Pray for the world economy

মুহাম্মাদ ﷺ কি কুমারী মেয়েদের যোনীপথকে অধিক উষ্ণ বলেছেন?

 

অভিযোগ :

নবী মুহাম্মাদ () বলেছেন, কুমারী মেয়েদের যোনীপথ অপেক্ষাকৃত উষ্ণ হয়। তাই তিনি কুমারী বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন। কতটা খারাপ মন-মানসিকতার হলে কেউ এ রকম কথা বলতে পারে, ভেবে অবাক লাগে!

 

জবাব :

 

এ সম্পর্কিত হাদিসসমূহঃ

 

عَلَيْكُمْ بِالأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَعْذَبُ أَفْوَاهًا وَأَنْتَقُ أَرْحَامًا وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ عَلَيْكُمْ بِالأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَعْذَبُ أَفْوَاهاً وَأَنْتَقُ أَرْحَاماً وَأَسْخَنُ أَقْبَالاً وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ مِنَ العَمَلِ عَلَيْكُمْ بِالأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَنْتَقُ أَرْحَاماً وَأَعْذَبُ أَفْوَاهاً وَأَقَلُّ خِبّاً وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ

একাধিক সাহাবী কর্তৃক বর্ণিত, নবী বলেছেন, তোমরা কুমারী বিবাহ কর। কারণ কুমারীদের মুখ অধিক মিষ্টি, তাদের গর্ভাশয় অধিক সন্তানধারী, তাদের যোনীপথ অধিক উষ্ণ, তারা ছলনায় কম হয় এবং স্বল্পে অধিক সন্তুষ্ট থাকে। [1]

 

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ التَّيْمِيُّ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَالِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ عُوَيْمِ بْنِ سَاعِدَةَ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْكُمْ بِالْأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَعْذَبُ أَفْوَاهًا وَأَنْتَقُ أَرْحَامًا وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ

 উতবা ইবনু ‘উআয়ম ইবনু সাঈদা আল-আনসারী (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ তোমাদের কুমারী মেয়ে বিবাহ করা উচিত। কেননা তারা মিষ্টিমুখী, নির্মল জরায়ুধারী এবং অল্পতেই তুষ্ট হয়। [2]

 

এই হাদিসটির একাধিক সংখ্যক সনদ রয়েছে এবং প্রত্যেকটা সনদই যইফ, একটা সনদও সহীহ বা হাসান না। [3] তবে এর অনেকগুলো সনদ থাকার কারনে এটাকে হাসান লি গাইরিহ ধরা যেতে পারে। হাসান লি গাইরিহ তখন হয় যখন একটা হাদিসের অনেকগুলো যইফ সনদ পাওয়া যায় আর সেই সনদগুলো নিজেরা এককভাবে যইফ হলেও একত্রে মিলে শাহেদ হিসেবে একে অপরকে শক্তি প্রদান করে একটা হাদিসকে হাসানের পর্যায়ে উত্তীর্ণ করে। এই নীতিতে শায়খ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী(র.) হাদিসটিকে হাসান লি গাইরিহ বলেছেন। [4]

 

ধরে নিলাম হাদিসটি হাসান লি গাইরিহ। যদি হাদিসটি হাসান লি গাইরিহ হয় তাহলে হাদিসটির বাকি অংশ হাসান হিসেবে গণ্য হলেও নির্দিষ্টভাবে শুধুমাত্র  أسخن أقبالا [যোনীপথ অধিক উষ্ণ] অংশটি যইফই থেকে যাবে। এই অংশটির জন্য হাসান লি গাইরিহ হুকুম প্রযোজ্য হবে না।

 

হাদিসের মাতানে যিয়াদাহ প্রমানিত হওয়ার জন্য শাহেদের বিষয়টা প্রযোজ্য হয়। [5] আলোচ্য হাদিসের বেলায় "যোনীপথ অধিক উষ্ণ" অংশটি হলো একটি যায়িদাহ। [6]

 

হাদিসটির যেসব শাহেদ পরস্পরকে শক্তিশালী করে হাদিসটিকে হাসানের পর্যায়ে উত্তীর্ন করেছে, [7] সেসব শাহেদের মধ্যে "যোনীপথ অধিক উষ্ণ" অংশটির জন্য কোনো শাহেদ নেই ; [8] [9] নির্দিষ্টভাবে এই অংশটার জন্য কোনো শাহেদ নেই তবে এই অংশটি বাদে হাদিসটির বাকি অংশের জন্য শাহেদ আছে।

