Pray for the world economy

কুরআনের স্বাতন্ত্র্যের ব্যাপারে একটি দার্শনিক পর্যালোচনা


মূলঃ হামজা এ. জর্জিস
অনুবাদঃ কাজি মাহদি মাহমুদ(উৎস)
সম্পাদনাঃ মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান(মিনার)


 
 উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ছিলেন ইংরেজি ভাষার একজন কবি ও নাট্যকার। ইংরেজি ভাষার শ্রেষ্ঠ লেখক হিসাবে তিনি বিবেচিত হয়ে থাকেন। স্বতন্ত্র ঘরানার সাহিত্যকর্মের রচয়িতা হিসাবে তাঁর উদাহরণ প্রায়ই তুলে ধরা হয়। কেউ কেউ যুক্তি দেখান, একজন মানুষ হয়েও যদি শেক্সপিয়ার তাঁর কবিতা ও গল্প একটি স্বতন্ত্র উপায়ে উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে কুরআন যতই স্বতন্ত্র হোক না কেন সেটি কোন ব্যাপারই নয়— এটিও অবশ্যই একজন মানুষের রচনা।
 
সত্যি কথা বলতে, উপরের যুক্তিতে কিছু সমস্যা আছে। উপরের যুক্তিতে কুরআনের স্বাতন্ত্র্যের প্রকৃত স্বরূপ বিবেচনায় নেয়া হয়নি এবং এর দ্বারা শেক্সপিয়ারের মত সাহিত্য প্রতিভার স্বাতন্ত্র্যও ঠিক উপলব্ধি করা যায় না। যদিও শেক্সপিয়ারের গল্প ও কবিতাগুলো অপ্রতিদ্বন্দ্বী শৈল্পিক নিদর্শন হিসাবে সমাদৃত হয়েছিল, তবুও তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের ক্ষেত্রে যে রূপরেখা অনুসরণ করতেন তা কিন্তু স্বতন্ত্র ছিল না। অনেক ক্ষেত্রেই শেক্সপিয়ার প্রচলিত আয়াম্বিক পেন্টামিটার [আয়াম্বিক পেন্টামিটার (Iambic pentameter) কাব্যের একটি ছন্দ। এর দ্বারা এমন একটি লাইনকে বোঝায়, যা পাঁচটি চরণ নিয়ে গঠিত। সাধারণভাবে ‘পেন্টামিটার’ শব্দটির মানে হচ্ছে – যে লাইনে পাঁচটি চরণ আছে।] ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু কুরআনের ভাষার ক্ষেত্রে রয়েছে একটি সম্পূর্ণ অপরিচিত ও অতুলনীয় সাহিত্যরূপ। কুরআনের বাচনভঙ্গির গাঠনিক বৈশিষ্ট্যই এর স্বতন্ত্রতা প্রদর্শন করে, এর সাহিত্যিক ও ভাষাগত রূপরেখার বিষয়কেন্দ্রিক মূল্যায়ন কিন্তু তা করে না।
 
এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে আমরা দু’’টি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি যেগুলো আমাদের সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরবে যে, কুরআন যে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে আগত এবং এটি যে একটি অলৌকিক গ্রন্থ -এই বিশ্বাসের পিছনে অনেক বড় ধরনের যুক্তি রয়েছে। প্রথম পদ্ধতিটি হচ্ছে ‘যৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ‘অলৌকিকতার দর্শন’।
 
যৌক্তিক সিদ্ধান্তঃ
‘যৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ হল সেই চিন্তন পদ্ধতি যেখানে যৌক্তিক সিদ্ধান্তসমূহ সর্বসম্মতভাবে গৃহিত কোন বিবৃতি অথবা প্রমাণযোগ্য কোন উদাহরণ থেকে নেওয়া হয়। এই পদ্ধতিটিকে ‘যুক্তিসঙ্গত হস্তক্ষেপ’ বা ‘যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্ত’ও বলা হয়।
কুরআনের স্বাতন্ত্র্যের প্রসঙ্গ আসলে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের পণ্ডিতরা যে কথাটির ব্যাপারে একমত হয়ে যান সেটি হচ্ছেঃ
“ ”কুরআন নাযিলের সময় এটি আরবদের দ্বারা যথাযথভাবে নকল করা হয় নি।””
 
