Pray for the world economy

মিরাজের যাত্রা শুরুর স্থান এবং বাইতুল মাকদিসে যাত্রাবিরতি নিয়ে হাদিসে কি পরস্পরবিরোধিতা আছে?

 

আল কুরআন এবং হাদিসের বক্তব্যঃ

 

আল কুরআন থেকে অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে মিরাজের রাতে নবী করিম () মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় ভ্রমণ করেছিলেন।

 

سُبۡحٰنَ الَّذِیۡۤ اَسۡرٰی بِعَبۡدِهٖ لَیۡلًا مِّنَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ اِلَی الۡمَسۡجِدِ الۡاَقۡصَا الَّذِیۡ بٰرَكۡنَا حَوۡلَهٗ لِنُرِیَهٗ مِنۡ اٰیٰتِنَا ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ

অর্থঃ "পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [1]

 

মিরাজের রাতে নবী করিম () এর সফরের সূচনা প্রসঙ্গে বিভিন্ন সহীহ হাদিসে যা উল্লেখ আছে—

 

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ فُرِجَ عَنْ سَقْفِ بَيْتِي وَأَنَا بِمَكَّةَ، فَنَزَلَ جِبْرِيلُ فَفَرَجَ صَدْرِي، ثُمَّ غَسَلَهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ جَاءَ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُمْتَلِئٍ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، فَأَفْرَغَهُ فِي صَدْرِي ثُمَّ أَطْبَقَهُ، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي فَعَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا،

অর্থঃ "… রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার ঘরের ছাদ খুলে দেয়া হল। তখন আমি মক্কায় ছিলাম। তারপর জিবরীল (আঃ) এসে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা যমযমের পানি দিয়ে ধুইলেন। এরপর হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি সোনার পাত্র নিয়ে আসলেন এবং তা আমার বক্ষে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। তারপর হাত ধরে আমাকে দুনিয়ার আসমানের দিকে নিয়ে চললেন।  ..." [2]

 

قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ بَيْنَا أَنَا عِنْدَ الْبَيْتِ بَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ ـ وَذَكَرَ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ ـ فَأُتِيتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، فَشُقَّ مِنَ النَّحْرِ إِلَى مَرَاقِّ الْبَطْنِ، ثُمَّ غُسِلَ الْبَطْنُ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، وَأُتِيتُ بِدَابَّةٍ أَبْيَضَ دُونَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ الْبُرَاقُ، فَانْطَلَقْتُ مَعَ جِبْرِيلَ حَتَّى أَتَيْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا

অর্থঃ "নবী বলেছেন, আমি কাবা ঘরের নিকট নিদ্রা ও জাগরণ-এ দু অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম। এরপর তিনি দু ব্যাক্তির মাঝে অপর এক ব্যাক্তি অর্থাৎ নিজের অবস্থা উল্লেখ করে বললেন, আমার নিকট স্বর্ণের একটি তশতরী নিয়ে আসা হল-যা হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ ছিল। তাপর আমার বুক থেকে পেটের নীচ পর্যন্ত বিদীর্ণ করা হল। এরপর আমার পেটে যমযমের পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলা হল। তারপর হিকমত ও ঈমান পরিপূর্ণ করা হল এবং আমার নিকট সাদা চতুষ্পদ জন্তু আনা হল, যা খচ্চর হতে ছোট আর গাধা থেকে বড় অর্থাৎ বুরাক। এরপর তাতে আরোহণ করে আমি জিবরীল (আলাইহিস সালাম) সহ চলতে চলতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে গিয়ে পৌঁছলাম। ..." [3]

 

أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُمْ عَنْ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ ‏"‏ بَيْنَمَا أَنَا فِي الْحَطِيمِ ـ وَرُبَّمَا قَالَ فِي الْحِجْرِ ـ مُضْطَجِعًا، إِذْ أَتَانِي آتٍ فَقَدَّ ـ قَالَ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ فَشَقَّ ـ مَا بَيْنَ هَذِهِ إِلَى هَذِهِ ـ فَقُلْتُ لِلْجَارُودِ وَهْوَ إِلَى جَنْبِي مَا يَعْنِي بِهِ قَالَ مِنْ ثُغْرَةِ نَحْرِهِ إِلَى شِعْرَتِهِ، وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ مِنْ قَصِّهِ إِلَى شِعْرَتِهِ ـ فَاسْتَخْرَجَ قَلْبِي، ثُمَّ أُتِيتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مَمْلُوءَةٍ إِيمَانًا، فَغُسِلَ قَلْبِي ثُمَّ حُشِيَ، ثُمَّ أُوتِيتُ بِدَابَّةٍ دُونَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ أَبْيَضَ ‏"‏‏.‏ ـ فَقَالَ لَهُ الْجَارُودُ هُوَ الْبُرَاقُ يَا أَبَا حَمْزَةَ قَالَ أَنَسٌ نَعَمْ، يَضَعُ خَطْوَهُ عِنْدَ أَقْصَى طَرْفِهِ ـ ‏"‏ فَحُمِلْتُ عَلَيْهِ، فَانْطَلَقَ بِي جِبْرِيلُ حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَاسْتَفْتَحَ،

