Pray for the world economy

মারিয়া কিবতিয়ার(রা.) ব্যাপারে অপবাদের ঘটনা - নবী(ﷺ) কি বিনা বিচারে হত্যার আদেশ দিতেন?

 

অভিযোগঃ

বাংলাদেশি নাস্তিকদের মাঝে জনপ্রিয় একটি ব্লগে অভিযোগ করা হয়েছেঃ

 

সহিহ মুসলিম শরীফ থেকে আরেকটি হাদিস পড়ে নিই। এই হাদিস থেকে জানা যায়, নবী মুহাম্মদের উম্মে ওয়ালাদ বা মারিয়া কিবতিয়ার সাথে এক ব্যক্তির যৌন সম্পর্কের অভিযোগ শুনেই নবী মুহাম্মদ কোন বিচার আচার সাক্ষী সাবুদের তোয়াক্কা না করে হযরত আলীকে পাঠায় সেই ব্যক্তিকে খুন করে আসার জন্য। অথচ ইসলামী শরীয়তের বিধান হচ্ছে, ব্যাভিচারের জন্য চারজন পুরুষ সাক্ষীর সাক্ষ্য দিতে হয় যে, যারা সুরমা দানীর মধ্যে সুরমা শলাকা যেভাবে প্রবেশ করে সেইভাবে ব্যভিচারের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। অথচ মারিয়া কিবতিয়ার সাথে আরেক লোকের সম্পর্ক আছে, এরকম শুনেই নবী তাকে খুন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এ থেকে পরিষ্কার হয়, মারিয়া কিবতিয়াকে নিয়ে খোদ নবীর মনেও নানা সন্দেহ ছিল।

 

জবাবঃ

আমরা এই সংক্রান্ত হাদিসটি শুরুতেই দেখে নিই।

 

عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، كَانَ يُتَّهَمُ بِأُمِّ وَلَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِعَلِيٍّ " اذْهَبْ فَاضْرِبْ عُنُقَهُ " . فَأَتَاهُ عَلِيٌّ فَإِذَا هُوَ فِي رَكِيٍّ يَتَبَرَّدُ فِيهَا فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ اخْرُجْ . فَنَاوَلَهُ يَدَهُ فَأَخْرَجَهُ فَإِذَا هُوَ مَجْبُوبٌ لَيْسَ لَهُ ذَكَرٌ فَكَفَّ عَلِيٌّ عَنْهُ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لَمَجْبُوبٌ مَا لَهُ ذَكَرٌ

অর্থঃ “আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ() এর উম্মে ওয়ালাদের সাথে এক ব্যক্তির প্রতি অভিযোগ (অপবাদ) উত্থাপিত হয়। তখন রাসুলুল্লাহ() আলী (রাঃ) কে বললেন, যাও। তার গর্দান উড়িয়ে দাও। আলী (রাঃ) তার নিকট গিয়ে দেখলেন, সে কুপের মধ্যে শরীর শীতল করছে। আলী (রাঃ) তাকে বললেন, বেরিয়ে আস। সে আলী (রাঃ)এর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। তিনি তাকে বের করলেন এবং দেখলেন, তার পূরুষাঙ্গ কর্তিত, তার লিঙ্গ নেই। তখন আলী (রাঃ) তাকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকলেন। তারপর তিনি নবী() এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে তো লিঙ্গ কর্তিত তার তো লিঙ্গ নেই।”  [1]

 

উল্লেখ্য নবী() এর উম্মে ওয়ালাদ ছিলেন মারিয়া কিবতিয়া(রা.)। [2] হাদিসের মূল বক্তব্য থেকে এটি পরিষ্কার যে মারিয়া কিবতিয়া(রা.) এর প্রতি যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিল তা নিতান্তই অপবাদ। এর পেছনে কোনো সত্যতা ছিল না। যে ব্যক্তিকে জড়িয়ে তাঁর ব্যাপারে অপবাদ দেয়া হয়েছিল সেই ব্যক্তির এহেন কর্ম করবার ক্ষমতাই ছিল না।

 

তবে হাদিসের সাধারণ অনুবাদ দেখে কারো মনে এই প্রশ্ন জাগতে পারে, নবী() একটি অভিযোগের কথা শুনেই কেন ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করবার আদেশ দিয়ে আলি(রা.)কে প্রেরণ করলেন? ইসলামী দণ্ডবিধিতে তো ব্যাভিচারের অভিযোগের ক্ষেত্রে সাক্ষ্যপ্রমাণের বিষয় রয়েছে। [3] এর পূর্বেই কেন তাকে হত্যার আদেশ দেয়া হল?

