নাস্তিক প্রশ্নঃ
ইহুদিরা(Jews) সম্পূর্ণরূপে একেশ্বরবাদী থাকা সত্ত্বেও কুরআন কিসের ভিত্তিতে দাবি করে তারা বহু ঈশ্বরে বিশ্বাসী কিংবা তারা উজাইরকে আল্লাহর পুত্র বলে (Quran 9:30)?
উত্তরঃ
কুরআনের যে কোনো আয়াত ভালোভাবে বুঝতে সে আয়াতের প্রেক্ষাপট বোঝা খুবই জরুরী। নতুবা অজ্ঞতার দরুণ সে আয়াত থেকে এমন বার্তা নেয়া খুবই সম্ভব, যে বার্তা সে আয়াতে দেয়া হয়নি। সমস্যা হচ্ছে, ইসলামের শত্রুদের আসলে কুরআন সম্পর্কে জানার আগ্রহ নেই। হক্ব চেনার ইচ্ছাও নেই। তাদের একমাত্র আগ্রহ হচ্ছে, কীভাবে কুরআনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। বিশ্বাসীদের মনে সন্দেহের ধুম্রজাল সৃষ্টি করে তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নেয়া যায়।
যারা দাবি করে, “কুরআন অনুযায়ী সব ইহুদি উজাইরকে আল্লাহর পুত্র বলে” - তারা যদি কোনো তাফসির গ্রন্থ থেকে যে আয়াতে এটা বলা আছে সে আয়াতের তাফসির দেখে নিতো, তবে তাদের মনে এসব সংশয় থাকতো না। তবে এটাও ঠিক, তাদের যদি সত্যিই এভাবে দ্বীনকে জানার সদিচ্ছা থাকতো, তারা কখনোই কথিত ‘মুক্তমনা’ থাকতো না।
চলুন দেখা যাক, পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে কী বলা আছে-
وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ وَقَالَتِ النَّصَارَى الْمَسِيحُ ابْنُ اللَّهِ ۖ ذَٰلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَاهِهِمْ ۖ يُضَاهِئُونَ قَوْلَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَبْلُ ۚ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ ۚ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ
অর্থঃ ইহুদীরা বলে “উজাইর আল্লাহর পুত্র” এবং খ্রিষ্টানরা বলে “মাসীহ[ঈসা(আ.)/যিশু] আল্লাহর পুত্র”। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। ওরা তো তাদের মতই কথা বলে যারা তাদের পূর্বে কাফির হয়েছে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টো পথে চলে যাচ্ছে! [1]
ইহুদি তথা ইস্রায়েল জাতির ইতিহাস বহু ঈশ্বরের উপাসনা ও মূর্তিপুজা দ্বারা পরিপূর্ণ। তাদের নিজেদের ধর্মগ্রন্থই এর সাক্ষ্য দেয়।
নবী মুসা(আ.)[prophet Moses] ইস্রায়েলীয়দের ছেড়ে তুর পাহাড়ে যাওয়ামাত্রই তারা গরুর বাছুরের মূর্তিপুজা শুরু করেছিল। এ জন্য ঈশ্বরের শাস্তিতে তাদের বহু লোক নিহত হয়। [2] শেষ পর্যন্ত মুসা(আ.) তাঁদেরকে আবার মূর্তিপুজা থেকে ফেরান।
ইহুদিদের কিতাবমতে তাদের একজন নবী সুলাইমান(আ.)[Solomon] স্বয়ং শেষ বয়সে মূর্তিপুজক হয়ে যান এবং দেব-দেবীর মন্দির বানান! [3] (নাউযুবিল্লাহ)