অর্থঃ "নবী কে যে রাতে তাঁকে ভ্রমণ করানো হয়েছে সে রাতের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, একদা আমি কাবা ঘরের হাতিমের অংশে ছিলাম। কখনো কখনো রাবী (কাতাদা) বলেছেন, হিজরে শুয়েছিলাম। হঠাৎ একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন এবং আমার এ স্থান থেকে সে স্থানের মধ্যবর্তী অংশটি চিরে ফেললেন। রাবী কাতাদা বলেন, আনাস (রাঃ) কখনো কাদ্দা (চিরলেন) শব্দ আবার কখনো শাক্‌কা (বিদীর্ণ) শব্দ বলেছেন। রাবী বলেন, আমি আমার পার্শ্বে বসা জারূদ (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, এ দ্বারা কী বুঝিয়েছেন? তিনি বললেন, হলকুমের নিম্নদেশ থেকে নাভী পর্যন্ত। কাতাদা (রহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে এ-ও বলতে শুনেছি বুকের উপরিভাগ থেকে নাভির নিচ পর্যন্ত। তারপর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন) আগন্তুক আমার হৃদপিণ্ড বের করলেন। তারপর আমার নিকট একটি স্বর্ণের পাত্র আনা হল যা ঈমানে পরিপূর্ণ ছিল। তারপর আমার হৃদপিণ্ডটি (যমযমের পানি দ্বারা) ধৌত করা হল এবং ঈমান দ্বারা পরিপূর্ণ করে যথাস্থানে পুনরায় রেখে দেয়া হল।

তারপর সাদা রং এর একটি জন্তু আমার নিকট আনা হল। যা আকারে খচ্চর থেকে ছোট ও গাধা থেকে বড় ছিল? জারূদ তাকে বলেন, হে আবূ হামযা, ইহাই কি বুরাক? আনাস (রাঃ) বললেন, হাঁ। সে একেক কদম রাখে দৃষ্টির শেষ প্রান্তে। আমাকে তার উপর সাওয়ার করানো হল। তারপর আমাকে নিয়ে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) চললেন, প্রথম আসমানে নিয়ে এসে দরজা খুলে দিতে বললেন, ..." [4]

                                                                           

يَقُولُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَسْجِدِ الْكَعْبَةِ أَنَّهُ جَاءَهُ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ قَبْلَ أَنْ يُوحَى إِلَيْهِ وَهْوَ نَائِمٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، فَقَالَ أَوَّلُهُمْ أَيُّهُمْ هُوَ فَقَالَ أَوْسَطُهُمْ هُوَ خَيْرُهُمْ‏. فَقَالَ آخِرُهُمْ خُذُوا خَيْرَهُمْ‏. فَكَانَتْ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَلَمْ يَرَهُمْ حَتَّى أَتَوْهُ لَيْلَةً أُخْرَى فِيمَا يَرَى قَلْبُهُ، وَتَنَامُ عَيْنُهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ وَكَذَلِكَ الأَنْبِيَاءُ تَنَامُ أَعْيُنُهُمْ وَلاَ تَنَامُ قُلُوبُهُمْ، فَلَمْ يُكَلِّمُوهُ حَتَّى احْتَمَلُوهُ فَوَضَعُوهُ عِنْدَ بِئْرِ زَمْزَمَ فَتَوَلاَّهُ مِنْهُمْ جِبْرِيلُ فَشَقَّ جِبْرِيلُ مَا بَيْنَ نَحْرِهِ إِلَى لَبَّتِهِ حَتَّى فَرَغَ مِنْ صَدْرِهِ وَجَوْفِهِ، فَغَسَلَهُ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ بِيَدِهِ، حَتَّى أَنْقَى جَوْفَهُ، ثُمَّ أُتِيَ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ فِيهِ تَوْرٌ مِنْ ذَهَبٍ مَحْشُوًّا إِيمَانًا وَحِكْمَةً، فَحَشَا بِهِ صَدْرَهُ وَلَغَادِيدَهُ ـ يَعْنِي عُرُوقَ حَلْقِهِ ـ ثُمَّ أَطْبَقَهُ ثُمَّ عَرَجَ بِهِ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَضَرَبَ بَابًا مِنْ أَبْوَابِهَا