এখানে আরো একটি প্রশ্ন আসতে পারে। হাদিসে দেখা যাচ্ছে নবী() যে ব্যক্তিকে হত্যার আদেশ দিলেন, সেই ব্যক্তি পরে নির্দোষ প্রমাণ হল, ফলে আলি(রা.) তাকে হত্যা করা থেকে বিরত রইলেন। নবী() কি তবে ভুল ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে হত্যার আদেশ দিলেন? একজন নবী কী করে ভুল ব্যক্তিকে শাস্তির আদেশ দিতে পারেন?

 

এই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনুল কাইয়িম জাওযিয়্যাহ(র.) তাঁর সুবিখ্যাত ‘যাদুল মাআদ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ

 

এটি সুলাইমান(আ.) এর ঘটনার অনুরূপ, যেখানে দুইজন নারী তাঁর নিকটে সন্তান নিয়ে বিতর্ক করছিল আর তিনি তাদেরকে ছুরি দিয়ে সন্তানটিকে কেটে নিজেদের মাঝে দুই ভাগ করে নিতে বলেছিলেন, যদিও তিনি প্রকৃতপক্ষে তা চাননি। বরং তিনি এই কথার দ্বারা বিষয়টি (সন্তানটি প্রকৃতপক্ষে কার) স্পষ্ট করতে চাচ্ছিলেন। ঠিক এই কারণেই ইমামগণ এই হাদিসের এরূপ অর্থ করেছেন – “সত্য উদঘাটনের উদ্দেশ্যে বিচারক যখন সত্যের বিপরীতটা বলে থাকেন।” রাসুলুল্লাহ() ঐ ব্যক্তির এবং মারিয়া(রা.) এর নির্দোষ হবার ব্যাপারে জানতে চাচ্ছিলেন। আর তিনি এটা জানতেন যে তলোয়ার দেখলে সে নিজের অবস্থার ব্যাপারে সত্য প্রকাশ করে দেবে।[4]

 

ইমাম ইবনুল কাইয়িম(র.) এর উল্লেখিত এই ব্যাখ্যাটি একটি সহীহ হাদিসের সাহায্যে করা হয়েছে। হাদিসটি রয়েছে ‘সুনান নাসায়ী’তে। হাদিসটির পরিচ্ছেদের নামঃ

السِّعَةُ لِلْحَاكِمِ فِي أَنْ يَقُولَ لِلشَّيْءِ الَّذِي لَا يَفْعَلُهُ أَفْعَلُ لِيَسْتَبِينَ الْحَقُّ

[সত্য উদঘাটনের লক্ষ্যে বিচারক যদি বলে, আমি এই কাজ করব, আসলে সে তা করবে না]

 

পূর্ণ হাদিসটি নিম্নরূপঃ

 

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী() বলেছেনঃ দুইজন নারী বের হলো, আর তাদের সাথে ছিল তাদের দুই সন্তান। এক নারীকে নেকড়ে বাঘ আক্রমণ করে তার সন্তান নিয়ে গেল। অবশিষ্ট সন্তানের ব্যাপারে উভয় নারী দাউদ (আঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিজের সন্তান বলে দাবি করলো। তিনি তাদের মধ্যে যে নারী বয়সে বড় ছিল, তার পক্ষে রায় দিলেন। অবশেষে তারা যখন সুলায়মান (আ)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের ব্যাপারে কি আদেশ দেয়া হয়েছে? তারা তাঁর নিকট ঘটনা বর্ণনা করল। তিনি বললেনঃ একখানা ছুরি নিয়ে এস, আমি এই শিশুটিকে দু’ভাগ করে তাদের মধ্যে বণ্টন করে দিব। তখন ছোট নারী বললোঃ আপনি কি তাকে দ্বিখণ্ডিত করবেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। সে বললোঃ আপনি এরূপ করবেন না, আমার অংশ আমি তাকে দিয়ে দিলাম। তখন  তিনি বললেনঃ এই শিশুটি তোমার; তিনি তার পক্ষেই রায় দিলেন[5]