 

যেহেতু "যোনীপথ অধিক উষ্ণ" অংশটির জন্য শাহেদ নেই, সুতরাং এই অংশটার জন্য হাসান লি গাইরিহ এর হুকুম প্রযোজ্য হবে না। যদি এই অংশটি হাসান না হয় তাহলে অবশ্যই যইফ, কেননা এই যিয়াদাহটি যেই সনদ ধরে এসেছে সেই সনদটি যইফ।

 

শায়খ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী(র.) এবং ইবন হাজার আল-আসকালানী(র.) আলোচ্য হাদিসের "যোনীপথ অধিক উষ্ণ" অংশটিকে নির্দিষ্টভাবে যইফ বলেছেন।[10] [11]

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কোনো কোনো বইতে/ওয়েবসাইটে এই হাদিসকে ভুলক্রমে ‘সহীহ’ হিসেবে উলেখ করা আছে যদিও এই হাদিস মূলত হাসান (লি গাইরিহ)। যেসব স্থানে ভুলক্রমে ‘সহীহ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তারাও শায়খ আলবানী(র.) এর তাহকিক অনুসরণ করার চেষ্টা করেছেন। আমরা প্রমাণস্বরূপ মূল আরবি গ্রন্থ থেকে তাহকিককৃত অংশের স্ক্রিনশট উল্লেখ করছি, যেখানে দেখা যাচ্ছে শায়খ আলবানী(র.) আলোচ্য হাদিসের "যোনীপথ অধিক উষ্ণ" (أَسْخَنُ أَقْبَالاً) অংশটিকে যঈফ (দুর্বল) বলে উল্লেখ করেছেন—

 

 

 

 

উপরের আলোচনার খোলাসা কথা হলো : যদিও হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলে উল্লেখ করা হয় যেহেতু এর অনেকটা অংশ শাহেদ থাকার কারণে হাসান লি গাইরিহ। কিন্তু হাদিসটির "যোনীপথ অধিক উষ্ণ" অংশটি নির্দিষ্টভাবে যইফ, কেননা একে সমর্থন দেয়ার মত কোনো শাহেদ নেই। কাজেই বক্তব্যের এই অংশটি নবী() থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।

 

অতপর - অভিযোগকারীরা "সুনান ইবন মাজাহ" হতে যেই হাদিসটি উল্লেখ্য করেছে, সেটার অনুবাদে ভুল আছে। ইবন মাজাহর হাদিসটির মুল আরবি ইবারত নিম্নরুপ :

 

"عَلَيْكُمْ بِالْأَبْكَارِ فَإِنَّهُنَّ أَعْذَبُ أَفْوَاهًا وَأَنْتَقُ أَرْحَامًا وَأَرْضَى بِالْيَسِيرِ"

 

হাদিসটির وَأَنْتَقُ أَرْحَامًا এর অর্থ হিসেবে অনুবাদক বলেছেন "নির্মল জরায়ুধারী", যা সুস্পষ্ট ভুল। এর সঠিক অর্থ হবে "তাদের গর্ভাশয় অধিক সন্তানধারী"।

 

কেউ যদি বলে, “আপনি কি অনুবাদকদের চেয়ে বেশি আরবি বুঝে ফেলেছেন?”  তাহলে তাকে উত্তরে বলা হবে—  এটা আমার বলা অর্থ নয়, বরং হাদিস ব্যাখ্যাকারকদের বর্ণিত অর্থ, হাদিসের ব্যাখ্যাকারকরা এর অর্থ এটাই বলেছেন। وَأَنْتَقُ أَرْحَامًا অর্থ যারা  "তাদের গর্ভাশয় অধিক সন্তানধারী" বলেছেন, তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করছি :- [12]

 

(১) মাযহারুদ্দিন আয-যাইদানী

(২) নাসিরুদ্দিন আল-বাইযাবী

(৩) মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল আস-সান'আনী

(৪) শারফুদ্দিন আল-হুসাইন আত-তাইবী

(৫) আবুল-হাসান নুরুদ্দিন আস-সিনদী

(৬) মুল্লা আলি আল-কারী

(৭) ইবনুল মালাক আল-কিরমানী

(৮) মুহাম্মাদ আল-আমিন আল-হারারী

 

কাজেই, আমিও পাল্টা প্রশ্ন ছুড়তে পারি যেঃ এই একজন বাংলা অনুবাদক কি এই অনর্গল আরবিতে কথা বলতে পারা ৮ জন মুহাদ্দিসের চেয়ে বেশি আরবি বোঝেন?