অর্থঃ "তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ কে এক রাতে কাবার মসজিদ থেকে সফর করানো হল। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এক রাতে কাবার মসজিদ থেকে সফর করানো হল। বিবরণটি হচ্ছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ বিষয়ে ওহী প্রেরণের পুর্বে তার কাছে তিনজন ফেরেশতার একটি জামাআতে আসল। অথচ তখন তিনি মসজিদুল হারামে ঘুমন্ত ছিলেন। এদের প্রথমজন বলল, তিনি কে? মধ্যের জন বলল, তিনি এদের উত্তম ব্যাক্তি। সর্বশেষ জন বলল, তা হলে তাদের উত্তম ব্যাক্তিকেই নিয়ে চল। সে রাতটির ঘটনা এটুকুই। এ জন্য তিনি আর তাদেরকে দেখেননি। অবশেষে তারা অন্য এক রাতে আগমন করলেন যা তিনি অন্তর দ্বারা দেখছিলেন। তার চোখ ঘুমন্ত, অন্তর ঘুমায় না। অনুরূপ অন্য নবীগণেরও চোখ ঘুমিয়ে থাকে, অন্তর ঘুমায় না।

এ রাতে তারা তার সাথে কোন কথা না বলে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যমযম কূপের কাছে রাখলেন। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তার সাথীদের থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তার গলার নিচ হতে বক্ষস্থল পর্যন্ত ছেদন করলেন এবং তার বক্ষ ও পেট থেকে সবকিছু নেড়েচেড়ে যমযমের পানি দ্বারা নিজ হাতে ধৌত করেন। সেগুলোকে পরিছন্ন করলেন, তারপর সেখানে একটি তশতরী আনা হয় এবং তাতে ছিল একটি সোনার পাত্র যা পরিপূর্ণ ছিল ঈমান ও হিকমতে। তাঁর বক্ষ ও গলার রগগুলি এর দ্বারা পূর্ণ করলেন।

তারপর সেগুলো যখাস্থানে স্থাপন করে বন্ধ করে দিলেন। তারপর তাঁকে নিয়ে ফিরে আসমানের দিকে আরোহণ করলেন। আসমানের দরজাগুলো হতে একটি দরজাতে নাড়া দিলেন। ..." [5]

 

এ ছাড়া অত্যন্ত যঈফ বর্ণনায় উল্লেখ আছে উম্মে হানি(রা.) এর বড়ি থেকে নবী করিম() এর ইসরা-মিরাজের যাত্রা শুরু হয়। [6]

 

পরস্পরবিরোধিতার অভিযোগের জবাবঃ

 

আল কুরআন এবং অধিকাংশ সহীহ হাদিসের বর্ণনায় এটি স্পষ্ট যে নবী() এর ইসরা-মিরাজের যাত্রা মসজিদুল হারাম থেকে হয়েছিল। তবে কোনো সহীহ হাদিসের বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে নবী()কে মক্কায় তাঁর ঘর থেকে যাত্রা করানো হয়। আপাতদৃষ্টিতে এই বর্ণনাগুলোকে পরস্পরবিরোধী বলে মনে হয়। এ ছাড়া উম্মে হানি(রা.) এর বাড়ি থেকে ইসরা-মিরাজের যাত্রা শুরুর বর্ণনা যঈফ এবং অপ্রমাণিত বিধায় তা ধর্তব্য নয়।  আবার তিনি বাইতুল মাকদিসে থেমেছিলেন কিনা এই বিষয়ে আপাতদৃষ্টিতে কিছু বর্ণনাকে পরস্পরবিরোধী মনে হয়।

 

আপাতভাবে পরস্পরবিরোধী মনে হলেও সে রাতের পূর্ণ ঘটনা বিবেচনা করা হলে বোঝা যায় যে হাদিসগুলোতে আদৌ পরস্পরবিরোধিতা নেই। পূর্বযুগ এবং পরের যুগের বহু মুহাদ্দিস এই ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। মুহাদ্দিসগণ একাধিক উপায়ে এই হাদিসগুলো ব্যাখ্যা করেছেন।

 

