Pray for the world economy

ছায়াপথ ও রংধনু সম্পর্কিত সাহাবীদের উক্তি এবং নাস্তিকদের অভিযোগ

 

নাস্তিকদের দাবিঃ

 

নাস্তিকদের একটি ব্লগ সাইটে উল্লেখ করা হয়েছেঃ

 

“ইসলামি বিশ্বাস অনুসারে, ছায়াপথ হচ্ছে আকাশের দরজা, যা দিয়ে আরেক আকাশে যাওয়া যায়। একই সাথে, নুহের প্লাবনের সময় যেই বৃষ্টি হয়েছিল, সেই বৃষ্টি নাকি ছায়াপথ বা আকাশের এই দরজা খুলে দেয়ার ফলেই আসমান থেকে এসেছিল! ছায়াপথ মহাকর্ষীয় শক্তি দ্বারা আবদ্ধ একটি অতি বৃহৎ সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা যা তারা, আন্তঃনাক্ষত্রিক গ্যাস ও ধূলিকণা, প্লাসমা এবং প্রচুর পরিমাণে অদৃশ্য বস্তু দ্বারা গঠিত।”

 

তারা এ প্রসঙ্গে সাহাবী(রা.)দের থেকে ২টি বর্ণনা উল্লেখ করেছে। তাদের দাবিমতে এখানে বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল তথ্য আছে।

 

জবাবঃ

 

এ সম্পর্কিত বর্ণনাসমূহঃ

 

عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ سَأَلَ ابْنُ الْكَوَّا عَلِيًّا عَنِ الْمَجَرَّةِ، قَالَ‏: هُوَ شَرَجُ السَّمَاءِ، وَمِنْهَا فُتِحَتِ السَّمَاءُ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ

অর্থঃ আবুত তুফাইল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনুল কাওয়া (রহঃ) আলী (রা.)-কে ছায়াপথ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, তা হলো আসমানের প্রবেশদ্বার এবং নৃহের বন্যায় প্রবল বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আকাশের ঐ দ্বারই খুলে দেয়া হয়েছিল (৫৪ : ১১ আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত)[1]

 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ‏: الْقَوْسُ‏: أَمَانٌ لأَهْلِ الأَرْضِ مِنَ الْغَرَقِ، وَالْمَجَرَّةُ‏: بَابُ السَّمَاءِ الَّذِي تَنْشَقُّ مِنْهُ

অর্থঃ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রংধনু হলো পৃথিবীবাসীর জন্য মহাপ্লাবনের পর নিরাপত্তার প্রতীক এবং ছায়াপথ হলো আকাশের একটি দরজা, যা থেকে আকাশ বিদীর্ণ হবে [2]

 

ছায়াপথ আসমানের দরজা বা প্রবেশদ্বারঃ

আলোচ্য বর্ণনাগুলো কুরআন বা নবী() এর হাদিস নয়। সাহাবী(রা.)দের উক্তি। সাহাবী(রা.)দের এই বর্ণনাগুলো অনুযায়ী ছায়াপথ (হাদিসের ইংরেজি অনুবাদে Milky Way বলা হয়েছে) আসমানের দরজা বা প্রবেশদ্বার। নাস্তিক-মুক্তমনারা এই উক্তি থেকে ‘বৈজ্ঞানিক ভুল’ (!) বের করার চেষ্টা করে। সম্ভবত তাদের সীমাবদ্ধ চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী ‘দরজা’ বা ‘দ্বার’ মানেই আমাদের বাড়িঘরের দরজার মতো কোনো কিছু হতে হবে। তাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, ‘দরজা’ মানেই ঘরের দরজার মতো কোনো কিছু – বিষয়টা মোটেও এমন নয়। ঘরের দরজা আর আসমানের দরজা এক জিনিস নয়। কিছু উদাহরণ দিলে এটা হয়তো বুঝতে সহজ হবে। প্রাইভেট কারেও দরজা থাকে, আবার বাড়ি-ঘরেও দরজা থাকে। এই ২ প্রকারের দরজা কি এক রকম হয়? মোটেও না। যেটা যেমন জিনিস, এর ‘দরজা’ও সে অনুযায়ী হয়। এবার আরো একটা উদাহরণ দেই। তুরস্ককে বলা হয় ইউরোপের ‘প্রবেশদ্বার’ (Gateway)। এই কথার অর্থ কি এই যে তুরস্ক একটা বাড়ির দরজার মতো যা ঠক ঠক করে নক করা যায়? কেউ যদি বলে এই কথার মাঝে ‘বৈজ্ঞানিক ভুল’ (!) আছে, তাহলে বিষয়টা কেমন হবে? সেটাকে আপনি মুক্তচিন্তা বলবেন নাকি বোকামী বলবেন?

