর্ষণসংখ্যা বা ধর্ষণের হার টুপ করে প্রাচ্যের দেশগুলোর মত, বা শুন্যের কাছাকাছি চলে আসবে তা নয়। বরং বৈবাহিক ধর্ষণ বাদ দিয়ে বা না দিয়ে খুব একটা তারতম্য হয় না।
 
ইতালিতে ২০০৬ সালে ৯১.৪% কেস পুলিশে রিপোর্ট হয়নি [2]। শুধু স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড দ্বারা রেপ রিপোর্ট হয় না তা না, non-partner দ্বারা রেপেরও ৯৬%-এরই রিপোর্ট হয়নি। সুতরাং কেবলমাত্র বৈবাহিক ধর্ষণ-কে গোণা হয়েছে বলে রিপোর্টিং বেশি হয়েছে এটা অগ্রহণযোগ্য।
 
স্পেশালি আমরা সুইডেনের ব্যাপারটা আলোচনা করবো। সুইডেন পশ্চিমা আধুনিক সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামোর রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। জীবনমান, আইনের শাসন, নিরাপত্তা, উদারনৈতিকতা, নারী উন্নয়ন, অর্থনীতির সব প্যারামিটারে সুইডেন আধুনিক সমাজের উদাহরণ হিসেবে একটা টার্গেট মডেল (world's most highly developed post-industrial societies)।
 

সেই সুইডেনে এই সহস্রাব্দের শুরু থেকে ধর্ষণের হার উঠে আছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে—

১. সুইডেনে ধর্ষণের সংজ্ঞা তুলনামূলক প্রশস্ত।
২. সুইডিশ পুলিশের রেপ রেকর্ডের পন্থা ভিন্ন।
৩. criminal justice system-এর প্রতি আস্থা৪. unreported rape কমিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতা

 

  • ধর্ষণের সংজ্ঞা প্রশস্ত। আগে ছিল, সম্মতি ছাড়া নারীর যোনি বা পায়ুতে সঙ্গম করাকে ধর্ষণ ধরা হবে। ১৯৬২ সালের দণ্ডবিধিতে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’কে ধর্ষণ না, বরং জুলুম (violation) হিসেবে রাখা হয়েছিল।
  • ১৯৮৪ সালে সেটা করা হল জেন্ডার-নিউট্রাল, যার আওতায় পুরুষকে ধর্ষণও আসবে। সামাজিক অপরাধের চেয়ে বরং ব্যক্তির আত্ম-অধিকারের লংঘন প্রাধান্য পেল।
  • ২০০৫ সালের আইনে, ধর্ষণ (অসম্মতিতে সহবাস)-কে আরও অন্যান্য অপরাধের সাথে মিলিয়ে এক আইনের অধীনে আনা হল। সেক্সে জোরাজুরি, নির্ভরশীল হয়ে পড়া কাউকে যৌনতায় ব্যবহার, শিশুদেরকে যৌনকাজে লাগানো, অজাচার, শিশুদেরকে পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহার, শিশু পতিতাবৃত্তি ইত্যাদি। ‘যৌন অপরাধ আইনে’ শুধু জোরপূর্বক সঙ্গম না; ওরাল সেক্স, আঙুল বা কোনো বস্তু দ্বারা প্রবেশন, এমনকি সম্মতি ছাড়া যৌনস্পর্শকেও আওতায় আনা হয়েছে। মোদ্দাকথা ধর্ষণকে আলাদা না রেখে, সবকিছুকে একসাথে ‘যৌন অপরাধ’ সংজ্ঞায় আনা হয়েছে। তাহলে রেপ-রেট এর ভিতরে কেন সব কিছুকে আনা হচ্ছে? এর সব তো আর রেপ না। এছাড়া অজ্ঞান ও মাতাল অবস্থায় সঙ্গম তো আছেই। ফলে ২০০৫-এর আগে লাখপ্রতি হার ছিল ২০-এর ঘরে, ২০০৫ থেকে হয়ে গেল ৪১।
  • ২০১৮ সালের আইনে বলা হল: জোর করুক বা না করুক, হুমকি দিক বা না দিক, মনে মনে সম্মতি নেই, এমন সহবাস মানেই ধর্ষণ। ভিকটিমের পক্ষ থেকে শারীরিক প্রতিরোধ থাকা জরুরি না। [3]
 