 

এই হাদিসেই উদাহরণ উল্লেখ রয়েছে যে কখনো কখনো একজন ইসলামী বিচারক সত্য উদঘাটনের উদ্দেশ্যে এমন কিছু করতে বলেন যা তাঁর মূল উদ্দেশ্য থাকে না। এই অনুসারে হাদিসের ইমামগণ পরিচ্ছেদেরও নামকরণ করেছেন। নবী() একজন বিচারক হিসেবে আলি(রা.)কে এমন একটি বিষয় বলেছেন যেটি মূল উদ্দেশ্য ছিল না। কাজেই এটি বলা মোটেও ঠিক হবে না যে নবী() বিনা কারণে বা বিনা বিচারে কাউকে হত্যার আদেশ দিতেন কিংবা মারিয়া(রা.)কে নিয়ে তিনি খারাপ সন্দেহ করতেন

 

আলোচ্য হাদিসের ব্যাপারে উলামাদের থেকে আরো একটি ব্যাখ্যা বর্ণিত হয়েছে। আলোচ্য হাদিস প্রসঙ্গে ইমাম কুরতুবী(র.) তাঁর ‘আল মুফহিম’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন,

 

এই কথার দ্বারা সংশয় সৃষ্টি হয়— তিনি() কী করে ঐ লোকের গর্দান উড়িয়ে দেবার আদেশ দিলেন, যেখানে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবার মতো উপযুক্ত কারণ নেই? লোকটির প্রকৃত অবস্থা [অর্থাৎ লোকটি লিঙ্গবিহীন খোজা তথা ব্যাভিচার করতেই অক্ষম] প্রকাশ হয়ে যাবার পরেই কি এটা প্রকাশ হয়ে গেল না [যে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবার মতো উপযুক্ত কারণই ছিল না] ?

এই সংশয় দূরীভূত হয়ে যায় [এই হাদিসের দ্বারা], হাদিসটি বর্ণনা করেছেন আবু বকর বাযযার(র.)। যেই হাদিসে এই ঘটনার আরো বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে এবং বিষয়টির ব্যাখ্যা রয়েছে। হাদিসটিতে উল্লেখ আছে, আলি বিন আবি তালিব(রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, “মারিয়া(রা.) এর একজন কিবতী (মিসরদেশীয়) চাচাতো ভাই তাঁর কাছে অতিমাত্রায় যেতো এবং বিষয়টা নিয়ে মারিয়া (রা.) এর ব্যাপারে অনেক মন্তব্য আসছিল। অতঃপর রাসুলুল্লাহ() আমাকে বললেন, এই তলোয়ারটা নাও এবং যাও। যদি তুমি তার কাছে তাকে পাও, তবে হত্যা করো। তিনি [আলী(রা.)] বলেছেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল, আপনি যখন আমাকে কোথাও দূত হিসাবে পাঠান তখন আমি কি উত্তপ্ত মুদ্রা ছাপানোর যন্ত্রের মত [6] হব, নাকি উপস্থিত যা দেখতে পায়, অনুপস্থিত তা দেখতে পায় না? রাসুলুল্লাহ() বললেনঃ উপস্থিত যা দেখতে পায়, অনুপস্থিত তা দেখতে পায় না … … ”  [7]

এ থেকে প্রমাণ হল, ঐ ব্যক্তিকে হত্যার শর্ত ছিল যদি তাকে তাঁর [মারিয়া(রা.)] সঙ্গে ঐ অবস্থায় পাওয়া যায় যে অবস্থায় পাওয়া গেলে মৃত্যুদণ্ড ধার্য করা হয় [অর্থাৎ ব্যাভিচাররত অবস্থায়]। আর আলি(রা.) যখন তার ব্যাপারটি বুঝতে পারলেন, তখন তিনি তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। আর তিনিও তাঁকে সন্তোষজনক জবাব দিলেন।