নবী দাউদ(আ.)[David] এবং সুলাইমান(আ)[Solomon] এর পর পরই ইস্রায়েলীয়দের রাজ্য ২ভাগে ভাগ হয়ে যায়, ইহুদা(Judah/Southern Kingdom) এবং ইস্রায়েল(Northern Kingdom) এই দুই রাজ্যে। প্রথমে ইস্রায়েল রাজ্যের মানুষেরা মূর্তিপুজা শুরু করে, ফলে ঐশ্বরিক শাস্তি আসে, আসিরিয়া সাম্রাজ্য তাদের আক্রমণ করে দাসে পরিণত করে। পরে ইহুদা রাজ্যের লোকেরা মূর্তিপুজায় লিপ্ত হয় এবং ব্যাবিলোনিয়ানরা তাদের আক্রমন করে দাসে পরিণত করে। সেসব এলাকায় নবীদের দাওয়াতে ইহুদিরা আবার একত্মবাদী ধর্মে ফিরে আসে। পরে পারস্যসম্রাট সাইরাস(Cyrus) ইহুদিদের মুক্ত করেন এবং আবার ফিলিস্তিনে যেতে দেন। বাইবেলের পুরাতন নিয়মের(Old Testament) এর প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে এইসব ইতিহাস অনেক বিস্তারিত বর্ণণা করা আছে।
ইহুদিদের মূর্তিপুজা ও বহু ঈশ্বরের উপাসনার আরো অনেক বিবরণ বাইবেলে আছে—বায়াল দেবতার উপাসনাকারী ইস্রায়েলীয়দের তাদের নবী কর্তৃক হত্যা করার ঘটনা, [4] নবী যিশাইয়(Isaiah) এর যুগে ইহুদিদের মূর্তিপুজা এবং নবী কর্তৃক তাদের একত্ববাদে(ইসলাম) ফিরে আসার আহ্বান, [5] নবী ইয়ারমিয়া(যিরমিয়) কর্তৃক সেসময়ের মূর্তিপুজক ইহুদিদের একত্ববাদে ফিরে আসবার আহ্বান, [6] নবী হিজকিল(যিহিষ্কেল) এর ঘটনা। [7]
ইহুদিদের নিজ ধর্মগ্রন্থ এ ব্যাপারে যা বলে তার একটা উদাহরণঃ—
“মাবুদ তাঁর সমস্ত নবী ও দর্শকদের মধ্য দিয়ে ইসরাইল ও এহুদাকে এই বলে সাবধান করেছিলেন, “তোমরা তোমাদের খারাপ পথ থেকে ফেরো এবং সমস্ত শরীয়ত যা আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনের জন্য দিয়েছিলাম আর আমার গোলামদের, অর্থাৎ নবীদের মধ্য দিয়ে তোমাদের জানিয়েছিলাম তোমরা সেই অনুসারে আমার সমস্ত হুকুম ও নিয়ম পালন কর।” কিন্তু তারা সেই কথায় কান দেয় নি। তাদের পূর্বপুরুষেরা যারা তাদের মাবুদ আল্লাহ্র উপর ভরসা করত না, তাদের মতই তারা একগুঁয়েমি করত।
তারা তাঁর সব নিয়ম, তাদের পূর্বপুরুষদের জন্য স্থাপন করা তাঁর ব্যবস্থা এবং তাদের কাছে তাঁর দেওয়া সাবধান বাণী মানতে অস্বীকার করেছিল। তারা অসার মূর্তির পূজা করে নিজেরাও অসার হয়ে পড়েছিল। মাবুদ যাদের মত চলতে বনি-ইসরাইলদের নিষেধ করেছিলেন তারা তাদের চারপাশের সেই জাতিগুলোর মতই চলত। তারা তাদের মাবুদ আল্লাহ্র সমস্ত হুকুম ত্যাগ করে নিজেদের জন্য ছাঁচে ফেলে দু’টা বাছুরের মূর্তি এবং একটা আশেরা-খুঁটি তৈরী করে নিয়েছিল। তারা আকাশের তারাগুলোর পূজা করত এবং বা’ল দেবতার সেবা করত।
নিজের ছেলেমেয়েদের তারা আগুনে পুড়িয়ে বলি দিত। তারা গোণাপড়ার ও লক্ষণ দেখে ভবিষ্যতের কথা বলবার অভ্যাস করত এবং মাবুদের চোখে যা খারাপ সেই সব কাজ করবার জন্য নিজেদের বিকিয়ে দিয়ে মাবুদকে রাগিয়ে তুলেছিল।
কাজেই ইসরাইলের লোকদের উপর মাবুদ রাগ হয়ে তাঁর সামনে থেকে তাঁদের দূর করে দিলেন। বাকী ছিল কেবল এহুদা-গোষ্ঠী,
কিন্তু এহুদা-গোষ্ঠীও তাদের মাবুদ আল্লাহ্র হুকুম মত না চলে ইসরাইল যা করত তারাও তা-ই করতে লাগল।
সেইজন্য মাবুদ সমস্ত বনি-ইসরাইলদেরই বাতিল করে দিলেন। তিনি তাদের কষ্টে ফেললেন এবং লুটেরাদের হাতে তুলে দিলেন, আর শেষে নিজের সামনে থেকে তাদের দূর করে দিলেন।” [8]
ইহুদি তথা ইস্রায়েল জাতির নিজ ধর্মগ্রন্থই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে তাদের ইতিহাস পৌত্তলিকতা আর বহু দেবতার পুজায় ভরা। কাজেই চট করে নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) এর সময়ে “ইহুদিরা সম্পূর্ণরূপে একেশ্বরবাদী ছিল” বলে দেওয়াটা একটু কঠিন বৈকি।