 

উপসংহারঃ

যদিও সুন্নাহতে কুমারী মেয়েদের বিয়ে করার ব্যাপারে উৎসাহ দেবার বিষয়টি প্রমাণিত, কিন্তু নবী মুহাম্মাদ () কুমারী মেয়েদের যোনীপথ, জরায়ু ইত্যাদির কথা উল্লেখ করে তাদেরকে বিয়েতে উৎসাহিত করেছেন এই মর্মে ইসলামবিরোধীদের অভিযোগ বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত কোনো দলিলের উপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং সঠিক নয়। 

 

 

পাদটীকা


[1]  ইবনে মাজাহ ১৮৬১, ইবনুস সুন্নী, ত্বাবারানী, সিঃ সহীহাহ ৬২৩, সহীহুল জামে’ হা/ ৪০৫৩

গ্রন্থঃ হাদীস সম্ভার; অধ্যায়ঃ ২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য; পরিচ্ছেদঃ স্ত্রী নির্বাচন (২৫৫৮)

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=66306

[2]  সুনান ইবনু মাজাহ; ৯/ বিবাহ; পরিচ্ছেদঃ ৯/৭. কুমারী মহিলা বিবাহ করা। ২/১৮৬১।

হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৬২৩।

https://www.hadithbd.com/print.php?hid=32780

কারো কারো মতে এই হাদিস দুর্বল। দেখুনঃ https://sunnah.com/ibnmajah:1861

[3]  "শায়খ শুয়াইব আল-আরনাওত(র.)এর তাহকিককৃত "সুনান ইবন মাজাহ" এর তৃতীয় খন্ডের পৃষ্ঠা নং ৬৪-৬৫, টিকা নং ৪ হতে হাদিসটির উপর তাঁর তাহকিক উল্লেখ করা হলো :

إسناده ضعيف لجهالة عبد الرحمن بن سالم بن عتبة بن عويم بن ساعدة وجهالة أبيه، وقد جاءت تسمية عتبة في بعض الروايات عبد الرحمن.وأخرجه ابن أبي عاصم في "الآحاد والمثاني" (١٩٤٧)، وابن قانع في "معجم الصحابة" ٢/ ٢٨٨، والطبراني في "الكبير" ١٧/ (٣٥٠)، وفي "الأوسط" (٤٥٥)، والبيهقي ٧/ ٨١، والمزي في "تهذيب الكمال" في ترجمة سالم بن عتبة ١٠/ ١٦٣ من طريق محمَّد بن طلحة التيمي، بهذا الإسناد.وفي الباب عن عبد الله بن مسعود عند الطبراني في "الكبير" (١٠٢٤٤) وفي إسناده أبو بلال الأشعري، ضعفه الدارقطني، وذكره ابن حبان في "الثقات" وقال: روى عنه أهل العراق، وترجمه ابن أبي حاتم وقال: روى عنه أبي رحمه الله.وعن عبد الله بن عمر عند ابن السُّنِّي وأبي نعيم كلاهما في "الطب" قال الحافظ في "التلخيص" ٣/ ١٤٥: وفيه عبد الرحمن بن زيد بن أسلم وهو ضعيف.وعن جابر بن عبد الله عند ابن الجوزي في "العلل المتناهية" (١٠١٦) وفي إسناده إبراهم بن البراء متهم

[4]  আল-আলবানী "সিলসিলাতুস সাহিহাহ" (২/১৯২-১৯৫) গ্রন্থে প্রথমে আলোচনা করে দেখিয়েছেন যে এককভাবে উক্ত হাদিসের সবগুলো সনদই ক্রুটিযুক্ত - যইফ। তারপর তিনি এর অনেকগুলো যইফ সনদ থাকার কারণে সবগুলো যইফ সনদকে একত্রে মিলিয়ে হাদিসটিকে হাসান লি গাইরিহ বলেছেন।

[5] আল-গাওরী, মুজামুল মুস্তালাহাতিল হাদিসিয়াহ (পৃ/৪১৬)

[6] ইবন হাজার, আত-তালখিসুল হাবির (৫/২২৩৯)