ফলে এই বিষয়ে আর কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই।” [8]

 

যদি রাসুলুল্লাহ() এর অনুপস্থিতিতে কোনো গাইর মাহরাম ব্যক্তি গোপনে তাঁর স্ত্রী বা বাঁদীপত্নীর গৃহে প্রবেশ করে, তাঁর সহিত ব্যাভিচার করে, তবে ইসলামী দণ্ডবিধি অনুয়ায়ী তা মহাপাপ এবং মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ। এটা সাধারণ ব্যাভিচারের আওতায় নয় বরং শাতিমের আওতায় পড়ে যা ইসলামী দণ্ডবিধিতে আলাদা একটি অপরাধ। আলোচ্য ঘটনায় নবী() এর এই আদেশ এর আওতায় ছিল। সাধারণ ব্যাভিচারে যেরূপ সাক্ষ্য-প্রমাণ দেখা হয়, বিবাহিত নাকি অবিবাহিত এই বিষয়গুলোও দেখা হয়, বেত্রাঘাত কিংবা রজমের বিষয় আসে, এখানে তা হয়নি কেননা এটি ভিন্ন একটি অপরাধের আওতাধীন ছিল। [9] কিন্ত এখানে একদম বিচার-বিবেচনা ব্যতিত নয়, বরং আলি(রা.)কে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এরপরেই দণ্ড কার্যকর করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ইমাম বাযযার(র.) এর হাদিস থেকে যা স্পষ্ট। এবং উপযুক্ত তথ্য অনুসন্ধানের দ্বারা আলি(রা.) যখন নিশ্চিত হলেন ঐ ব্যক্তি অপরাধী না, তখন তিনি তাকে শাস্তি প্রদানে বিরত রইলেন।

 

আরেকটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার। আল্লাহ তা’আলা ব্যতিত আর কেউ গায়েবের সংবাদ জানেন না। রাসুলুল্লাহ() একজন মানুষ ছিলেন, তিনিও গায়েব জানতেন না। [10] ওহীর মাধ্যমে যতটুকু তাঁকে জানানো হতো, সেটি ছিল তাঁর জ্ঞানের আওতা। কারো ব্যাপারে আগে থেকে খারাপ সন্দেহের বিষয় এখানে নেই। তিনি একটি অপরাধের ব্যাপারে শ্রবণ করে শাসক বা বিচারক হিসেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় সেই ব্যক্তি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে শাস্তি প্রদান করা হয়নি। কাজেই এখানে বিনা বিচারে কাউকে কিছু করা হয়নি, কারো প্রতি অবিচারও করা হয়নি।   

 

অতএব উপরের আলোচনার আলোকে আমরা বলতে পারি মারিয়া কিবতিয়া(রা.) একজন পবিত্র ও সতী নারী এবং এখানে নবী() এর ব্যাপারে বিনা বিচারে হত্যার আদেশ প্রদানের যে অভিযোগ আনা হয় তা ভ্রান্ত ও অসার।

 

 

তথ্যসূত্রঃ


[1] সহীহ মুসলিম, হাদিস নং : ৬৭৬৬

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=19089

[2] বিস্তারিত দেখুনঃ "Was Mariyah al-Qibtiyyah one of the Mothers of the Believers?" - IslamQA (Shaykh Muhammad Saalih al-Munajjid)

https://islamqa.info/en/47572/

অথবা https://archive.is/wip/2zWKI (আর্কাইভকৃত)

[3] বিস্তারিত দেখুনঃ "What is the difference between the ruling on rape and the ruling on fornication or adultery? Can rape be proven by modern methods?” – islamqa(Shaykh Muhammad Saalih al-Munajjid)

https://islamqa.info/en/158282/

অথবা https://archive.is/wip/DXvSX (আর্কাইভকৃত)

[4] ‘যাদুল মাআদ’ - ইবনুল কাইয়িম জাওযিয়্যাহ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১৫

https://shamela.ws/book/21713/1903

অথবা https://archive.is/wip/1JQcs (আর্কাইভকৃত)