চলুন এখন আমরা দেখি আমরা কোন প্রেক্ষাপটে বা কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে আলোচ্য আয়াতটি [সুরা তাওবাহ ৯:৩০] নাজিল হয়েছিল।
সাল্লাম ইবন মিশকাম, নু’মান ইবন আওফা, শাস ইবন কায়স ও মালেক ইবনুস সাইফ রাসুলুল্লাহ(ﷺ) এর কাছে এসে বলল, আমরা কিভাবে আপনার অনুসরণ করতে পারি, অথচ আপনি আমাদের কিবলা ত্যাগ করেছেন, আপনি উজাইরকে আল্লাহর পুত্র বলে মেনে নেন না? তখন আল্লাহ তাআ’লা এ আয়াত নাজিল করেন। [9]
সুতরাং আমরা ঐতিহাসিক বিবরণ পাচ্ছি যে ইহুদিরা আসলেই উজাইরকে আল্লাহর পুত্র বলত।
সুরা তাওবাহ এর ৩০নং আয়াতের তাফসিরে ইমাম কুরতুবী(র) বলেনঃ “ “ইহুদীরা বলে” এই কথাটি একটি সাধারণ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে যদিও এর মানে সুনির্দিষ্ট, কারণ সব ইহুদি এমনটি[উজাইর আল্লাহর পুত্র] বলত না। এটা তো আল্লাহর ঐ বক্তব্যের মত “যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে, ...” (আলি ইমরান ৩:১৭৩) অথচ সব লোক তা বলেনি। ” [10] বলা হয়ঃ ইহুদীদের থেকে যা বর্ণিত হয়েছে তার বক্তা হচ্ছে - সাল্লাম ইবন মিশকাম, নু’মান বিন আবু আওফা, শাস ইবন কায়স ও মালেক ইবনুস সাইফ। তারা এটা [অর্থাৎ উজাইর আল্লাহর পুত্র] নবী(ﷺ)কে বলেছিল। আন-নাক্বাশ বলেনঃ ইহুদিদের মধ্যে এরূপ বলে থাকে এমন কেউ অবশিষ্ট নেই, বরং তারা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, যখন কোন একজন এটি বলে, তখন তার দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করা হয় যতক্ষন না বক্তব্যের কদর্যতা পুরো গোষ্ঠীর উপর আরোপ হয়। যেহেতু তাদের মাঝে বক্তার খ্যাতি-প্রসিদ্ধি রয়েছে। কেননা খ্যাতিমান-প্রসিদ্ধ ব্যাক্তিদের কথা সবসময়ই লোকদের মাঝে প্রচলিত-প্রখ্যাত হয় এবং একে ব্যবহার করে যুক্তি-প্রমাণ দেয়া হয়। সুতরাং এখান থেকেই এটি (বলা) শুদ্ধ হচ্ছে যে, "গোষ্ঠী তার খ্যাতিমান ব্যাক্তিদের (অনুরূপ) কথা বলে থাকে"। [11]
ইমাম শাওকানী(র.) এর ফাতহুল কাদিরেও অনুরূপ মত ব্যক্ত করা হয়েছে। [12]
জি. ডি. নিউবাই তাঁর “আ হিস্টরি অফ দ্য জিউস অফ এরাবিয়া” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন,
“আমরা সহজেই ধরতে পারি যে হিজাজের[মক্কা-মদীনা] ইহুদিরা, যারা কিনা সুস্পষ্টভাবেই মোরাকাবার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মরমি ভাবধারায় আক্রান্ত ছিল, উজাইরকে সেই স্থান দিয়েছিল। এর কারণ ছিল তার কিতাবের অনুবাদের বিবরণ, তার ধার্মিকতা। এবং বিশেষত, ঈশ্বরের অনুলেখক হিসাবে তাকে হনোক(Enoch) এর সাথে তুলনা করা হত। এ দ্বারা ঈশ্বরের পুত্রদের একজনকেও বোঝায়।এবং নিঃসন্দেহে তিনি ধর্মীয় নেতাদের সকল বৈশিষ্ট্য বহন করতেন (কুরআন ৯:৩১এ বর্ণিত ‘আহবার’), যাকে ইহুদিরা বন্দনা করত।” [13]