 

সূত্রঃ “Turkey a gateway to Europe for modern Silk Road _ Daily Sabah” [3]

 

কুরআনের আয়াত এবং বহু সংখ্যক হাদিস থেকে প্রমাণিত যে আসমানে ‘দরজা’ আছে এবং সেগুলো বিভিন্ন সময়ে খুলে দেয়া হয়।

 

নবী করীম()  ইরশাদ করেছেন,

إِذَا نُودِيَ بِالصَّلاَةِ فُتِحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَاسْتُجِيبَ الدُّعَاءُ،

অর্থঃ ‘যখন আযান দেওয়া হয়, তখন আকাশের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দো‘আ কবুল করা হয়’। [4]

 

রাসূল() বলেন,

وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ تُحْمَلُ عَلَى الْغَمَامِ وَتُفْتَحُ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَيَقُولُ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ وَعِزَّتِي لأَنْصُرَنَّكَ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ.

অর্থঃ মাযলূমের দো‘আ মেঘের উপরে তুলে নেওয়া হয় এবং উহার জন্য আকাশের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়। আর আল্লাহ তা‘আলা বলতে থাকেন, আমার ইয্যতের কসম! আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব একটু পরে হলেও।[5]

 

রাসূলুল্লাহ() বলেছেন,

‏ إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ، وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ ‏"‏‏.‏

অর্থঃ রমযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় আর শৃংখলিত করে দেয়া হয় শয়তানকে।” [6]

 

এমন আরো বহু হাদিস রয়েছে যার সবগুলো উল্লেখ করলে লেখার কলেবর অনেক বেড়ে যাবে। উপরের হাদিসগুলো থেকেই এটি স্পষ্ট যে আসমানের ‘দরজা’ মোটেও ঘরের দরজার মতো কিছু না যা ঠক ঠক করে নক করার মতো কিংবা হাতল ধরে টেনে খোলা বা বন্ধ করার মতো কিছু। আমরা উপরের হাদিসে দেখছি যে মাজলুম ব্যক্তির দোয়াকে উপরে তুলে নেয়া হয় এবং এর জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়। আযানের সময়েও দোয়া কবুল করা হয় এবং আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়। দোয়া এমন জিনিস যার জন্য বাড়িঘরের দরজা খোলার কোনো ব্যাপার ঘটে না, কিন্তু আসমানের দরজা ঠিকই খোলা হয়। আবার বেশি বেশি নেক আমলের মাস রমযান মাসেও বিশেষভাবে আসমানের দরজা খোলা হয়। কী রূপে এই ‘দরজা’ খোলা হয় তা আল্লাহ তা’আলাই ভালো জানেন। আমাদেরকে এর স্বরূপ জানানো হয়নি। এটি গায়েবের বিষয়। কিন্তু হাদিসের বর্ণনা থেকে এটি স্পষ্ট যে এটি বাড়িঘরের ‘দরজা’ র মতো কোনো কিছু না। আধুনিক বিজ্ঞানের এই যুগে আমরা জানি যে ছায়াপথ হচ্ছে তারকা, নাক্ষত্রিক অবশেষ, আন্তঃনাক্ষত্রিক গ্যাস, ধূলিকণা ইত্যাদি নিয়ে গঠিত মহাকর্ষীয় টানে আবদ্ধ একটি জগৎ। বিজ্ঞান আমাদেরকে বস্তুগতভাবে এই বিষয়ে জানায়। কিন্তু হাদিসে যে ‘আসমানের দরজা’র কথা বলা হয়েছে তা ভিন্ন এক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়েছে। হাদিসের এই তথ্য বিজ্ঞানের তথ্যকে সত্যায়নও করে না, নাকচও করে না। যারা এখান থেকে ‘বৈজ্ঞানিক ভুল’ এর অভিযোগ তোলে তারা বৃথা চেষ্টা করে।

 

নুহ(আ.) এর সময়কার বন্যা এবং আসমানের দ্বারঃ

 