[5] সুনান নাসায়ী, হাদিস নং : ৫৪০২

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=79433

[6] “উত্তপ্ত মুদ্রা ছাপানোর যন্ত্রের মত হব?” এই কথার অর্থ হচ্ছেঃ যা শিখিয়ে দেয়া হয়, হুবহু তাই বলবো? আর উপস্থিত যা দেখতে পায়, অনুপস্থিত তা দেখতে পায় না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হয়, তাকে সেখানকার বাস্তবতা বুঝে কাজ করতে হবে। যারা সেখানে উপস্থিত নেই, তাদের শেখানো বুলি আওড়াতে হবে না। অর্থাৎ ইজতিহাদ ও নিজস্ব বুদ্ধি কাজে লাগাতে হবে।

দেখুনঃ মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং ৬২৮ এর টীকা দ্রষ্টব্য

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=63527

অথবা https://archive.is/wip/UAmg7 (আর্কাইভকৃত)

[7] ইমাম বাযযার(র.) বর্ণিত এই হাদিসটি ইমাম ইবন হাজার আসকালানী(র.) এর মতে হাসান। শায়খ আলবানী(র.) হাদিসটিকে তাঁর ‘সিলসিলা সহীহাহ’ এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অতএব এটি একটি দলিলযোগ্য হাদিস।

দেখুনঃ https://dorar.net/hadith/search?q=%D8%A7%D8%A8%D9%86%D9%90+%D8%B9%D9%85%D9%8D%D9%91+%D9%84%D9%87%D8%A7+-+%D9%83%D8%A7%D9%86+%D9%8A%D8%B2%D9%88%D8%B1%D9%8F%D9%87%D8%A7+%D9%88%D9%8A%D8%AE%D8%AA%D9%84%D9%81%D9%8F+%D8%A5%D9%84%D9%8A%D9%87%D8%A7&st=w&xclude=&rawi%5B%5D=

অথবা https://archive.is/wip/dBPTr (আর্কাইভকৃত)

[8] في هذا اللفظ إشكال ، وهو : أنَّه ـ صلى الله عليه وسلم ـ كيف يأمر بضرب عنق هذا الرجل ، ولم يكن هناك موجبٌ للقتل، وقد ظهر ذلك حين انكشف حال الرَّجل ؟

ويزول هذا الإشكال : بأن هذا الحديث رواه أبو بكر البزار ، بمساق أكمل من هذا، وأوضح ، فقال فيه: عن علي بن أبي طالب رضى الله عنه قال : ( كثر على مارية في قبطي ابن عم لها كان يزورها، ويختلف إليها، فقال لي رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ : خذ هذا السيف فانطلق، فإن وجدته عندها فاقتله، قال : قلت : يا رسول الله! أكون في أمرك كالسِّكة المحماة، لا يثنيني شيء، حتى أمضي لما أمرتني، أم الشاهد يرى ما لا يرى الغائب؟ فقال: بل الشاهد يرى ما لا يرى الغائب ).

فهذا يدل: على أن أمره بقتله، إنَّما كان بشرط أن يجده عندها، على حالة تقتضي قتله. ولما فهم عنه علي رضى الله عنه ذلك سأله ، فبيَّن له بيانا شافيا، فزال ذلك الإشكال

আল মুফহিম – আবুল আব্বাস কুরতুবী, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১৪৫-১৪৬

https://ketabonline.com/ar/books/96975/read?part=5&page=2801&index=3767827/3767839

আরো দেখুনঃ “إشكال حول الأمر بقتل القبطي ابن عم مارية القبطية

https://islamqa.info/ar/298224/

অথবা https://archive.is/wip/ZfJ74 (আর্কাইভকৃত)

[9] বিস্তারিত দেখুনঃ الصارم المسلول على شاتم الرسول لابن تيمية

https://ketabonline.com/ar/books/10742/read?page=43&part=1#p-10742-43-3

অথবা https://archive.is/wip/S6aAp (আর্কাইভকৃত)

[10] বিস্তারিত দেখুনঃ “No one knows the unseen in the absolute sense except Allaah” - IslamQA (Shaykh Muhammad Saalih al-Munajjid)

 https://islamqa.info/en/101968/

অথবা https://archive.is/wip/kuktH (আর্কাইভকৃত)