তাহলে ২০০৫ এর আগে যখন ধর্ষণের সংজ্ঞা ন্যারো ছিল, তখনকার সময়ে যাওয়া যাক। সেসময় কার কী অবস্থা? সেসময় সুইডেনের ২২-২৯ জন লাখপ্রতি [4], আমিরাতের ১.২-১.৩ জন লাখপ্রতি [5]। তখন ইউরোপ ও প্রাচ্য দু’জায়গারই ধর্ষণের সংজ্ঞা ন্যারো, দু’জায়গারই রিপোর্টিং ৮০-৯০% হয় না (সেটা যে কারণেই হোক)।
 
The National Council for Crime Prevention, BRÅ-এর মতে, যৌন-অপরাধের শিকার যারা হয়েছে, তাদের ১৫% সেটাকে ধর্ষণ বলে স্পেসিফাই করেছে। সে হিসেবে ২০০৬ সালে actual number of rapes ছিল ৩০,০০০; যার মধ্যে ১০% ৩০০০) পুলিশ রিপোর্টে এসেছে। [6] মানে লাখে ৩৩ জন।
 
মানে সংজ্ঞা প্রশস্ত করে নেয়ার আগেও এসব জায়গায় ধর্ষণ বেশিই ছিল। এখন প্রশস্ত করে নিয়ে আরও বেড়েছে। সংজ্ঞা ঠিক রেখে, অ-রিপোর্টেড কেস ধরে নিয়েই উন্নত বিশ্বে ধর্ষণ প্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বেশি। উভয়পাশেই ৮০-৯০% কেস রিপোর্ট হয় না। এই ৮০-৯০% ধরে নিয়েও যার আগে বেশি ছিল, তার এখনও বেশি। যার আগে কম ছিল তার ৮০-৯০% ধরেও কমই থাকে।
 
ইউরোপ আমেরিকার ধর্ষণ আসলেই বেড়েছে, এটা নিয়ে তাদের নিজেদের সমাজবিদরাই চিন্তিত। কিন্তু এদেশীয় ইউরোপীওরা তা মানতে নারাজ। ইউরোপীয় অভিজ্ঞতার বাইরে যে সমাজ নিয়ন্ত্রণ, আইন কাঠামো, পরিবার কাঠামো, রাষ্ট্রচিন্তা থাকতে পারে। সেটা যে ইউরোপীয় পুঁজিবাদী তরিকার চেয়ে কল্যাণ বেশি দিতে পারে, তা এদের tamed মগজে ধরার না। আধুনিকতা মানে যদি হয় পশ্চিমায়ন, সে আধুনিকতা প্রাচ্যের এবং মুসলিমদের দরকার নেই, সে আধুনিকতা সার্বজনীন না। ইউরোপের নিজস্ব বাস্তবতায় ওকে, আমাদের বাস্তবতায় এই আধুনিকতা কেবলই একটা provincialized আঞ্চলিক ধারণা, যা মানতে আমরা বাধ্য নই। যাদের মানার তারা মানুকগে।
পশ্চিম এসব ধারণা প্রয়োগ করে উন্নত হয় নি। নারীবাদ করে, ধর্মনিরপেক্ষতা করে, সুশাসন করে, ফ্রীমিক্সিং করে আজকের এই জায়গায় আসেনি। তারা এসেছে উপনিবেশ চুষে, এবং সেই পুঁজি বিজ্ঞানে খাটিয়ে। সামরিক শক্তিতে। এই সহজ ইতিহাসটা কেবল নব্য-উপনিবেশের মনস্তাত্ত্বিক নেটিভরা ছাড়া আর কেউ অস্বীকার করে না।
 
 

তথ্যসূত্রঃ 

[1]rape in America, 1992, national victim centre সূত্রে RAINN এবং Tario & Associates

[2]ITALIAN NATIONAL STATISTIC INSTITUTE (ISTAT) SURVEY ON VIOLENCE AGAINST WOMEN 2006, UN Secretary General’s database on violence against women.[3]Sweden approves new law recognising sex without consent as rape, 24 May 2018, BBC

[4]Nordic Criminal Statistics 1950–2010, Summary of a report. 8th revised edition, Kriminologiska institutionen, Stockholms universitet

[5]United Arab Emirates - Rape rate, Knoema

[6]CASE CLOSED: RAPE AND HUMAN RIGHTS IN THE NORDIC COUNTRIES, The Danish, Swedish, Finnish and Norwegian sections of AMNESTY INTERNATIONAL, p53

 

[a]Nina Lakhani (12 March 2012). Unreported rapes: the silent shame. The Independent

[b]Pierre Longeray (25 January 2016). New Study Looks at Rapes in Paris — And Says Nine Out of Ten Go Unreported. VICE news