উপরে উল্লেখিত সাহাবী আলি(রা.) এর উক্তি দ্বারা জানা যায় যে নুহ(আ.) এর সময়কার মহাপ্লাবনের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আসমানের সেই দ্বার খুলে দেয়া হয়েছিলো। এখান থেকে ‘বৈজ্ঞানিক ভুল’ বের করার চেষ্টাও এক প্রকারের বৃথা চেষ্টা বলেই মনে হয়। কেননা সেই বর্ণনাতেই এটা পরিষ্কার যে সেটি নুহ(আ.) এর বন্যার সময়কালের ঘটনা ছিলো, সাধারণ বৃষ্টিপাতের ঘটনার কথা সেখানে বলা হয়নি। আরেকজন সাহাবী ইবন আব্বাস(রা.) এর উক্তি থেকে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়। তাঁর তাফসির থেকে জানা যায় যে, নুহ(আ.) এর সম্প্রদায়কে যে বন্যার আযাব দেয়া হয়, সেই আযাবের ফলে মেঘ ছাড়াই বিশেষ উপায়ে বৃষ্টি হয়। আর এমনটি আগে পা পরে কখনো হয়নি। কোনো সাধারণ বৃষ্টিপাতের বিবরণ সেটি না। সুরা ক্বামারের ১১ নং আয়াতের তাফসিরে ইবন আব্বাস(রা.) হতে বর্ণিত আছেঃ

 

“এই আয়াতের অর্থ হইল এই যে, সেই দিন আকাশ হইতে মেঘ ছাড়াই এত প্রবল বৃষ্টিপাত হইয়াছিল যা ইহার পূর্বে বা পরে কখনো হয় নাই । সেই দিন আকাশে কোন মেঘ ছিল না বরং বৃষ্টির জন্য আকাশের দ্বার খুলিয়া দেওয়া হইয়াছিল। ফলে আকাশ হইতে বর্ষিত পানি আর মাটি হইতে উৎসারিত পানি একত্রে মিলিত হইয়া একটি বিশেষ রূপ ধারণ করিয়াছিল।[7]

 

 

অর্থাৎ সেটি নিয়মিত বা সাধারণ বৃষ্টিপাতের কোনো উল্লেখ নয়। সাধারণ বৃষ্টিপাত যে মেঘ থেকে হয়, এটি কুরআনে স্পষ্টত উল্লেখ আছে।

 

  وَهُوَ الَّذِي يُرْسِلُ الرِّيَاحَ بُشْرًا بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهِ ۖ حَتَّىٰ إِذَا أَقَلَّتْ سَحَابًا ثِقَالًا سُقْنَاهُ لِبَلَدٍ مَّيِّتٍ فَأَنزَلْنَا بِهِ الْمَاءَ فَأَخْرَجْنَا بِهِ مِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ ۚ كَذَٰلِكَ نُخْرِجُ الْمَوْتَىٰ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

অর্থঃ “তিনিই বৃষ্টির পূর্বে সুসংবাদবাহী বায়ু পাঠিয়ে দেন। এমনকি যখন বায়ুরাশি পানিপূর্ণ মেঘমালা বয়ে আনে, তখন আমি এ মেঘমালাকে একটি মৃত শহরের দিকে হাঁকিয়ে দেই। অতঃপর এ মেঘ থেকে বৃষ্টি ধারা বর্ষণ করি। অতঃপর পানি দ্বারা সব রকমের ফল উৎপন্ন করি। এমনি ভাবে মৃতদেরকে বের করব-যাতে তোমরা চিন্তা কর।” [8]

 