কোনো কোনো মুহাদ্দিস আলোচ্য হাদিসগুলো বিশ্লেষণ করে বলেছেন, নবী() এর মিরাজ একাধিকবার হয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে একেক বারের ঘটনা বর্ণিত আছে বিধায় আপাত ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। প্রখ্যাত মুহাদ্দিস যাকারিয়া আল আনসারী(র.) তাঁর সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘মিনহাতুল বারী’তে উল্লেখ করেছেন,

 

وجمع بينه وبين قوله فيما مَرَّ في كتاب الصلاة: "فرج عن سقف بيتي" (١) فإن له - صلى الله عليه وسلم - معراجين: أحدهما: من بيته، والآخر: من البيت الحرام، أو أنه دخل بيته ثم عرج (٢). (بين النائم واليقظان) جمع بينه وبين ما مَرَّ في الصلاة، إذ ظاهره: أنه كان في اليقظة بأن الإسراء متعدد، ويحمل ما بين النائم واليقظان على أول الأمر ثُم أسري بجسده بعد الإفاقة؛ لأن قريشًا قد أنكرته ورؤيا المنام لا تنكر هذا،

অর্থঃ “এই হাদিসগুলোর সমন্বয় হচ্ছেঃ তাঁর [নবী()] যে বক্তব্য [সহীহ বুখারীর] সলাত অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে, “আমার ঘরের ছাদ খুলে দেয়া হল”, এর কারণ হচ্ছে,  তাঁর দুইবার মিরাজ হয়েছিল। একবার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে, অন্যবার হয়েছে বাইতুল হারাম [মসজিদুল হারাম] থেকে। অথবা তিনি তাঁর বাড়িতে এসেছেন, এরপর মিরাজ হয়েছে। {নিদ্রা ও জাগরণ-এ দু’ অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থায়} এই বক্তব্য এবং [সহীহ বুখারীর] সলাত অধ্যায়ে বর্ণিত বক্তব্যের সমন্বয় হচ্ছে, প্রকাশ্য অর্থ অনুযায়ী বোঝা যায়, তিনি জাগ্রত ছিলেন এবং মিরাজ একাধিকবার হয়েছিল। তিনি প্রথম দিকে নিদ্রা ও জাগরণের অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলেন, পরে তাঁকে সশরীরে পূর্ণ জাগ্রত অবস্থায় [মিরাজের] ভ্রমণ করানো হয়েছিল। কেননা কুরাইশরা উক্ত বিষয়কে [মিরাজকে] অবিশ্বাস করেছিল। এটা যদি স্বপ্নযোগে ভ্রমণ হতো তাহলে অবিশ্বাসের কিছু ছিল না।  [7]

 

 

শায়খ ড. সুলাইমান বিন মুহাম্মাদ আদ-দুবাইখি (হাফি.) আহাদিছিল আকিদাতিল মুতাওয়াহহিমু ইশকালুহা ফিস সহীহাইন গ্রন্থে এই হাদিসগুলোর সমন্বয় সাধন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনাটি মূলত মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আকিদা বিভাগে তাঁর পিএইচডির থিসিসের অংশ ছিল। তিনি এ প্রসঙ্গে জমহুর মুহাদ্দিসদের অভিমত গ্রহণ করেছেন যে অভিমত অনুযায়ী মিরাজ একবারই হয়েছিল। আলোচনাটি নিম্নরূপ—

 

وفي رواية له في الصحيحن: (بينا أنا عند البيت)، وفي رواية شريك -ستأتي قريبًا-: (أسري برسول الله -صلى الله عليه وسلم- من مسجد الكعبة)، ولا تعارض بين هذه الروايات لأن الحجر جزء من مسجد الكعبة، الذي هو البيت، فتحمل الرواية العامة -البيت- على الرواية الخاصة، وهو كونه في الحجر.

وفي رواية الزهري -ستأتي قريبًا- أن الإسراء كان من بيته، حيث جاء فيها: (فرج عن سقف بيتي وأنا بمكة، فنزل جبريل -صلى الله عليه وسلم-)، والجمع بينها وبين ما تقدم: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان في بيته بمكة، فأُخذ من هناك إلى الحجر، ومنه أُسري برسول الله -صلى الله عليه وسلم-، ويؤيد هذا الجمع ما وقع في مرسل الحسن عند ابن إسحاق: "أن جبريل أتاه فأخرجه إلى المسجد فأركبه البراق".