ইমাম কুরতুবী(র.) ও ইমাম শাওকানী(র.) এর তাফসির থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে আলোচ্য আয়াতে সকল ইহুদি সম্পর্কে এটা বলা হয়নি যে তারা উজাইরকে আল্লাহর পুত্র দাবি করে। বর্তমানকালেও ইহুদি ফির্কাগুলোর মধ্যে এমন বিশ্বাস দেখতে পাওয়া যায় না। তবে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) এর সময়ে আরবের ইহুদিরা[যারা ছিল ইয়েমেনী(Yemenite) দলীয় ইহুদি] উজাইরকে আল্লাহর পু্ত্র বলে অভিহীত করত। ইহুদিদের বহু ঈশ্বরের উপাসনার ইতিহাস, ঐতিহাসিক বিবরণ ইত্যাদি উপেক্ষা করে যারা এরপরেও কুরআনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান, তাদের উদ্যেশ্যে বলব—সে সময়কার স্থানীয় ইহুদিদের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাপারে যদি কুরআন আসলেই মারাত্মক ভুল কোন তথ্য দিত (নাউযুবিল্লাহ), তাহলে মুহাম্মাদ(ﷺ) এর অনেক সাহাবীরই সেটা চোখে পড়ত। মদীনাবাসী সাহাবীদের ইহুদিদের ধর্মীয় বিশ্বাস খুব ভালো করেই জানা ছিল কেননা মদীনায় তখন প্রচুর ইহুদি বাস করত। কুরআন যদি সত্যিই ইহুদিদের বিশ্বাসের ব্যাপারে এমন ভুল তথ্য দিত, তাহলে সাহাবীরা বুঝতেন যে কুরআন মিথ্যা। তাহলে তাঁদের অনেকেই ইসলাম ত্যাগ করতেন। কিন্তু তাঁরা আদৌ এমন কিছু করেননি। বরং নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) ও কুরআনের উপর বিশ্বাসে অটল ছিলেন। এ থেকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয় যে কুরআন মোটেও কোন ভুল তথ্য দেয়নি এবং ইসলামবিরোধীদের অভিযোগের কোন সত্যতা নেই।
তথ্যসূত্রঃ
[1] আল কুরআন, তাওবাহ ৯:৩০
[2] খ্রিষ্টান বাইবেল/ইহুদি তানাখ(Tanakh) এর যাত্রাপুস্তক(Exodus) ৩২:১-৯ দ্রষ্টব্য
[3] বাইবেল, ১ রাজাবলী(1 Kings) ১১:১-১০ দ্রষ্টব্য
কুরআন এই জাতীয় কথা অস্বীকার করে; কুরআন অনুযায়ী কোন নবী পাপী ছিলেন না; কুরআন সরাসরি বলে যে সুলাইমান(আ.) কুফরী করেননি। দেখুন সুরা বাকারাহ ২:১০২। সুলাইমান(আ.) কখনো আল্লাহর সাথে শির্ক করেননি। দেখুন সুরা আন'আম ৬:৮৪-৮৮ ।
[4] খ্রিষ্টান বাইবেল/ইহুদি তানাখ(Tanakh) এর ২ রাজাবলী(2 Kings) ১০ম অধ্যায় দ্রষ্টব্য
[5] খ্রিষ্টান বাইবেল/ইহুদি তানাখ(Tanakh) এর যিশাইয়(Isaiah) ২:৫-৯ দ্রষ্টব্য
[6] খ্রিষ্টান বাইবেল/ইহুদি তানাখ(Tanakh) এর যিরমিয়(Jeremiah) ৩২:২৮-৩৫ দ্রষ্টব্য
[7] খ্রিষ্টান বাইবেল/ইহুদি তানাখ(Tanakh) এর যিহিষ্কেল(Ezekiel) ২০:৩১ দ্রষ্টব্য
[8] বাইবেল,২ বাদশাহনামা/২ রাজাবলী(2 Kings) ১৭:১৩-২০ (কিতাবুল মোকাদ্দস অনুবাদ)
[9] তাবারী, সিরাত ইবন হিশাম ১/৫৭০
[10] সুরা আলি ইমরানের ১৭৩ নং আয়াত—“যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে, তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য লোকেরা সমাবেশ করেছে বহু সাজ-সরঞ্জাম; তাদের ভয় কর। ...” -- এ আয়াতে ‘লোকেরা’ কথাটি ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু এখানে এ দ্বারা আরবের সকল লোককে বোঝানো হয়নি বরং অল্প কিছু মুনাফিকের কথা বলা হয়েছে।
[11] কুরতুবী ৮/১১৬
[12] ফাতহুল কাদির ২/৪০২
[13] G. D. Newby, A History Of The Jews Of Arabia, 1988, University Of South Carolina Press, p. 61