এই বিবৃতি থেকে আমরা নিচের যৌক্তিক সিদ্ধান্তগুলোতে আসতে পারিঃ
 
১। কুরআন কোন আরবের দ্বারা রচিত নয়। কেননা কুরআন নাযিলের সময় আরবরা তৎকালীন সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা বিশারদ ছিল এবং তারা কুরআনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যর্থ হয়। তারা এটাও স্বীকার করে যে, কুরআন কখনোই একজন মানুষের দ্বারা রচিত হতে পারে না।
 
২। কুরআন কোন অনারবের দ্বারাও রচিত হতে পারে না। কারণ কুরআনের ভাষা হল আরবি এবং কুরআনকে সফলভাবে চ্যালেঞ্জ জানানোর অন্যতম পূর্বশর্ত হল আরবি ভাষার জ্ঞান থাকা।
 
৩। নিম্নের কারণগুলোর জন্য কুরআন নবী মুহাম্মাদের(ﷺ) দ্বারাও রচিত হওয়া সম্ভব নয়ঃ -
 
ক. নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) নিজে একজন আরব ছিলেন, কিন্তু সকল আরব কুরআনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
 
খ. কুরআন নাযিলের সময় যে সকল আরব ভাষাবিদ ছিলেন, তারা কখনো নবী মুহাম্মাদকে(ﷺ) কুরআনের রচয়িতা বলে অভিযুক্ত করেননি।
 
গ. নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) তাঁর এই রিসালাতের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অনেক দুঃখ-দুর্দশার শিকার হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ— তাঁর সন্তানেরা মারা গেল, তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা(রা) দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন, তাঁকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে, তাঁর নিকটতম সাথীদের অত্যাচার করা হয়েছে এবং অনেককেই হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু কুরআনের সাহিত্যরূপ আগের মতই ঐশ্বরিক ধ্বনি ও স্বভাবমণ্ডিত থাকল। কুরআনের কোথাও নবী মুহাম্মাদের(ﷺ) অশান্তি বা আবেগের প্রকাশ ঘটল না। নবী(ﷺ) এসব অবস্থার ভিতর দিয়ে গেলেন অথচ কুরআনের সাহিত্যিক ভঙ্গিমার কোথাও তাঁর আবেগের কোন বহিঃপ্রকাশ ঘটলো না— মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরবৃত্তীয় দিক দিয়ে এটা সম্পূর্ণ অসম্ভব ব্যাপার ছিল, যদি তিনি আদৌ কুরআনের রচয়িতা হয়ে থাকতেন। 
 
ঘ. সাহিত্যিক মান বিবেচনায় কুরআন একটি অসামান্য গ্রন্থ হিসাবে পরিগণিত। অথচ এর আয়াতগুলো সে সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন পরিস্থিতি ও ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে নাযিল হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোন পুনঃনিরীক্ষণ বা কাট-ছাট করা ছাড়াই এগুলো অসামান্য সাহিত্যিক কর্ম। যত শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম আছে, এর সবগুলোরই নিখুঁত হওয়া নিশ্চিত করার জন্য পুনঃনিরীক্ষণ বা কাট-ছাট করার প্রয়োজন হয়েছে। কিন্তু কুরআন (বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে)তাৎক্ষণিকভাবে নাযিল হয়েছে।
 
ঙ. নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) এর হাদিস বা বিবরণগুলো কুরআনের বর্ণনাভঙ্গির তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। কিভাবে একজন মানুষ ২৩ বছর (যেটা কুরআন নাযিলের সময়কাল) ধরে দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন স্টাইলে মৌখিকভাবে সেগুলো (কুরআন ও হাদিস) বর্ণনা করতে পারে? সাম্প্রতিক গবেষণার ভিত্তিতে প্রমাণ হয়েছে যে শারিরীক ও মানসিকভাবে এটি একটি অসম্ভব ব্যাপার।
 