وما قيل -غير ما تقدم- في تحديد المكان الذي أُسري بالنبي -صلى الله عليه وسلم- منه -كالقول بأنه أُسري به من بيت أم هانئ - فهو مبني على روايات ضعيفة، لا تقوم بها حجة، والله أعلم. [انظر: الحجة في بيان المحجة (١/ ٥٣٥، ٥٣٩)، والفتح (٧/ ٢٠٤)، والإسراء والمعراج ومسائل العقيدة فيهما (١/ ١٤٨ - ١٥١) رسالة ماجستير -غير مطبوعة- لعمر القرموشي، وقد استفدت منها في هذه المسألة].

অর্থঃ “সহীহাইনের [বুখারী ও মুসলিম] বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ بَيْنَا أَنَا عِنْدَ الْبَيْتِ {আমি গৃহে ছিলাম} [8] এবং শারিকের বর্ণনায় আছে, যার আলোচনা একটু পরেই আসছে - أُسْرِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَسْجِدِ الْكَعْبَةِ { রাসুলুল্লাহ কে এক রাতে কাবার মসজিদ থেকে সফর করানো হল} [9]। এই বর্ণনাগুলোর মাঝে পরস্পরবিরোধিতা নেই, কারণ হিজর হচ্ছে কাবা মসজিদের [মসজিদুল হারাম] অংশ। আর এটাই হচ্ছে ‘গৃহ’ {আল বাইত}। কাজেই আমভাবে বর্ণনায় যে الْبَيْتِ বা গৃহের বলা হয়েছে, তা খাসভাবে বর্ণনায় যা বলা হয়েছে এর আলোকে ব্যাখ্যা করতে হবে। আর তা হল ‘হিজর’ [কাবা ঘর সংলগ্ন একটি এলাকা]।

 

আর যুহরীর বর্ণনা অনুযায়ী, যার আলোচনা একটু পরেই আসছে, তাঁর [নবী ()] ঘর থেকে ইসরা [মক্কা থেকে জেরুজালেম সফর] হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছে, فُرِجَ عَنْ سَقْفِ بَيْتِي وَأَنَا بِمَكَّةَ، فَنَزَلَ جِبْرِيلُ { আমার ঘরের ছাদ খুলে দেয়া হল। তখন আমি মক্কায় ছিলাম। তারপর জিবরীল (আ.) অবতরণ করলেন}। [10] পূর্বে উল্লেখিত হাদিসগুলোর সাথে এই হাদিসের সমন্বয় হচ্ছেঃ নবী মক্কায় তাঁর ঘরে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে হিজরে নিয়ে যাওয়া হয়। [এরপর তিনি সে স্থানে নিদ্রালু অবস্থায় শুয়ে পড়েছিলেন বলে ইবন হাজার(র.) উল্লেখ করেছেন। [11]] আর সেখান থেকেই তাঁকে [মসজিদুল আকসার উদ্দেশ্যে] ভ্রমণ করানো হয়। আর এই সমন্বয়টি হাসান [বসরী] (র.) সূত্রে একটি মুরসাল বর্ণনা দ্বারা সমর্থিত, যেটি ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেনঃ “জিব্রাঈল(আ.) তাঁর নিকট এলেন, তাঁকে মসজিদ [মসজিদুল হারাম] থেকে বের করে নিলেন। এরপর তাঁকে [জাগ্রত অবস্থায়] বুরাকে চড়ালেন।”

 

কোথা থেকে নবী কে ভ্রমণ করানো হয়েছিল সেই স্থান নির্দিষ্ট করতে গিয়ে উপরে যা উল্লেখ করা হয়েছে এর বাইরেও উল্লেখ করা হয় যে, তাঁকে উম্মে হানি(রা.) এর বাড়ি থেকে ভ্রমণ করানো হয়েছিল। কিন্তু তা যঈফ (দুর্বল) রেওয়ায়েতের আলোকে বলা হয়। কাজেই তা থেকে কোনো প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এবং আল্লাহই সর্বোত্তম জানেন।[12]

 

 

এখানে পূর্ণ ঘটনা আলোচনা করে হাদিসগুলোর মাঝে সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। কিছু হাদিসে পূর্ণ ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণী আছে এবং একেক বর্ণনাকারী একেক অংশের আলোচনা করেছেন বিধায় আপাতদৃষ্টিতে হাদিসগুলোকে স্ববিরোধী মনে হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলো স্ববিরোধী নয়।

 

আমরা উলামাদের যে ব্যাখ্যাটিকেই গ্রহণ করি না কেন, উভয় পন্থাতেই হাদিসগুলোর সমন্বয় সাধন করা যায় এবং আর পরস্পরবিরোধিতা পরিলক্ষিত হয় না।