মুজিজা বা আযাবের ঘটনাগুলো এমনভাবে হয় যার দ্বারা আল্লাহর সৃষ্ট প্রকৃতির সাধারণ নিয়মগুলোর বাত্যয় ঘটে। যিনি প্রকৃতির স্রষ্টা, এর নিয়মগুলোর স্রষ্টা, তিনি ইচ্ছা করলে এর ব্যতিক্রম ঘটাতে পারেন। সাধারণভাবে আগুনে নিক্ষিপ্ত হলে মানুষ পুড়ে যাবে, কিন্তু ইব্রাহিম(আ.) এর ক্ষেত্রে তা হয়নি। সাধারণভাবে সমুদ্রের পানি সরে গিয়ে চলার রাস্তা হয়ে যায় না। কিন্তু মুসা(আ.) ফিরআউনের ঘটনায় এমনটি হয়েছিলো। পানি সরে গিয়ে মুসা(আ.) ও বনী ইস্রাঈলের জন্য চলার রাস্তা সৃষ্টি হয়েছিলো, ফিরআউনের জন্য আযাবস্বরূপ সেই পানি তাকে ডুবিয়ে দেয়। এগুলো উল্লেখের উদ্যেশ্য এটা বর্ণনা করা না যে প্রকৃতির সাধারণ নিয়ম এগুলো! বরং এগুলো আল্লাহর ইচ্ছায় বিশেষ পরিস্থিতিগুলোর নির্দেশক যার দ্বারা আল্লাহর ক্ষমতা ও মর্যাদা মানুষের নিকট প্রকাশিত হয়। নুহ(আ.) এর সময়কালের বন্যার বৃষ্টিও সেরূপ একটি জিনিস ছিলো। সুরা ক্বামারের ১১ নং আয়াতে নুহ(আ.) এর বন্যার সময়ে  আসমানের দরজা খোলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগের আয়াতেই নুহ(আ.) এর দোয়ার কথা উল্লেখ আছে। [9] ইতিমধ্যেই হাদিসের আলোচনা করেছি যে মাজলুমের দোয়ার জন্য আসমানের দরজা খোলা হয়। দোয়ার মতো একটি জিনিসের জন্যও যে আসমানের দরজা খোলা হয়, সেখানে আযাবের বৃষ্টির জন্যও আসমানের দরজা খোলা হয়েছিলো। এই আসমানের দরজার ব্যাপারটি মোটেও পার্থিব দরজার মতো কিছু নয়। কেউ যদি এই ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে দেখায় আর দাবি করে যে কুরআনে এখানে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ‘বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল’ তথ্য দেয়া আছে – সে মোটেও সঠিক কথা বলছে না। 

 

রংধনু পৃথিবীবাসীর জন্য মহাপ্লাবনের পর নিরাপত্তার প্রতীকঃ

 

এ সংক্রান্ত একটি হাদিস নবী() থেকেও পাওয়া যায়। কিন্তু সেটি মাওযু বা জাল হাদিস। [10] আল কুরআন বা নবী() এর হাদিস থেকে এটি প্রমাণিত নয়। তবে এটি ইবন আব্বাস(রা.) থেকে বিশুদ্ধভাবে বর্ণিত আছে। এখানে রংধনু কিভাবে গঠিত হয় সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। সাধারণভাবে বলা হয়েছে যে এটি মহাপ্লাবনের পর নিরাপত্তার প্রতীক। অর্থাৎ সেই মহাপ্লাবনের পর রংধনু একটি নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

 
 
তথ্যসূত্র

[1] 'আল-আদাবুল মুফরাদ'- ইমাম বুখারী, হাদিস নং : ৭৭১

বাংলাঃ https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=46155

ইংরেজিঃ https://sunnah.com/adab:766

[2] 'আল-আদাবুল মুফরাদ'- ইমাম বুখারী, হাদিস নং : ৭৭২ (সহীহ)

বাংলাঃ https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=46156

 ইংরেজিঃ https://sunnah.com/adab:767

[4] আহমাদ হা/১৪৭৩০; সহীহাহ হা/১৪১৩; সহীহ আত-তারগীব হা/২৬০।

[5] আহমাদ হা/৮০৩০; তিরমিযী হা/৩৫৯৮; ইবনে মাজাহ হা/১৭৫২; সহীহা হা/৮৭০, হাসান।

[6] সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ১৭৭৮

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=1785

[7] ‘তাফসির ইবন কাসির’, ১০ম খণ্ড (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ), সুরা ক্বামারের ১১ নং আয়াতের তাফসির, পৃষ্ঠা ৫৬০

[8] আল কুরআন, আরাফ ৭ : ৫৭

[9] فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانتَصِرْ

অর্থঃ "তখন তিনি তাঁর রবকে আহবান করে বলেছিলেন, নিশ্চয় আমি অসহায়, অতএব আপনি প্ৰতিবিধান করুন।"

(আল কুরআন, ক্বামার ৫৪ : ১০)

[10] বিস্তারিত দেখুনঃ

هل يقال قوس قزح أم قوس الله - إسلام ويب - مركز الفتوى

https://www.islamweb.net/ar/fatwa/68767/