চ. মানুষের সব ধরণের অভিব্যক্তির অনুকরণ সম্ভব, যদি সেই অভিব্যক্তির প্রতিরূপ বা ব্লুপ্রিন্ট বিদ্যমান থাকে। উদাহরণ হিসাবে আমরা বলতে পারি, কিছু চিত্রকর্মকে যদিও অনন্যসাধারণ কিংবা বিস্ময়কর রকমের স্বতন্ত্র বলে মনে করা হয়, কিন্তু তবুও সেগুলো নকল করা সম্ভব। কিন্তু কুরআনের ক্ষেত্রে এটি নিজেই তার ব্লুপ্রিন্ট হিসাবে বিদ্যমান। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউই এর অদ্বিতীয় সাহিত্যরূপের অনুকরণ করতে সক্ষম হয়নি।
 
৪। কুরআন অন্য কোন সত্ত্বা, যেমন জিন বা প্রেতাত্মার দ্বারা রচিত হতে পারে না, কারণ কুরআন এবং ঐশ্বরিক বাণীসমূহ নিজেরাই হল তাদের অস্তিত্বের ভিত্তি। তাদের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয় ঐশ্বরিক বাণীর ভিত্তিতেই, কোন গবেষণামূলক তথ্য দ্বারা নয়। সুতরাং যদি কেউ দাবি করে কুরআনের উৎস হল অন্য কোন সত্ত্বা, তাহলে তাকে এর(সত্ত্বার)অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হবে এবং এর দ্বারা ঐশ্বরিক বাণীর সত্যতাই প্রমাণ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে যদি জিনদের অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য কুরআনকে ঐশ্বরিক বাণী হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে এই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করার কোন প্রয়োজনই হবে না, কেননা কুরআন ইতিমধ্যেই একটি ঐশ্বরিক বাণী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। কারণ জিনদের অস্তিত্ব বিশ্বাস করার অর্থই হল সবার আগে কুরআনে বিশ্বাস করা।
 
৫। কুরআন শুধুমাত্র স্রষ্টার নিকট থেকেই আসতে পারে, কেননা এটাই একমাত্র যৌক্তিক ব্যাখ্যা এবং অন্যান্য সকল ব্যাখ্যাই বাতিল প্রমাণিত হয়েছে।কারণ তারা একটি বোধগম্য ও সুসঙ্গত উপায়ে কুরআনের এই স্বাতন্ত্র্যের ব্যাখ্যা দিতে পারে না।
 
অলৌকিকতার দর্শনঃ
অলৌকিকতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হল ‘miracle’ যেটি ল্যাটিন শব্দ ‘miraculum’ থেকে উদ্ভূত, যার মানে হচ্ছে - “বিস্ময়কর কোন কিছু”। সাধারণত অলৌকিক তাকেই বলা হয়, যেটা প্রকৃতির সাধারণ নিয়মকে ভঙ্গ করে(lexnaturalis); যদিও এটি একটি অসংলগ্ন সংজ্ঞা। প্রকৃতির সাধারণ নিয়ম সম্পর্কে আমাদের যে বুঝ, সেজন্যই এই অসংলগ্নতা; দার্শনিক বিলিয়নস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, “... “যে পর্যন্ত প্রকৃতির সাধারণ নিয়মগুলোকে সার্বজনীন প্রস্তাবনামূলক সিদ্ধান্ত হিসাবে বিবেচনা করা হবে, সে পর্যন্ত সাধারণ নিয়ম মেনে না চলার ধারণাটা অসঙ্গতিপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হবে”।”
 
প্রকৃতির সাধারণ নিয়মগুলো হল এমন কিছু প্রস্তাবনামূলক সিদ্ধান্ত যেগুলো আমরা এই মহাবিশ্বে পর্যবেক্ষণ করি। যদি অলৌকিকতার সংজ্ঞা হয় সাধারণ নিয়মের লঙ্ঘণ, অন্য কথায় আমরা মহাবিশ্বে যেসব রীতি পর্যবেক্ষণ করছি সেগুলোর ব্যতিক্রম, তাহলে একটি সুস্পষ্ট ধারণাগত ভুল ঘটে। ভুলটি হলঃ কেন আমরা রীতির এই অনুভূত লঙ্ঘণকে রীতির একটি অংশ মনে করতে পারছি না? সুতরাং, অলৌকিকতার সব থেকে সঙ্গতিপূর্ণ সংজ্ঞা হল - কোন কিছুর লঙ্ঘণ নয় বরং অসম্ভাব্যতা। দার্শনিক উইলিয়াম লেন ক্রেইগ “প্রকৃতির সাধারণ নিয়মের লঙ্ঘণ” - অলৌকিকতার এই সংজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এর পরিবর্তে একটি সঙ্গতিপূর্ণ সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। তা হল -“যে সকল ঘটনা প্রকৃতির কার্যকর ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করে।” এটা দ্বারা যা বোঝাচ্ছে তা হল - অলৌকিক ঘটনা হচ্ছে কার্যকারণ সম্বন্ধীয় বা যৌক্তিক সম্পর্কের বিবেচনায় অসম্ভব কোন কাজ।
 