 

এখন আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে, উপরে উল্লেখিত হাদিসগুলোতে নবী() এর বাইতুল মাকদিস তথা মসজিদুল আকসায় গমনের উল্লেখ নেই কেন? উপরের হাদিসগুলো দেখে মনে হচ্ছে বুরাক আনবার পরেই নবী() আসমানে গমন করেছেন অথবা জিব্রাঈল(আ.) সরাসরি নবী()কে আসমানে নিয়ে গেছেন, মসজিদুল আকসায় গমন ছাড়াই। অথচ কুরআনে উল্লেখ আছে নবী() মসজিদুল আকসাতেও গমন করেছিলেন। কিছু হাদিসেও উল্লেখ আছে বুরাক আনবার পর নবী() তাতে আরোহন করেন এবং বাইতুল মাকদিস তথা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। এমনকি সেখানে সলাতও আদায় করেন। যেমনঃ

 

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُتِيتُ بِالْبُرَاقِ - وَهُوَ دَابَّةٌ أَبْيَضُ طَوِيلٌ فَوْقَ الْحِمَارِ وَدُونَ الْبَغْلِ يَضَعُ حَافِرَهُ عِنْدَ مُنْتَهَى طَرْفِهِ - قَالَ فَرَكِبْتُهُ حَتَّى أَتَيْتُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ - قَالَ - فَرَبَطْتُهُ بِالْحَلْقَةِ الَّتِي يَرْبِطُ بِهِ الأَنْبِيَاءُ - قَالَ - ثُمَّ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَصَلَّيْتُ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ خَرَجْتُ فَجَاءَنِي جِبْرِيلُ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - بِإِنَاءٍ مِنْ خَمْرٍ وَإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ فَاخْتَرْتُ اللَّبَنَ فَقَالَ جِبْرِيلُ صلى الله عليه وسلم اخْتَرْتَ الْفِطْرَةَ . ثُمَّ عَرَجَ بِنَا إِلَى السَّمَاءِ فَاسْتَفْتَحَ جِبْرِيلُ

অর্থঃ "রাসুলুল্লাহ ইরশাদ করেনঃ আমার কাছে বুরাক আনা হল। বুরাক গাধা থেকে বড় এবং খচ্চর থেকে ছোট একটি সাদা রঙের জন্তু। যতদুর দৃষ্টি যায়, এক এক পদক্ষেপে সে ততাদূর চলে। রাসুলুল্লাহ   বলেনঃ আমি এতে আরোহন করলাম এবং বায়তুল মাকদাস পর্যন্ত এসে পৌছলাম। তারপর অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কিরাম তাদের বাহনগুলো যে রজ্জুতে বাধতেন, আমি সে রজ্জুতে আমার বাহনটিও বাধলাম। তারপর মসজিদে প্রবেশ করলাম ও দু-রাকাত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে বের হলাম।

জিবরীল (আলাইহিস সালাম) একটি শরাবের পাত্র এবং একটি দুধের পাত্র নিয়ে আমার কাছে এলেন। আমি দুধ গ্রহণ করলাম। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে বললেন, আপনি ফিরতকেই গ্রহণ করলেন। তারপর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে নিয়ে ঊর্ধ্বলোকে গেলেন এবং আসমান পর্যন্ত পৌছে দার খুলতে বললেন। ..." [13]

 

আল কুরআন এবং এই বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে প্রমাণিত যে নবী() সেই রাতে মসজিদুল আকসায় গমন করেছিলেন। তাহলে পূর্বে উল্লেখিত হাদিসগুলোতে কেন মসজিদুল আকসায় গমনের উল্লেখ নেই? সেগুলো দেখে কেন মনে হচ্ছে নবী() সরাসরি আসমানে গমন করেছেন? এখানে কি কোনো পরস্পরবিরোধিতা আছে? এর উত্তরে ইমাম ইবন হাজার আসকালানী(র.) সুবিখ্যাত ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন,

 