[7] ড. আহমদ আলি সালিম ও ড. আহমাদ সবরী "আল-কিসমুস সানী মিনাল মুজামিল আওসাত (১/৪২৫)" তে , আল-আলবানী "আস-সাহিহাহ (২/১৯২-১৯৫)"তে, আল-মুত্তাকী আল-হিন্দী "কানযুল উম্মাল(১৬/২৯৪)" তে ,আল-হাইথামী  "আল-ইফসাহ ফি আহাদিসিন নিকাহ" (৩০-৩১) তে - উক্ত হাদিসটির কিছু শাহেদ উল্লেখ করেছেন।

[8] হাদিসটির " أسخن أقبالا" সংবলিত রেওয়ায়েতটি বর্ণনা করেছেন ইবনুস সুন্নি ও আবু-নুয়াইম, একই সুত্র ধরে "আব্দুর-রহমান বিন যাইদ বিন আসলাম" থেকে। আব্দুর-রহমান একজন যইফ রাবি এবং অন্যান্য সবগুলো সনদের মত এই বর্ণনাটির সনদও যইফ। -

দেখুন : মুখতার ইব্রাহিম, মুহাম্মাদ নিদা ও হাসান ঈসা কতৃক তাহকিককৃত "আল-জামিউল কাবির "(৫/৭২০, টিকা-৩), আল-আজলুনীর "কাশফুল খাফা" (২/৮৩), ইবন হাজারের "আত-তালখিসুল হাবির" (৫/২২৩৯), এবং এই লেখাটির টিকা নং ১।

[9] আস-সুয়ুতী বলেছেন যে, আশ-শিরাযী তাঁর "আল-আলক্বাব" গ্রন্থে "বাশার বিন আসিম" হতে এই "যোনীপথ অধিক উষ্ণ" অংশটি সহ আলোচ্য হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। কিন্ত আশ-শিরাযীর এই বর্ণনাটি এক্ষেত্রে শাহিদ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আশ-শিরাযীর "আল-আলক্বাব" গ্রন্থটি কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গিয়েছে, যার ফলস্বরূপ আশ-শিরাযীর রেওয়ায়ায়েতটির সনদের বেশিরভাগ অংশই অজানা, কাজেই এক্ষেত্রে এটা জানা সম্ভবই না যে আশ-শিরাযীর বর্ণিত সনদটি আদৌ শাহিদ হওয়ার যোগ্য কিনা। সুতরাং আশ-শিরাযীর উক্ত বর্ণনাটিকে "وَأَسْخَنُ أَقْبَالاً" অংশটির জন্য শাহিদ হিসেবে গণ্য করাটা এক্ষেত্রে সঠিক হবে না। আশ-শিরাযীর এই বর্ণনাটিকে শাহিদ হিসেবে গণ্য করার জন্য আগে এটা প্রমাণ করতে হবে যে আশ-শিরাযীর বর্ণনাটির সনদটি ই'তিবার এর ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য, প্রমাণ করতে হবে যে আশ-শিরাযীর সনদটিতে কোনো মিথ্যুক বা মাতরুক রাবী নেই, প্রমাণ করতে হবে যে আশ-শিরাযীর সনদটিতে কোনো যইফুন জিদ্দান বা অভিযুক্ত রাবী নেই।

[10] ইবন হাজার, আত-তালখিসুল হাবির (৫/২২৩৯)

[11] আল-আলবানীর ঘনিষ্ঠ ছাত্র "আসাম মুসা হাদি" হতে "আস-সিরাজুল মুনির ফি তারতিবে আহাদিসে সহিহিল জামিইস সাগির (১/৩১)" - এ বর্ণিত আছে যে, তিনি (আল-আলবানী) এই হাদিসিটির وَأَسْخَنُ أَقْبَالاً অংশটিকে নির্দিষ্টভাবে "যইফ" বলেছেন।

[12] আল-মাফাতিহ (৪/১৬), তুহফাতুল আবরার (২/৩৩৪), আত-তানওইর  (৭/২৮৩),শারহুল মিশকাহ (৭/২২৬৪),কিফায়াতুল হাজাহ (১/৫৭৩), মিরকাতুল মাফাতিহ (৫/২০৪৮),শারহুল মাসাবিহ (৩/৫৪৪), মুরশিদ যাওইল হিজা ওয়াল হাজাহ (১১/৬০)