অলৌকিক কুরআনঃ
যে বিষয়টি কুরআনকে অলৌকিক করে তুলেছে তা হল, এটা আরবি ভাষার প্রকৃতির কার্যকর ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করে। আরবি ভাষার ক্ষেত্রে কার্যকর ক্ষমতার প্রকৃতিটি হল - আরবি ভাষার ব্যাকরণগত যে কোন শুদ্ধ প্রকাশভঙ্গি সর্বদাই প্রচলিত আরবি গদ্য বা পদ্যের সাহিত্য কাঠামোর মধ্যে পড়বে।
 
কুরআন একটি অলৌকিক গ্রন্থ, কেননা এর সাহিত্যভঙ্গি আরবি ভাষার কার্যকর ক্ষমতা দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না। কেননা আরবি শব্দ, বর্ণ ও ব্যাকরণিক নিয়মের সকল সম্ভাব্য সমন্বয়ই ব্যয় করা হয়েছে, কিন্তু এর পরেও কুরআনের সাহিত্যভঙ্গিমা নকল করা সম্ভব হয়নি।আরবদের মধ্যে যারা সে সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আরবি ভাষাবিদ হিসাবে পরিচিত ছিল, তারা কুরআনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যর্থ হয়। প্রখ্যাত ব্রিটিশ প্রাচ্যবিদ ও অনুবাদক ফর্স্টার ফিটজেরাল্ড আরবুথনট বলেনঃ
 

মার্জিত সাহিত্য যতদূর পর্যন্ত যেতে পারে তার সীমার মধ্য বেশ কিছু প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে এর(কুরআন) মত একটি কীর্তি তৈরি করার জন্য, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনটাই সফলকাম হয়নি”।” [১]
 
এর যে তাৎপর্য হতে পারে তা হল -কুরআন এবং আরবি ভাষার মধ্যে কোন সংযোগ নেই! যদিও এটা অসম্ভব মনে হয় কারণ কুরআন আরবি ভাষায় রচিত। অপরদিকে আরবি শব্দ ও বর্ণের যত প্রকার সমন্বয় ব্যবহার করা সম্ভব, তা ব্যবহার করা হয়েছে কুরআনকে পরীক্ষা করা ও এর অনুরূপ তৈরির জন্য।অতএব আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারি যে, কেবলমাত্র অলৌকিকতাই পারে কুরআনের এই অবিশ্বাস্য আরবি সাহিত্যরূপের সঙ্গতিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে।
 
যখন আমরা কুরআনের স্বতন্ত্র সাহিত্যরূপের জবাব খোঁজার জন্য আরবি ভাষার কার্যকর ক্ষমতার দিকে লক্ষ্য করি, তখন আমরা এটার (আরবি ভাষার) এবং এই ঐশ্বরিক গ্রন্থের মধ্যে কোন সংযোগ খুঁজে পাই না। সুতরাং এভাবে একটি অসম্ভব পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং অলৌকিক কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়। অতএব, যৌক্তিকভাবে এই সিদ্ধান্তে আশা যায় যে, যদি কুরআন একটি সাহিত্যকর্ম হয় যেটি আরবি ভাষার কার্যকর ক্ষমতার সীমার বাইরে অবস্থান করে, তাহলে সংজ্ঞানুযায়ী এটি একটি অলৌকিক গ্রন্থ।
 

তথ্যসূত্রঃ
[১] এফ.এফ.আরবুথনট, ১৮৮৫, বাইবেল ও কুরআনের গঠনকৌশল, লন্ডন, পৃষ্ঠা নং ৫।