قَوْلُهُ: (ثُمَّ أَطْبَقَهُ ثُمَّ عَرَجَ بِهِ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا) إِنْ كَانَتِ الْقِصَّةُ مُتَعَدِّدَةً فَلَا إِشْكَالَ وَإِنْ كَانَتْ مُتَّحِدَةً فَفِي هَذَا السِّيَاقِ حَذْفٌ تَقْدِيرُهُ ثُمَّ أَرْكَبَهُ الْبُرَاقَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، ثُمَّ أَتَى بِالْمِعْرَاجِ كَمَا فِي حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ فَغُسِلَ بِهِ قَلْبِي ثُمَّ حُشِيَ ثُمَّ أُعِيدَ ثُمَّ أُتِيتُ بِدَابَّةٍ فَحُمِلْتُ عَلَيْهِ فَانْطَلَقَ بِي جِبْرِيلُ حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الدُّنْيَا وَفِي سِيَاقِهِ أَيْضًا حَذْفٌ تَقْدِيرُهُ حَتَّى أَتَى بِي بَيْتَ الْمَقْدِسِ ثُمَّ أَتَى بِالْمِعْرَاجِ كَمَا فِي رِوَايَةِ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ رَفَعَهُ: أُتِيتُ بِالْبُرَاقِ فَرَكِبْتُهُ حَتَّى أَتَى بِي بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَرَبَطْتُهُ، ثُمَّ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَصَلَّيْتُ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ عُرِجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ.

অর্থঃ “তাঁর বক্তব্যঃ {তারপর সেগুলো যখাস্থানে স্থাপন করে বন্ধ করে দিলেন। তারপর তাঁকে নিয়ে ফিরে আসমানের দিকে আরোহণ করলেন} ; যদি এই ঘটনা [মিরাজ] একাধিকবার ঘটে থাকে, তাহলে এখানে আর সংশয়ের কিছু নেই। আর যদি তা একবার ঘটে থাকে, তাহলে [এর ব্যাখ্যা হচ্ছে,] এখানে এই প্রসঙ্গটি [বুরাকে করে মসজিদুল আকসায় গমন] উহ্য আছে - এরপর তিনি [জিব্রাঈল(আ.)] বুরাকে করে তাঁকে বাইতুল মাকদিসে নিয়ে যান। অতঃপর তাঁর মিরাজ (ঊর্ধ্ব গমন) হয়। যেমনটি মালিক বিন সা’সা’আহ(রা.) এর হাদিসে বলা হয়েছে, তারপর আমার হৃদপিণ্ডটি ধৌত করা হল এবং ঈমান দ্বারা পরিপূর্ণ করে যথাস্থানে আবার রেখে দেয়া হল। তারপর [সাদা রং এর] একটি জন্তু আমার নিকট আনা হল। আমাকে তার উপর সওয়ার করানো হল। তারপর জিব্রাঈল(আ.) আমাকে দুনিয়ার আসমান পর্যন্ত নিয়ে চললেন। এখানেও একটি প্রসঙ্গ উহ্য রয়েছে, আর তা হলঃ “আমাকে বাইতুল মাকদিস পর্যন্ত আনা হল এরপর আমার ঊর্ধ্ব গমন হল”। যেমনটি আনাস(রা.) এর সূত্রে সাবিতের(র.) বর্ণনায় রয়েছে, আমার কাছে বুরাক আনা হল। আমি এতে আরোহন করলাম এবং বাইতুল মাকদিস পর্যন্ত এসে পৌঁছালাম। অতঃপর আমি একে বাঁধলাম। তারপর মসজিদে প্রবেশ করলাম ও দুই রাকাত সলাত আদায় করলাম। এরপর আমার মিরাজ (ঊর্ধ্ব গমন) হল।[14]

 

ইমাম ইবন হাজার(র.) এর আলোচনা থেকে স্পষ্ট হল যে, কিছু হাদিসে বাইতুল মাকদিস তথা মসজিদুল আকসায় গমনের প্রসঙ্গটি উহ্য রাখা হয়েছে। উহ্য রাখার অর্থ এই নয় যে সেখানে ঐ প্রসঙ্গ অস্বীকার করা হয়েছে বা বর্ণনাগুলো পরস্পরবিরোধী। একটি উদাহরণ উল্লেখ করলে বোঝা সহজ হতে পারে। ধরা যাক কোনো ব্যক্তি ঈদে তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে যাবে। তার এই গ্রামের বাড়ির যাত্রার ঘটনাকে একজন বর্ণনাকারী এভাবে বললঃ “লোকটি গ্রামের বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে লঞ্চে উঠল। সে বরিশালে লঞ্চঘাটে নামল। এরপর সে লঞ্চঘাট সংলগ্ন মসজিদে নামাজ আদায় করল। এরপর সে রিকশা নিল এবং গ্রামের বাড়ি পৌঁছালো।”

অপর একজন একজন বর্ণনাকারী এই একই ঘটনা কিছুটা সংক্ষেপে এভাবে বর্ণনা করলঃ “এক ব্যক্তি লঞ্চে উঠে তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে গেল।”

এই দুইজন বর্ণনাকারীর বর্ণনা কি পরস্পরবিরোধী? উত্তর হচ্ছেঃ না। দ্বিতীয় বর্ণনাকারী ঐ একই ঘটনা বর্ণনা করেছে, তবে সে লঞ্চঘাটে নামা এবং মসজিদে নামাজ আদায়ের কথা উহ্য রেখেছে। উহ্য রাখার অর্থ এই নয় যে ঐ ঘটনাগুলো ঘটেনি। বরং একেক বর্ণনাকারী একেক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে একই ঘটনা বর্ণনা করেছে।  

ইসরা-মিরাজের হাদিসগুলোর ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যাপার ঘটেছে। পূর্ণ ঘটনা সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে বোঝা যায় এসব হাদিসে কোনো পরস্পরবিরোধিতা নেই।   

 

আরো পড়ুনঃ

 

মিরাজের রাতে নবী() কি আসলেই ডানাওয়ালা ঘোড়ায় করে আসমানে গিয়েছেন?

 

নবী () এর ইসরা ও মিরাজ: ইসরার ঘটনার সত্যতা কতটুকু? মাসজিদুল আকসা (বাইতুল মুকাদ্দাস) কি আসলেই সে সময়ে ছিল?


কা'বা ও আল আকসা নির্মাণের সময়ের ব্যাবধান সম্পর্কে হাদিসের তথ্য কতটুকু সঠিক?

 

মিরাজের রাতে নামায ৫০ থেকে ৫ ওয়াক্ত হবার দ্বারা কি আল্লাহর বাণী বা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে?

 

মিরাজের ঘটনায় রাসুল() ও উম্মে হানী(রা.) এর উপর ইসলামবিরোধীদের নোংরা অপবাদের জবাব

 

 

তথ্যসূত্রঃ


[1] আল কুরআন, সুরা বনী ইস্রাঈল (ইসরা) ১৭ : ১

[2] সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ৩৪২

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=352

[3] সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ২৯৮০

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=3110

[4] সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ৩৬০৮

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=3866

[5] সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ৭০০৯

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=7752

[6] এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা দেখুনঃ

“মিরাজের ঘটনায় রাসুল() ও উম্মে হানী(রা.) এর উপর ইসলামবিরোধীদের নোংরা অপবাদের জবাব” (Response To Anti-Islam ওয়েবসাইট)

www.response-to-anti-islam.com/show/মিরাজের-ঘটনায়-রাসুল()-ও-উম্মে-হানী(রা.)-এর-উপর-ইসলামবিরোধীদের-নোংরা-অপবাদের-জবাব-/222

[7] মিনহাতুল বারী– যাকারিয়া আল আনসারী, খণ্ড ৬ পৃষ্ঠা ৩২১-৩২২

https://shamela.ws/book/18106/3482

https://shamela.ws/book/18106/3483

অথবা (আর্কাইভকৃত) 

https://archive.is/wip/xBuDN

https://archive.is/wip/zn5AP

[8] দেখুনঃ সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ২৯৮০

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=3110

আরো দেখুনঃ সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৩১৩

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=8104

[9] দেখুনঃ সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ৭০০৯

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=7752

[10] দেখুনঃ সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ৩৪২

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=352

[11]  فَكَانَ بِهِ مُضْطَجِعًا وَبِهِ أَثَرُ النُّعَاسِ

https://shamela.ws/book/1673/4032

[12] আহাদিছিল আকিদাতিল মুতাওয়াহহিমু ইশকালুহা ফিস সহীহাইন – ড. সুলাইমান বিন মুহাম্মাদ আদ-দুবাইখি, পৃষ্ঠা ৪৮২-৪৮৩, টীকা নং ৩।

 https://shamela.ws/book/124/472

https://shamela.ws/book/124/473

অথবা (আর্কাইভকৃত) 

https://archive.is/wip/sPEoQ

https://archive.is/wip/bxB42

[13] সহীহ মুসলিম, হাদিস নং : ৩০৮

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=8099

[14] ফাতহুল বারী– ইবন হাজার আসকালানী, খণ্ড ১৩, পৃষ্ঠা ৪৮১-৪৮২

https://shamela.ws/book/1673/7912

https://shamela.ws/book/1673/7913

অথবা (আর্কাইভকৃত) 

https://archive.is/wip/123Zp

https://archive.is/UQ3VT